Changing electoral practice and culture of Political Parties in Bangladesh (বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল্গুলোর নির্বাচনকেন্দ্রিক রীতি এবং সংস্কৃতি পরিবর্তন)

 

নাগরিক শক্তি ইলেকশান কেন্দ্রিক দল হবে না। জনকল্যাণের প্ল্যাটফর্ম হিসেবেও দেশের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে, দেশের উন্নয়নে কাজ করবে [1]। 

 

সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন (Nomination in parliamentary election)


বাংলাদেশের প্রচলিত রাজনীতি (Contemporary Practice)

  • বড় দলগুলো অর্থ দিয়ে মনোনয়ন বিক্রি করে। মনোনয়ন প্রত্যাশীরা অর্থ দিয়ে মনোনয়ন বাণিজ্যের নিলাম হাট থেকে মনোনয়ন কেনেন কোটি টাকার বিনিময়ে। সাংসদ হয়ে নেতারা দুর্নীতি করে সুদে আসলে তুলে আনেন। অনেকটা বিনিয়োগের মতই! 
  • কাজেই এসব দলে “মনোনয়ন বঞ্চিত”রা দলত্যাগ করে ইলেকশানে অংশ নেন।
  • বড় দুই দলে কালো টাকা, পেশি শক্তির প্রভাব হয়ে ওঠে যোগ্যতা নির্ধারণের মাপকাঠি।

 


নাগরিক শক্তি (Next generation Political Party)

  • নাগরিক শক্তি মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে জনপ্রিয়তা, যোগ্যতা, দক্ষতা, মেধা, সততা, অভিজ্ঞতা, এলাকার উন্নয়ন কাকে দিয়ে হবে – এসব বিষয় বিবেচনায় নেবে। তৃনমূল থেকে প্রার্থীদের নাম প্রস্তাবের আহ্বান জানানো হবে এবং কেন্দ্রিয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। একাধিক প্রার্থী প্রায় সমান যোগ্যতা সম্পন্ন হলে সার্ভেই করে দেখা হবে জনগণ কাকে চান। 

 

 

 

 

 


নির্বাচনী ব্যয় (Electoral expenditure) 

বাংলাদেশের প্রচলিত রাজনীতি (Contemporary Practice) 

  • দেশের বড় দুই দলে নির্বাচনী ব্যয় প্রার্থীই করেন। প্রার্থীরা কালো টাকা ব্যবহার করেন। কাজেই কোন হিসেব থাকে না।
  • ব্যবসায়ী এবং সমর্থরা রাজনৈতিক দলকে কোটি কোটি টাকা চাঁদা দেন। এই অর্থেরও কোন হিসেব থাকে না। নেতারা অর্থ ভাগাভাগি করে নেন।

 

 

 
নাগরিক শক্তি (Next generation Political Party)
  • প্রচলিত রাজনীতিতে বড় দুই দলের নেতারা অর্থ দিয়ে ভোট কেনেন। নাগরিক শক্তির প্রার্থীরা নির্বাচন কমিশনের বেঁধে দেওয়া সীমার মাঝে স্বল্প ব্যয়ে নির্বাচন করবেন। আমাদের ইলেকশান ক্যাম্পেইন স্ট্রাটেজিতে থাকবে সামাজিক উদ্যোগ, ট্রাইব, নেটওয়ার্ক ইত্যাদি।  
  • নির্বাচনী ব্যয়ের জন্য ফান্ড রেইজ করা হবে। 
  • ফান্ড রেইজিং এর মাধ্যমে যে অর্থ রেইজড হবে তা শুধু মাত্র প্রার্থীদের ইলেকশান ক্যাম্পেইনে ব্যয় করা হবে। প্রতিটি পয়সা খরচের হিসাবও রাখা হবে। স্বচ্ছতা কেন্দ্রিয়ভাবে মনিটারিং করা হবে এবং কারও বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হলে দল থেকে বহিষ্কারসহ কঠোর বাবস্থা নেওয়া হবে।
  • নাগরিক শক্তির আয় ব্যয়ের হিসেব (রেইজড ফান্ডের হিসেবসহ) নির্দিষ্ট সময় অন্তর জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে। 

 

 

 

 


নেতাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য দৃষ্টিভঙ্গি (Aims, outlook of Leaders)

বাংলাদেশের প্রচলিত রাজনীতি (Contemporary Practice)

  • বড় দুই দলে নেতাদের কাছে সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পাওয়াই মুখ্য হয়ে ওঠে। 
  • কোনভাবে সাংসদ হতে পারলে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করা যাবে। 

 

নাগরিক শক্তি (Next generation Political Party)

    • প্রকৃতপক্ষে, দুর্নীতি একটা সংস্কৃতি। আমাদের লক্ষ্য ঠিক করতে সমাজ বড় ভূমিকা পালন করে। ছেলেবেলায় বাবামায়ের মাধ্যমে আমরা ভাল-খারাপ শিখি। জীবনের লক্ষ্য ঠিক করতে পরিবার, বন্ধুমহল, দেশের আর্থসামাজিক পরিস্থিতি – সবকিছুই ভূমিকা পালন করে। অনেকে অপরাধ করা শুরু করলে একটা সমাজের সম্মিলিত নৈতিকতাবোধ – কি করা উচিত, কি করা উচিত না – তাতে অবনতি ঘটে। আমাদের দেশে রাজনীতিতে এমনটাই ঘটছে। রাজনীতি আর দুর্নীতি সমার্থক হয়ে পড়েছে। আশেপাশের আর দশজন রাজনৈতিক নেতাকে দুর্নীতি করে কোটি কোটি টাকার মালিক হতে দেখলে একজন তরুণ নেতার লক্ষ্য নির্ধারণেও তার প্রভাব পড়তে বাধ্য। রাজনীতি করলে আইনের উরধে ওঠা যায় – এমন রীতি পরিস্থিতিকে ভয়াবহ পর্যায়ে নিয়ে গেছে। অন্য দশজন দুর্নীতিগ্রস্থ ব্যক্তিকে দেখে নতুন রাজনীতিবিদও কুপথের দিকে যাত্রা করেন, কিন্তু তিনি ভুলে জান একদিন এই অপকর্মের জন্য বিচার – মামলা – মোকাদ্দমার মুখোমুখি হতে হবে, পরিবার ও সমাজের সামনে নিচু হতে হবে। 
    • নাগরিক শক্তি এই অপসংস্কৃতিতে পরিবর্তন আনবে।   

 

  • নাগরিক শক্তির নেতৃত্বে সবাই ঐক্যবদ্ধ হবেন স্বপ্নের আধুনিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে।

 

 

 

  • সাংসদ হিসেবে মূল লক্ষ্য হবে জনকল্যাণ। জনকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সাংসদরা বিখ্যাত হয়ে উঠবেন। 
  • ইলেকশানের বাইরেও নাগরিক শক্তি জনকল্যাণের প্ল্যাটফর্ম হিসেবেও দেশের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে কাজ করবে [1]। নেতারা এসব প্লাটফর্মের অংশ হিসেবেও জনগণের কল্যাণে কাজ করতে পারবেন। কাজেই ইলেকশান একমাত্র ফোকাস হবে না। 

 

 

 

একটি বৃহৎ পরিবার হিসেবে নাগরিক শক্তি (Nagorik Shakti as a large extended family)

নাগরিক শক্তির নেতা কর্মীদের মাঝে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন, স্নেহের বন্ধন, ভালবাসা এবং স্রদ্ধার বন্ধন থাকবে। নাগরিক শক্তি হবে একটা কমিউনিটির মত। মানুষ কখনও নিজের পরিবার ছেড়ে যেতে পারে না। নাগরিক শক্তির সাথে সংশ্লিষ্ট সবাই দলটিকে বৃহৎ একটি পরিবার হিসেবে দেখবেন।




রেফরেন্স

বাংলাদেশের রাজনীতিতে গুনগত পরিবর্তনের গল্প – ১ [আমি রাজনীতিতে কিভাবে – ২]

১.

৯১ এর নির্বাচনের সময় আমি ছিলাম অনেক ছোট – রীতিমত ৪ বছরের বাচ্চা ছেলে!খুব একটা না বুঝলেও এটুকু বুঝতাম আমি ধানের শিষের সাপোরটার। আর মামা ছিলেন নৌকার সাপোরটার। আমাকে মজা করে বলতেন, ধানের শীষ ডুবে যাবে।

শেষ পর্যন্ত অবশ্য মামার নৌকাই ডুবল!

মানুষ কারও না কারও পক্ষে ভোট দেয় এবং ভোট যার পক্ষে বেশি পড়ে সে জিতে – ইলেকশান কিভাবে হয় এটা চিন্তা করে বুঝেছিলাম আরও কিছুদিন পরে। আব্বুকে জিজ্ঞেস করে জেনে নিয়েছিলাম আমার ধারণা ঠিক কিনা।

মাঝখানে ৪ বছর সৌদি আরবে কাটিয়ে ‘৯৭ এর ডিসেম্বরে দেশে ফিরে আসি।

পত্রিকা খুললেই চোখে পড়ত আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসের খবর – এক এক নেতা এক এক এলাকায় (ফেনী, লক্ষ্মীপুর) সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। আবার কারও কারও ব্যাংক থেকে ঋণ খেলাপির খবর। #TowardsCrimeFreeBangladesh

২০০১ এর সময় আমি পড়তাম ক্লাস নাইনে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পুরো সময়টা ভালমত ফলো করলাম। নির্বাচন ও হল।

এরপর থেকে পত্রিকা খুললেই দেখি দুর্নীতি আর অনিয়মের খবর। যোগ্য ব্যক্তিরা সরকারে মূল্যায়ন পেলেন না।

বুঝলাম, এভাবে দেশ চলতে পারে না। পরিবর্তন আসতেই হবে।

২.

২০০৩ সাল থেকে অধ্যাপক ডাঃ বদরুদ্দোজা চৌধুরী এবং ডঃ কামাল হোসেন পরিবর্তনের কথা বললেন।

বিকল্প ধারা আর গণফোরামের খবরগুলো পত্রিকাতে খুঁজে বের করতাম। কী গভীরভাবে চাইতাম বাংলাদেশের “পচা” রাজনীতিতে গুনগত পরিবর্তন আসুক!

দুই নেতার নেতৃত্বাধীন দুই দল মিলে সারা দেশে জনগণের বক্তব্য শোনার অনুষ্ঠানের আয়োজন করলেন। চমৎকার একটা ব্যাপার। এখনকার মত এত চ্যানেল, এত অনুষ্ঠান তখন ছিল না। কাজেই রাজনৈতিক সমাবেশে সাধারণত নেতাদের বক্তব্য শুনেই ফিরে যেতে হয়। এমন একটা সময়ে এই ধরণের অনুষ্ঠান প্রশংসনীয়। চট্টগ্রামের অনুষ্ঠানে আমিও গিয়েছিলাম – জীবনে প্রথমবারের মত কোন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে!

মানুষ নিজের চাওয়া পাওয়া জানাতে চায়। আগ্রহ নিয়ে তাদের কথা শুনলে তারা কত খুশি হয়!

বিএনপি সরকারের কর্মীরা এসব অনুষ্ঠানে ডিম ছুড়ে মারাসহ ব্যাপকভাবে দমন চালিয়ে দুই দলের যে সম্ভাবনা ছিল তাকে থামিয়ে দিল।

৩.

২০০৭ সালে নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ডঃ মুহম্মদ ইউনুস পরিবর্তনের ডাক দিলেন।

একটা রাজনৈতিক দল গঠন করবেন। মিডিয়ার মাধ্যমে পরিকল্পনা জানিয়ে জনগণের মতামত চাইলেন।

এবার আশা ছিল, পরিবর্তন আসবেই। পরিছন্ন ভাবমূর্তি, প্রশ্নাতীত সততা, মেধা, প্রশাসনিক দক্ষতা, নাগরিক সমাজের একটা বড় অংশের সমর্থন, গ্রামীণ ব্যাংকের সারাদেশে লক্ষ লক্ষ গ্রাহকের মাধ্যমে গ্রামে গ্রামে পরিচিতি, তরুণ প্রজন্মের আইডল – বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল পুরস্কার বিজয়ী।

কিন্তু এবারও আগের কাহিনী – আরও ব্যাপকভাবে।

বিকল্প ধারা – গণফোরামের উপর বিএনপি এককভাবে দমন চালিয়েছিল। ২০০৬ তে অধ্যাপক ডাঃ বদরুদ্দোজা চৌধুরী এবং কর্নেল (অবঃ) ডঃ অলি আহমেদ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি গঠনের পরপরও বিএনপি দ্রুত দমনের পথে গিয়েছিল। আরও আগে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী আলাদা হওয়ার পর আওয়ামী লীগ দমন (খুনসহ) চালিয়েছিল।

এবার দুই দল সম্মিলিতভাবে তাদের সুবিধাভোগী গোষ্ঠীকে সাথে নিয়ে দমনের পথে গেল। মিথ্যা এবং আপত্তিকর নানা শব্দও  ব্যবহার করল (যেমন “ঘুষখোর”; যিনি সামাজিক ব্যবসা নামে এমন ব্যবসা চালু করেছেন যেখান থেকে মালিক শুধুমাত্র প্রাথমিক বিনিয়োগ তুলে নেওয়া ছাড়া কোন লভ্যাংশ নেবেন না, যার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংকের ৯৭ শতাংশ মালিকানা গরিব মহিলাদের হাতে এমন আদর্শ ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা চালানোর জন্য এসব শব্দ!)।  

বাংলাদেশের তরুণ সমাজ যে পরিবর্তন চাইছিল ২০০৭ এও তা অঙ্কুরেই বিনষ্ট হল।

৪.

এরপর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় প্রশংসনীয় নানা উদ্যোগে সুন্দর বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখা শুরু করলাম।

এমন একটা দেশ – সারাদেশের মানুষের কোন জাতীয় পরিচয়পত্র, ডেটাবেইসে সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেই! ছবিযুক্ত ভোটার আইডি কার্ডের মাধ্যমে আমরা তা পেলাম।

বিচার বিভাগেও প্রয়োজনীয় সংস্কার এল।

শক্তিশালী নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি বাংলাদেশের অনেকদিনের অভাব একটা শক্তিশালী দুর্নীতি দমন কমিশনও পেলাম।

দুর্নীতিবাজ নেতাদের গ্রেপ্তার দেখে স্বস্তি ফিরে এলো। বাংলাদেশের জনগণের মাঝে অনেক জনপ্রিয়তা পেলো।

দুর্নীতিতে বিশ্বসেরার খেতাব জেতা বাংলাদেশে একটা নতুন যুগের সূচনা হল বলে বাংলাদেশের জনগণ আশা করল।

৫.

এরপর ২০০৮ এর নির্বাচন। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলো।

নতুন মন্ত্রিসভার পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির অনেকে প্রশংসা করলেন। প্রথম ১ বছরে মনে হল, ছাত্রলীগ আর যুবলীগের টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দুর্নীতিবাজদের গ্রেপ্তারের মাধ্যমে যে পরিবর্তনের আশা দেখেছিলাম তা দীর্ঘস্থায়ী হবে। এসময়কার সার্ভেই ও তাই বলে – প্রথম বছরে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা বেড়ে গিয়েছিল।

এরপরই আমাদের সামনে প্রকাশিত হওয়া শুরু করল দুর্নীতি, সন্ত্রাস আর অনিয়মের মহোৎসবের খবর। বাংলাদেশের রাজনীতিতে পরিবর্তনের যে আশা করেছিলাম – এবার সে আশায় গুড়ে বালি – কয়েক বছরের জন্য হলেও।

৬.

অবশেষে ২০১৩ সালের শেষ তিন মাসে আমরা বাংলাদেশের রাজনীতিতে সত্যি সত্যিই নতুন সূর্যের উদয়ের পথে এগুনোর লক্ষ্যে একত্রিত হলাম। অন্যায় অবিচার দুর্নীতি মুক্ত একটা সুখী, সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন আমাদের একত্রিত করল।

পরবর্তী: সম্মিলিতভাবে সবাই জনগণের সামনে আসবেন।

এবার আমরা জনগনকে সাথে নিয়েই সামনে আসবো। কারণ আমরা জানি, জনগণের ঐক্যের শক্তিই সবচেয়ে বড় শক্তি।

আরও

নাগরিক শক্তিঃ সংগঠন

দলের নাম: নাগরিক শক্তি

প্রতীক: বই

মূলমন্ত্র: “জ্ঞানের আলোয় উন্নত বাংলাদেশ”

মূলনীতি

1. সবকিছুর উপর জাতীয় স্বার্থ

2. মুক্তিযুদ্ধের চেতনা

3. জাতি ধর্ম বর্ণ শ্রেণী পেশা নির্বিশেষে সবার একতা, সবার স্বার্থ সংরক্ষণ; সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্নে সবাই ঐক্যবদ্ধ

4. গণতন্ত্রমনা – দলের প্রতিটি কর্মকাণ্ডে জনগণের মতামত, আশা আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হবে, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে

5. সকল অন্যায়, অপকর্ম, অত্যাচার, দুর্নীতির বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান

সাংগঠনিক কাঠামো

প্রেসিডেন্ট

এক্সিকিউটিভ প্রেসিডেন্ট

ভাইস প্রেসিডেন্ট – ৮ জন

জেনেরাল সেক্রেটারি এবং কো-জেনেরাল সেক্রেটারি – ২ জন

জয়েন্ট জেনেরাল সেক্রেটারি – ১২ জন (আরও কয়েকজন যুক্ত হবেন)



দলে সিধান্ত নিতে গণতন্ত্রের চর্চা থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারে প্রেসিডেন্ট, এক্সিকিউটিভ প্রেসিডেন্ট, ভাইস প্রেসিডেন্ট, জেনেরাল সেক্রেটারি এবং কো-জেনেরাল সেক্রেটারি – এর মতামতের ভিত্তিতে দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে। দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকলে প্রেসিডেন্ট, প্রেসিডেন্ট এর অনুপস্থিতিতে (ফিসিকালি বা ডিজিটালি) এক্সিকিউটিভ প্রেসিডেন্ট এবং এক্সিকিউটিভ প্রেসিডেন্ট এর অনুপস্থিতিতে (ফিসিকালি বা ডিজিটালি) প্রেসিডেন্ট কর্তৃক মনোনীত অ্যাক্টিং এক্সিকিউটিভ প্রেসিডেন্ট এর সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে।

সেক্রেটারিয়েট – Secretariat

জেনেরাল সেক্রেটারি, কো-জেনেরাল সেক্রেটারি এবং জয়েন্ট জেনেরাল সেক্রেটারি এর দায়িত্বে যারা থাকবেন তারা পুরো দলটিকে গোছাবেন। দলের মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করবেন।

Energetic, enthusiastic (স্বপ্নের বাংলাদেশ, দল গড়ে তোলা এসব ব্যাপারে অনেক enthusiasm; আমরা visionary ব্যক্তিদের দেখতে চাই), সবার সাথে ভাল সম্পর্ক – রিপ্রেসেন্টেটিভ হিসেবে সবাই মেনে নেবেন, convince করার ক্ষমতা ভাল, অতীতে কোন সংগঠনকে কাছ থেকে দেখেছেন, এমন বেক্তিরা স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে জনগণকে সংগঠিত করার দায়িত্ব নিয়ে নাগরিক শক্তির সেক্রেটারিয়েটের সাথে যুক্ত হবেন।

গীতা সেনদের, দরিদ্র রিকশাচালকদের, বঞ্চিত স্রমিকদের, অসহায় কৃষকদের, কতিপয় দুর্নীতিবাজের কারসাজির কাছে সর্বস্ব হারানো শেয়ার বাজারে বিনিয়োগকারিদের পাশে গিয়ে দাঁড়াতে হবে। নীরব সংখ্যাগরিষ্ঠ তথা সাইলেন্ট মেজরিটি কে সংগঠিত করতে হবে।

কেউ বিরোধিতা করলে সবাই পাল্টা aggressive হয়ে আরও দূরে সরিয়ে দেয়। আমরা করবো উল্টো – তাকে আরও ভালমত বোঝার চেষ্টা করবো – তার কি কি ভুল ধারণা আছে বোঝার চেষ্টা করবো। প্রথমে যেসব ব্যাপারে একমত সেসব ব্যাপার দিয়ে এক হব। তারপর দূরত্বের ব্যাপারগুলো। আমাদের প্রত্যেককে মনে রাখতে হবে – নিজের সব ধারণা ঠিক নাও হতে পারে – অন্যের যুক্তিযুক্ত মতামত গ্রহণ করার মানসিকতা থাকতে হবে। অপরের চোখ দিয়ে অপরের দৃষ্টিভঙ্গি থেকে দেখার গুনটি চর্চা করতে হবে।

আমরা যোগ্য ব্যক্তিদের মূল্যায়ন করে তাদের মন জয় করবো। এতে তাদের কাজে উৎসাহও বাড়বে।

জয়েন্ট জেনেরাল সেক্রেটারি নিয়োগ

  • বিজনেস পারসোনালিটি (ব্যবসায়িদের প্রতিনিধি) – ২ জন (একজন সিনিয়র জয়েন্ট জেনেরাল সেক্রেটারি)
  • নারী প্রতিনিধি – ১ জন 
  • জাতিগত এবং ধর্মীয় জনগোষ্ঠীদের প্রতিনিধি – ২ জন (১ জন পাহাড়ি জাতি গোষ্ঠীদের প্রতিনিধিত্ব করবেন, অপরজন সনাতনী এবং অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের প্রতিনিধিত্ব করবেন) 
  • তরুণদের এবং যুব সমাজকে সংগঠিত করার অভিজ্ঞতা আছে, করছেন; দেশের কল্যাণে কাজ করছেন, আরও করতে ইচ্ছুক – ১ জন 
  • দেশের স্বার্থ রক্ষায়, দেশের সম্পদ রক্ষায় জনগণকে সংগঠিত করছেন – ১ জন
  • আদর্শ গ্রামীণ কৃষক, কৃষক সমাজের প্রতিনিধি – ১ জন 

জেনেরাল সেক্রেটারি সাহেব কো-জেনেরাল সেক্রেটারি সাহেবদের পরামর্শের ভিত্তিতে প্রেসিডেন্ট এবং এক্সিকিউটিভ প্রেসিডেন্ট সাহেবের এর অনুমোদন সাপেক্ষে নিয়োগ দেবেন।

স্বপ্ন নিয়ে, enthusiasm নিয়ে যারা দলের সাথে যুক্ত হতে চান প্রত্যেকে যাতে দলে পদ নিয়ে (হতে পারে গ্রাম বা মফস্বল পর্যায়ে জয়েন্ট সেক্রেটারি বা মেম্বার) যুক্ত হতে পারেন তা নিশ্চিত করা হবে। এতে সবার উৎসাহ বাড়বে। প্রতিটি কর্মকান্ডে আমাদের মনে রাখতে হবে আমরা জনগণের দল। নাগরিক শক্তির প্রত্যেক স্থানীয় মেম্বার গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যেকের দলের প্রতি আনুগত্য থাকবে। দলের প্রত্যেক নেতা এবং সদস্য নাগরিক শক্তির মূলনীতিগুলোর উপর আস্থা এবং বিশ্বাস রাখবেন। প্রত্যেকের দায়িত্ব হবে নিজের এলাকায়, পরিচিতদের মাঝে নাগরিক শক্তিকে ছড়িয়ে দেওয়া।

ব্যক্তির চেয়ে দল বড় এবং দলের চেয়ে দেশ বড় – এটি প্রতিষ্ঠিত হবে। আমাদের ক্ষেত্রে কোন নেতার চেয়ে “নাগরিক শক্তি” বড় এবং “নাগরিক শক্তি”র চেয়ে বাংলাদেশ বড়।

দলের প্রতিটি পর্যায়ে ক্ষমতার ভারসাম্য থাকবে। দলে গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা প্রত্যেকের জনগণের কাছে জবাবদিহিতা থাকবে।

সবার কাজ কেন্দ্রিয়ভাবে সমন্বয় করা হবে – নেটওয়ার্ক ম্যাপ করা (আমাদের নেটওয়ার্কে কারা আছেন, কিভাবে বাড়ানো যায়), দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া। [1]

নাগরিক শক্তি হবে জনগণের দল। আমরা জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে জনগণের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেব। তৃনমূল পর্যায় থেকে নেতৃত্ব গড়ে উঠবে এবং কাউকে নেতা হতে হলে জনগণের কাছে মান্ডেট নিয়ে, জনগণের মন জয় করে নেতা হয়ে উঠতে হবে – নেতারা হবেন আক্ষরিক অর্থেই জনগণের প্রতিনিধি।

নাগরিক শক্তির নেতা কর্মীদের মাঝে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন, স্নেহের বন্ধন, ভালবাসা এবং স্রদ্ধার বন্ধন থাকবে। নাগরিক শক্তি হবে একটা কমিউনিটির মত।

জনগণের আশা আকাঙ্খা সমস্যা প্রত্যাশা লিপিবদ্ধ করতে হবে। আমরা এ লক্ষ্যে নিজস্ব ডেটাবেইস গড়ে তুলব। ডেটাবেইসে বাংলাদেশ বিষয়ক সব তথ্য, জনগণের আশা আকাঙ্খা সমস্যা মতামত, বিভিন্ন সার্ভেই রেসাল্ট, আমাদের বিভিন্ন নেটওয়ার্ক, প্রতিটি নির্বাচনী এলাকায় দলীয় অবস্থান, প্রার্থীর অবস্থান ইত্যাদি থাকবে। এসব ডেটা এর উপর ডেটা অ্যানালাইসিস, স্ট্যাটিস্টিক্যাল অ্যানালাইসিস হবে, সার্চ করার বাবস্থা থাকবে।

নাগরিক শক্তি জনগণের অন্তর্নিহিত শক্তিতে বিশ্বাসী দল। বাংলাদেশের প্রত্যেকটা মানুষের মাঝে যে বিশাল অন্তর্নিহিত শক্তি লুকিয়ে আছে নাগরিক শক্তি তাকে জাগ্রত করবে।

নাগরিক শক্তির গ্র্যান্ড ভিশনঃ সারা দেশের ১৬ কোটি বাংলাদেশীকে ঐক্যবদ্ধ করা।




ন্যাশনাল কাউন্সিল – National Council

রাজনৈতিক ভাবে প্রতিষ্ঠিত বা সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত বেক্তিরা, দেশের নাগরিক সমাজের সদস্যরা যারা দেশের জন্য, জনগণের জন্য, দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে কাজ করবেন, তারা Member of National Council এবং Associate of National Council হিসেবে যুক্ত হবেন।

ন্যাশনাল কাউন্সিলের Members এবং Associates এর দায়িত্বে যারা থাকবেন তারা নিজ নিজ জেলা সংগঠনের দায়িত্বও পালন করবেন।



অ্যাডভাইসারি কাউন্সিল – Advisory Council

সামাজিকভাবে প্রতিষ্ঠিত সম্মানিত বেক্তিরা, দেশের নাগরিক সমাজের সদস্যরা যারা দেশ গঠনে গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা রাখতে ইচ্ছুক এবং দলকে সঠিক পরামর্শ দিয়ে দলের পাশে থাকতে চান, তারা Advisory CouncilAdviser হিসেবে যুক্ত হবেন।

National Council এর Members, Associates এবং Advisory Council এর Advisers রা প্রত্যেকে নিজ নিজ দক্ষতা অনুযায়ী, নিজের পছন্দ অনুসারে কাজের ক্ষেত্র বেছে নেবেন। এতে কাজের ফোকাস থাকবে, কর্মপরিকল্পনা থাকবে। দল এ ব্যাপারে সর্বাত্মক সহায়তা করবে।



জনকল্যাণের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে নাগরিক শক্তি

নাগরিক শক্তি জনকল্যাণের প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করবে।

নাগরিক শক্তি দেশের তরুণদের জন্য বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম গড়ে দেবে। এ লক্ষ্যে নাগরিক শক্তি দেশের নাগরিক সমাজ ও ব্যবসায়ী সমাজ এবং তরুণদের মাঝে সেতুবন্ধন হিসেবে কাজ করবে।

নাগরিক শক্তির সাথে যুক্ত যে কেউ এক একটা জনকল্যাণমূলক উদ্যোগ লক্ষ্য হিসেবে নিয়ে কেন্দ্রকে জানাতে পারেন। দেশের জন্য কল্যাণকর মনে হলে কেন্দ্র থেকে সব ধরণের সহায়তা করা হবে। নাগরিক শক্তির নেটওয়ার্ক ব্যবহার করে দেশের প্রতিটা অঞ্চলে পৌঁছা যাবে।

কেউ লক্ষ্য হিসেবে নেবেন দেশের প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে কোন একটা প্রকল্প – হতে পারে দেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোকে ঢেলে সাজানো। কেউ একটি এলাকার নারী অধিকার নিয়ে কাজ করবেন। কেউ যৌতুক প্রথার বিরুদ্ধে দেশব্যাপী গণসচেতনতা সৃষ্টি করবেন – সারা দেশের মানুষ তার সাথে যোগ দেবেন। সনাতনী ধর্মাবলম্বীদের নিরাপত্তার জন্য জনগণকে সংগঠিত করবেন কেউ। কেউ তরুণ উদ্যোক্তাদের সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে নাগরিক শক্তির সহায়তায় সমাধানে কাজ করবেন। শিল্প বিকাশের পথে সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে সমাধানে নাগরিক শক্তির পুরো নেটওয়ার্ক ব্যবহার করবেন কোন শিল্প ব্যবসায়ী।

পুরো লক্ষ্যটাকে নাগরিক শক্তির পক্ষ থেকে কয়েক ভাগে ভাগ করে বাস্তবায়ন করা হবে। অগ্রগতি নির্দিষ্ট সময় অন্তর পর্যালোচনা করা হবে। সমস্যা, বাঁধাগুলো চিহ্নিত করা হবে এবং সমাধানে উদ্যোগ নেওয়া হবে।

তরুণ নেতৃত্ব

তরুণরাই নাগরিক শক্তির প্রাণ।

তরুণ প্রজন্মকে ভবিষ্যৎ নির্বাচনগুলোকে সামনে রেখে জনগণের প্রতিনিধি হিসেবে জনকল্যাণমূলক রাজনীতি করার লক্ষ্যে গড়ে তোলা হবে। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে সৎ, জনপ্রিয়, মেধাবী, যোগ্য কয়েকজন তরুণ-তরুণীকে আগামী সংসদ নির্বাচনে নাগরিক শক্তির প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দেওয়া হবে।

দলে তরুণদের উপযুক্ত দায়িত্ব দেওয়া হবে। জনকল্যাণমূলক উদ্যোগে সম্পৃক্তকরণের পাশাপাশি পাবলিক রিলেশান্সঃ সোশ্যাল মিডিয়া, যোগাযোগ প্রযুক্তি মাধ্যম (বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে মূলত সেলফোন প্রযুক্তি), প্রিন্ট মিডিয়া, টিভি মিডিয়া; সারভেয়িং; বিভিন্ন কর্মসূচী ইত্যাদি।

তরুণরা সকল অন্যায় অবিচার দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর হিসেবে ভূমিকা পালন করবেন। সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে সারা দেশের মানুষের চাওয়া পাওয়া তুলে ধরবেন।

আমরা চাই তরুণ তরুণীরা নতুন নতুন আইডিয়া, সৃজনশীল কর্ম পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে আসুক।




স্বচ্ছতা – ট্রান্সপারেন্সি

দলের প্রতিটি কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা থাকবে। দলের আয় বায়ের হিসাব (ফান্ড রেইজিং এর হিসাবসহ) নির্দিষ্ট সময় অন্তর জনসমক্ষে প্রকাশ করা হবে

ট্রেসারার হিসেবে একজন গ্রহণযোগ্য বেক্তিকে দায়িত্ব দেওয়া হবে এবং তিনি দলের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করবেন।


পার্টি উইংগস – দলীয় অঙ্গসংগঠন

এসব পার্টি উইংগস এর শীর্ষপদধারীরা সেক্রেটারিয়েটের মাধ্যমে দলের সাথে যুক্ত হবেন

  • নাগরিক তরুণ শক্তি
  • নাগরিক নারী শক্তি
  • নাগরিক কৃষক শক্তি
  • নাগরিক শ্রমিক শক্তি
  • নাগরিক ছাত্র শক্তি
  • নাগরিক ওলামা শক্তি
  • নাগরিক পাহাড়ি শক্তি
  • নাগরিক হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য শক্তি
  • নাগরিক গণজাগরণ মঞ্চ
  • নাগরিক উদ্যোক্তা ও বিনিয়োগকারি শক্তি
  • নাগরিক প্রবাসী কর্মী শক্তি 
উৎসাহী এবং যোগ্য হলে একই ব্যক্তি একাধিক পার্টি উইংগস এর সদস্য হতে পারেন। সবার মাঝে যত বেশি ইন্টারেকশান হবে তত ভাল।  

এসব পার্টি উইংগস এর শীর্ষপদধারীরা ন্যাশনাল কাউন্সিলের মাধ্যমে দলের সাথে যুক্ত হবেন
  • নাগরিক মুক্তিযোদ্ধা শক্তি
  • নাগরিক শিল্প ব্যবসায়ি শক্তি
  • নাগরিক ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়ি শক্তি
  • নাগরিক আইনজীবী শক্তি
  • নাগরিক চিকিৎসক শক্তি
  • নাগরিক প্রকৌশলী শক্তি
  • নাগরিক সাংবাদিক শক্তি
সারা দেশের আইনজীবীদের সংগঠিত করার কাজ শুরু করতে হবে। একইভাবে সারা দেশের চিকিৎসকদের, প্রকৌশলীদের, ক্ষুদ্র ও মাঝারি ব্যবসায়িদের, উদ্যোক্তাদের মাঝে নেটওয়ার্ক গড়ে তুলে সংগঠিত করতে হবে।

অ্যাডভাইসারি কাউন্সিলের মাধ্যমে দলের সাথে যুক্ত হবেনঃ:
  • নাগরিক অর্থনীতি ফোরাম 
  • নাগরিক বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও শিক্ষা ফোরাম
  • নাগরিক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি ফোরাম
  • নাগরিক সামাজিক ব্যবসা ফোরাম
  • নাগরিক কৃষি ফোরাম
  • নাগরিক নগর পরিকল্পনা ফোরাম 
  • নাগরিক জাতীয় সম্পদ রক্ষা ফোরাম 
  • নাগরিক সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা ফোরাম
  • নাগরিক নারী অধিকার রক্ষা ফোরাম 
  • নাগরিক ফরেইন পলিসি এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক ফোরাম 
  • নাগরিক শিল্প, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য ফোরাম 

সর্বজন সম্মানিত ব্যক্তিদের আহ্বায়ক হিসেবে মনোনীত করে পার্টি উইংগসগুলো সংগঠিত করার কাজ শুরু করতে হবে। 



নাগরিক শক্তির এলাকাভিত্তিক সংগঠকদের দায়িত্ব নির্ধারণ করে দিতে হবে। 


যেমন –

জেলা পর্যায়ে

  • নারায়ণগঞ্জ জেলা নাগরিক শক্তি আহ্বায়ক কমিটি 
  • কক্সবাজার জেলা নাগরিক শক্তি আহ্বায়ক কমিটি
  • টাঙ্গাইল জেলা নাগরিক শক্তি আহ্বায়ক কমিটি
  • মুন্সিগঞ্জ জেলা নাগরিক শক্তি আহ্বায়ক কমিটি

সিটি কর্পোরেশান পর্যায়ে 

  • ঢাকা সিটি কর্পোরেশান নাগরিক শক্তি আহ্বায়ক কমিটি
  • চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশান নাগরিক শক্তি আহ্বায়ক কমিটি


এভাবে জেলা, উপজেলা, সিটি কর্পোরেশান, গ্রাম পর্যায়ের আহ্বায়ক কমিটি।


আহ্বায়ক মনোনয়ন 

  • নাগরিক তরুণ শক্তি

রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত, তরুণ রাজনীতিবিদদের রোল মডেল, রাজনীতি এবং সোশ্যাল মিডিয়ায় তরুণদের সংগঠিত করেছেন – ১ জন

তরুণদের এবং যুব সমাজকে সংগঠিত করার অভিজ্ঞতা আছে, করছেন; দেশের কল্যাণে কাজ করছেন, আরও করতে ইচ্ছুক – ১ জন

শিক্ষাগত যোগ্যতায় এবং কর্মক্ষেত্রে দেশের তরুণদের রোল মডেল – ১০ জন

দেশের তরুণদের সংগঠনের অংশ হিসেবে তরুণদের সংগঠিত করেছেন, নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন ঘরে ঘরে পৌঁছে  দিতে চান  – কয়েকজন 

  • নাগরিক ছাত্র শক্তি

প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়-কলেজ-মাদ্রাসায় সবার পছন্দের কয়েকজন আদর্শ ছাত্রছাত্রী। 

আমরা শিক্ষাঙ্গনে

  • জ্ঞান চর্চা 
  • জ্ঞানের আদান প্রদান 
  • ভবিষ্যৎ কর্মজীবনের জন্য নিজেকে তৈরি করা 
  • সুস্থ রাজনীতির চর্চা, শিক্ষাঙ্গনের বিভিন্ন সমস্যা নিজেরা সমাধান করা 
  • উদ্ভাবনী উদ্যোগ 

দেখতে চাই।

ছাত্রছাত্রীরা কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে, দেশের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে এবং সবকিছুর উপরে নিজেদের যোগ্য সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তুলতে দল বেঁধে কাজ করবে।

  • নাগরিক ওলামা শক্তি

দেশের আলেম ওলামাদের কাছে শ্রদ্ধেয় সম্মানিত বয়োজোষ্ঠ ব্যক্তি – ১ জন

সম্মানিত আলেম, দেশের আলেম ওলামাদের সংগঠিত করেছেন – ৬ জন

  • নাগরিক গণজাগরণ মঞ্চ

দেশের তরুণ প্রজন্মের প্রতিনিধি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করেছেন – ৭ জন

  • নাগরিক উদ্যোক্তা ও ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারি শক্তি

দেশে একটা ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিভলিউশান এর সূচনায় তরুণ প্রজন্মকে সংগঠিত করতে চান, উদ্যোক্তা বা ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারী হিসেবে কাজ করছেন – ১০ জন

সম্মানিত সিনিয়ার মুক্তিযোদ্ধাদের আহ্বায়ক হিসেবে মনোনীত করে নাগরিক মুক্তিযোদ্ধা শক্তি সংগঠন।
সম্মানিত সিনিয়ার আইনজীবীদের আহ্বায়ক হিসেবে মনোনীত করে নাগরিক আইনজীবী শক্তি সংগঠন।
সম্মানিত সিনিয়ার চিকিৎসকদের আহ্বায়ক হিসেবে মনোনীত করে নাগরিক চিকিৎসক শক্তি সংগঠন।
সম্মানিত সিনিয়ার প্রকৌশলীদের আহ্বায়ক হিসেবে মনোনীত করে নাগরিক প্রকৌশলী শক্তি সংগঠন।
সম্মানিত সিনিয়ার শিল্প ব্যবসায়িদের আহ্বায়ক হিসেবে মনোনীত করে নাগরিক শিল্প ব্যবসায়ি শক্তি সংগঠন।
সম্মানিত সিনিয়ার সাংবাদিকদের আহ্বায়ক হিসেবে মনোনীত করে নাগরিক সাংবাদিক শক্তি সংগঠন।

আহ্বায়ক মনোনয়ন
জেনেরাল সেক্রেটারি সাহেব কো-জেনেরাল সেক্রেটারি সাহেবদের পরামর্শের ভিত্তিতে প্রেসিডেন্ট এবং এক্সিকিউটিভ প্রেসিডেন্ট সাহেবের অনুমোদন সাপেক্ষে মনোনয়ন দেবেন।

 

দলীয় কর্মসূচী 

জরুরি বিষয় বাদে দলীয় রাজনৈতিক কর্মসূচী ছুটির দিনগুলোতে দেওয়া হবে। এতে অর্থনীতির উপর, জনগণের উপর ক্ষতিকর প্রভাবও পড়বে না, জনসমাগমও বেশি হবে। নাগরিক শক্তি সব দলকে একই পথ অনুসরণ করতে আহ্বান জানাবে।

রেফরেন্স
[1] আদর্শ রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী পরিকল্পনা – ২
[2] আদর্শ রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী পরিকল্পনা – ১

নাগরিক শক্তির নির্বাচনে প্রার্থী মনোনয়ন

বড় দলগুলো অর্থ দিয়ে মনোনয়ন বিক্রি করে। মনোনয়ন প্রত্যাশীরা অর্থ দিয়ে মনোনয়ন বাণিজ্যের নিলাম হাট থেকে মনোনয়ন কেনেন। কালো টাকা, পেশি শক্তির প্রভাব হয়ে ওঠে যোগ্যতা নির্ধারণের মাপকাঠি। এবারও বিতর্কিত প্রার্থীদের ছড়াছড়ি। ১৯৪ (৩৫ শতাংশ) প্রার্থীর বিরুদ্ধে অতীতে মামলা ছিল

নাগরিক শক্তি মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে জনপ্রিয়তা, যোগ্যতা, মেধা, সততা, অভিজ্ঞতা, এলাকার উন্নয়ন কাকে দিয়ে হবে – এসব বিষয় বিবেচনায় নেবে। তৃনমূল থেকে প্রার্থীদের নাম প্রস্তাবের আহ্বান জানানো হবে এবং কেন্দ্রিয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। একাধিক প্রার্থী প্রায় সমান যোগ্যতা সম্পন্ন হলে সার্ভেই করে দেখা হবে জনগণ কাকে চান।

ফান্ড রেইজিং এর মাধ্যমে যে অর্থ রেইজড হবে তা শুধু মাত্র প্রার্থীদের ইলেকশান ক্যাম্পেইনে বায় করা হবে। প্রতিটি পয়সা খরচের হিসাবও রাখা হবে। স্বচ্ছতা কেন্দ্রিয়ভাবে মনিটারিং করা হবে এবং কারও বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হলে দল থেকে বহিষ্কারসহ কঠোর বাবস্থা নেওয়া হবে।

স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে তরুণদের সম্পৃক্তকরণ – ১

আমাদের Beautiful Bangladesh কে স্বপ্নের বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলতে প্রাণশক্তিতে ভরপুর তরুণ-তরুণীদের উপর আমাদের নির্ভরতা থাকবে সবচেয়ে বেশি।

তরুণদের কাছে “স্বপ্নের বাংলাদেশ” এর ভিডিও চিত্র / শর্ট ডকুমেন্টারি আহবান করা যায়। আমরা জানতে চাই, দেশ নিয়ে তরুণদের ভাবনা। জানতে চাই, তরুণরা স্বপ্নের বাংলাদেশে কি কি দেখতে চান। তরুণরা টীম গঠন করে তাদের সৃজনশীলতা দিয়ে স্বপ্নের বাংলাদেশ কেমন হবে তার একটা চিত্র ফুটিয়ে তুলে প্রস্তাব দেবেন। সবচেয়ে ভাল প্রস্তাবগুলোকে টীমের সক্ষমতা বিবেচনায় নিয়ে স্পন্সরের মাধ্যমে ফান্ড দেওয়া হবে। ফান্ড দিয়ে বাছাইকৃত টিমগুলো ভিডিও চিত্র / শর্ট ডকুমেন্টারি তৈরি করবেন। সেরাদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হবে। সেরা ক্লিপ্স / ডকুমেন্টারিগুলো আমরা নাগরিক শক্তির ওয়েবসাইটে রাখব। ফেইসবুক, ইউটিউব, ফোন এর মাধ্যমে ছড়িয়ে দেব। আমাদের দলের নির্বাচনী ইশতেহারে কোন কোন প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত করা যায় তা পর্যালোচনা করা হবে। সবচেয়ে বড় কথা – আমাদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা থাকবে নতুন প্রজন্মের স্বপ্নগুলো বাস্তবায়নে।

একইসাথে দেশের সব নাগরিকদের কাছে বাংলাদেশ নিয়ে স্বপ্নের কথা লেখার আহবান করা যায়। প্রত্যেকে নিজ নিজ কর্মক্ষেত্র, অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে লিখবেন। অর্থনীতিবিদরা লিখবেন দেশের অর্থনৈতিক বাবস্থা সংস্কার নিয়ে, বাবসায়ি-উদ্যোক্তারা লিখবেন বাবসা-বাণিজ্যের সংস্কার-সম্ভাবনা নিয়ে, আইনজ্ঞরা লিখবেন বিচার বিভাগ নিয়ে, শিক্ষাবিদরা লিখবেন শিক্ষাবাবস্থা নিয়ে, চিকিৎসকরা লিখবেন স্বাস্থ্য বাবস্থা নিয়ে, শিল্পী – সংস্কৃতি কর্মীরা লিখবেন সংস্কৃতি নিয়ে, প্রতিরক্ষা বাবস্থা নিয়ে লিখবেন বিশেষজ্ঞরা, প্রকৌশলীরা লিখবেন প্রযুক্তি ক্ষেত্রে সম্ভবনা নিয়ে, আলোকিত মানুষ ও আলোকিত সমাজ গড়ে তোলার উপায় নিয়ে লিখবেন কেউ কেউ। আমাদের ওয়েবসাইটে দেশ নিয়ে ভালবাসা আর স্বপ্নের কথার লেখাগুলো রাখা হবে। পরবর্তীতে নির্বাচিত লেখাগুলো বই আকারে প্রকাশ করা যায়।

নাগরিক শক্তির নির্বাচনী ইশতেহার তৈরিতে লেখাগুলো ভূমিকা পালন করবে। জনগণের দল হিসেবে নাগরিক শক্তির সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা থাকবে জনগণের স্বপ্ন বাস্তবায়নে।

গণজোয়ারের মাধ্যমে পরিবর্তন

সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে আছে নাগরিক শক্তির ঘোষণার জন্য।

নাগরিক শক্তির শক্তিঃ

  1. মুক্তিযোদ্ধা সমাজ 
  2. নাগরিক সমাজ
  3. ব্যবসায়ি সমাজ
  4. তরুণ প্রজন্ম
  5. গ্রামীণ নারী
  6. মাদ্রাসা সংশ্লিষ্ট, আলেমসমাজ
  7. রাজনৈতিক দল, নেতাকর্মীরা
  8. ঘোষণা দেওয়ার পর আমাদের “স্টার-প্যাকড” নেতৃত্ব

আমাদের অত্যন্ত শক্তিশালী তিনটি নেটওয়ার্ক আছে – তিনটি নেটওয়ার্কের প্রতিটির আওতায় মিলিয়ন মিলিয়ন মানুষ আছেন।

আরও দুটি ডেমগ্রাফিক আছে – প্রত্যেকটি কয়েক মিলিয়ন মানুষের।

এরা সবাই যখন পরিবার, পরিচিতদের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়বে!

সাথে যোগ দেবেন প্রাজ্ঞ রাজনীতিবিদরা।

আমাদের “স্টার-প্যাকড” নেতৃত্বের পাশে প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলো!

সবার উপরে আমাদের ভিশন এবং জনগণের পাশে থেকে জনগণের জন্য উন্নয়নের রাজনীতি করার অভিপ্রায়। আর মেধা – নেটওয়ার্ক এবং উন্নত ইলেকশান ক্যাম্পেইন স্ট্রাটেজি।

মানুষ সমাজসেবকদের ভোট দেবেন নাকি সন্ত্রাসীদের গডফাদার, দুর্নীতিবাজদের ভোট দেবেন?

সন্ত্রাসীদের গডফাদাররা, দুর্নীতিবাজরা কালো টাকা, পেশি শক্তি ব্যবহার করতে না পারলে (নির্বাচনী আচরণবিধি সঠিকভাবে প্রয়োগ হলে) তাদের কে ভোট দেবে? অভিজ্ঞতা থেকে জানি, এসব নির্যাতনকারী, খুনি সন্ত্রাসীদের গডফাদারদের বিরুদ্ধে মানুষের চরম ক্ষোভ – কাউকে পেলে ছাড়বেন না – প্রাণের ভয়ে চুপ করে থাকেন।

গণজোয়ার উঠবে!

কয়েকমাস আগের সার্ভেই তে AL – ৩৪% এবং BNP – ৪৮%।

শেয়ার বাজার ধ্বস, গ্রামীণ ব্যাংকে অন্যায় হস্তক্ষেপ, দুর্নীতি, সন্ত্রাসী কার্যকলাপ, আস্তিক-নাস্তিক প্রচার – এসব কারণে AL এর এই দশা। এই কয়েক মাসে সমর্থন আরও বেশ খানিকটা কমেছে বলেই ধারণা।

BNP কি মহান কিছু করেছে? আমরা উত্তরটা জানি। AL এর দুঃশাসনে অতিষ্ঠ জনগণ পরিবর্তন চায়। আস্তিক – নাস্তিক প্রচারও পক্ষে গেছে, যদিও ২০০১-২০০৬ তে আমরা এদেরকে দুর্নীতিতে আকণ্ঠ নিমজ্জিত দেখেছিলাম।

তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রতিষ্ঠার দাবিতে নির্বিচারে মানুষ খুন, অবরোধ-হরতালের মাধ্যমে দেশের অর্থনীতি ধ্বংস জনগণ ভালভাবে নেইনি।

BNP র কোন কালেই কোন আদর্শ ছিল না। ভোটের আগে ইসলামী চেতনার একটা মুখোশ ধারণ করে ক্ষমতায় গিয়ে দুর্নীতিতে নিমজ্জিত হয়ে সেই চেতনা জলাঞ্জলি দিয়েছে। ইসলামী চেতনার মুখোশ নিয়ে সুযোগ পেলে জামায়াত ইসলামীর নেতৃত্বে সংখ্যালঘুদের উপর ঝাপিয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা আর অসাম্প্রদায়িকতার আদর্শ যা ছিল এবার তা ভূলুণ্ঠিত করেছে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে স্বৈরাচারী চেতনাকে তারা গ্রহণ করেছে। সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা দিতে তারা শুধু বার্থ হয়নি, বরং ভূমিদস্যুতাকে লক্ষ্য হিসেবে নিয়ে সর্বদলীয় সাম্প্রদায়িক হামলা চালিয়েছে।

অনেক অনেক বছর ধরে বাংলাদেশের জনগণ একটা পরিবর্তন চাচ্ছে। পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষাটা এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি।

নাগরিক শক্তি নামের তাৎপর্য

“নাগরিক” সমাজ।

দেশের সকল “নাগরিক”।

অন্যায়-অবিচার-দুর্নীতির বিরুদ্ধে “শক্তি”।

নাগরিক সমাজ পথ দেখাবে। কিন্তু জনগণ পরিবর্তন আনবে।

প্রতীকঃ বই

মূলমন্ত্র: “জ্ঞানের আলোয় উন্নত বাংলাদেশ”

নাগরিক শক্তির গ্র্যান্ড ভিশনঃ সারা দেশের ১৬ কোটি বাংলাদেশীকে ঐক্যবদ্ধ করা।

নাগরিক শক্তির শিক্ষাবিষয়ক পরিকল্পনা

  • শিক্ষা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যেকটা মানুষের মাঝে লুকিয়ে আছে বিশাল সুপ্ত ক্ষমতা। শিক্ষার মাধ্যমে প্রত্যেকে তার সুপ্ত ক্ষমতাকে জাগিয়ে তুলে এক একটা বিশাল শক্তি হয়ে উঠতে পারে। জ্ঞান আর মেধা দিয়ে জীবনে সবকিছু অর্জন করা যায়। যে কেউ প্রায় যে কোন বয়সে সঠিকভাবে চেষ্টা করলে যে কোন কিছু হয়ে উঠতে পারে – এই বিশ্বাসটা সবার মধ্যে জাগিয়ে তুলতে হবে। মানুষগুলোকে জাগিয়ে তুলতে পারলে আর কিছু লাগবে না। এক একটা মানুষ যেখানে বিশাল শক্তি হতে পারে সেখানে ১৬ কোটি মানুষকে জাগিয়ে তুলতে পারলে আমাদের আর পিছে ফিরে তাকাতে হবে না। 
    • শিক্ষা শুধুমাত্র প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় সীমাবদ্ধ না, আমরা চাইলে জীবনের প্রতিটা মুহূর্তে চারপাশ থেকে শিখতে পারি। 
    • ইতিহাসের যে কোন সময়ের তুলনায় নিজেকে উপরে তোলার সুযোগও সবচেয়ে বেশি আমাদের প্রজন্মের। আধুনিক প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন আমাদের হাতে দিয়েছে অনন্য সব আবিষ্কার – মানুষ এখন যে কোন প্রান্তে বসে যে কোন কিছু শিখতে পারে, যে কারও সাথে যোগাযোগ করতে পারে, কোটি মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারে, কাজ করতে পারে, পারে আয় রোজগার করতে।
  • বাজেটে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হবে।
  • শিক্ষাবিদদের নিয়ে শিক্ষা কমিশন গঠন করা হবে। কমিশনের পরামর্শের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী – অভিভাবকদের মতামত নিয়ে প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত শিক্ষাবাবস্থার প্রতিটি পর্যায়ে আমূল সংস্কার আনা হবে। 
  • সৃজনশীল এবং বাস্তব জীবনে প্রয়োগ নির্ভর শিক্ষা বাবস্থা চালু। 
    • বই থেকে শেখা জ্ঞান দিয়ে জগতটাকে দেখতে শেখানো। 
    • “লার্নিং বাই ডুইং” (হাতে কলমে শিক্ষা) চালু করা হবে। এতে বইয়ের জগত এবং বাস্তব জীবনের মধ্যে মেলবন্ধন তৈরি হবে। 
  • শিক্ষার্থীরা আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে নিজেরা শিখবে। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে পারস্পরিক যোগাযোগের মাধ্যমে শিখবে। 
  • দেশের প্রত্যেকটা স্কুলে আধুনিক লাইব্রেরি গড়ে তোলা হবে। 
    • লাইব্রেরিগুলো হবে জ্ঞান চর্চা ও জ্ঞান আদানপ্রদানের কেন্দ্র। 
    • বই, উচ্চগতির ইন্টারনেটসহ কম্পিউটার এবং কিছু যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হবে। 
    • স্কুল লাইব্রেরিগুলো সবসময় খোলা থাকবে। শিক্ষার্থীরা যতক্ষণ খুশি লাইব্রেরিতে সময় কাটাতে পারবে। 
  • সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে পাঠ্যসূচীতে পরিবর্তন। নৈতিকতার শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
  • পরীক্ষা পদ্ধতি, মূল্যায়ন পদ্ধতিতে সংস্কার আনা হবে।
  • শিক্ষার্থীরা মেধাভিত্তিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। বিভিন্ন অলিম্পিয়াড, প্রতিযোগিতা এবং অন্যান্য উদ্যোগের মাধ্যমে মেধাবী জাতি গড়ে তোলা হবে। 
    • ছাত্র – ছাত্রী, কিশোরকিশোরী, তরুণ-বৃদ্ধ সবাই অবসরে ধাধার সমস্যার সমাধান করবে। মেধা-বুদ্ধি শানিত করবে। সূচনা হবে নতুন সংস্কৃতির। প্রত্যেকে হয়ে উঠবেন চিন্তাশীল, মেধাবী, বুদ্ধিমান।  
    • গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত গণিত অলিম্পিয়াড, বিজ্ঞান প্রকল্প এর সংস্কৃতি ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
  • বাংলাদেশে বিশ্বমানের কয়েকটা বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হবে। 
    • দেশে বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়ে, বিনিয়োগ নিশ্চিত করে বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে PhD ডিগ্রি প্রাপ্তদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে
    • BUET এবং DU কে এখনই বিশ্বমানের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। পরিবর্তনের হাওয়া লাগলে সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে তা ছড়িয়ে পড়বে। একে একে MIST, SUST, CUET, RU, KUET, RUET, CU, KU এবং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো Ranking এ উপরের দিকে উঠে আসবে। ঠিক যেভাবে ICPC কিংবা TopCoder Ranking এ আমরা শীর্ষস্থানগুলো দখল করছি। 
    • বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সত্যিকারের গবেষণা শুরু হবে – বরাদ্দ বাড়বে, গবেষণা সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আনা হবে। 
    • বিশ্ববিদ্যালয় – ইন্ডাস্ট্রি এর মধ্যে যোগাযোগ গড়ে তোলা হবে। 
      • ইন্ডাস্ট্রির চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পাঠ্যক্রমে পরিবর্তন আনা হবে। 
      • প্রোডাক্ট ডেভেলাপমেন্ট এবং রিসার্চে বিশ্ববিদ্যালয় – ইন্ডাস্ট্রি একসাথে কাজ করবে। 
      • কোন শিক্ষার্থীর প্রজেক্ট হয়ে উঠবে আরেকটি ইন্ডাস্ট্রির প্রোডাক্ট। 
      • ফ্যাকাল্টি মেম্বাররা প্রোডাক্ট ডেভেলাপমেন্ট এবং রিসার্চে ইন্ডাস্ট্রির কাছে ফান্ডিং এর আবেদন করবেন। 
    • প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় এবং এদের শাখাগুলোর অনুমতি প্রদানে স্বচ্ছতা আনা হবে – ন্যূনতম মান নিশ্চিত করা হবে।
  • দেশের যেসব জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় নেই, সেসব জেলায় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হবে।যেগুলো আছে ওগুলোর আসন সংখ্যা বাড়ানো হবে। 
    • সুযোগ দিলে অনেকেই সর্বোচ্চ চেষ্টার মাধ্যমে “কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি নিয়ে ভাল চাকরি” করতে চাইবে। কিছু কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি শুধুমাত্র এইচএসসি বা সমমানের শিক্ষার্থীদের মাঝে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। সমাজে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার এটাই একমাত্র উপায় – অনেকে একটু বড় হওয়ার পর বুঝতে পারে!
  • বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন রাঙ্কিং প্রথা প্রবর্তিত হবে। 
    • রাঙ্কিং প্রথায় বিভিন্ন objective measures ব্যবহার করা হবে – যেগুলো নিয়ে বিতর্কের সুযোগ নেই। জার্নালে এবং কনফারেন্সে পেপার পাব্লিকেশানের উপর এত পয়েন্টস, পেপারের ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টরের উপর এত, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় সাফল্যের উপর এত, পাশ করার ৩ মাসের মধ্যে চাকরি প্রাপ্তির হারের উপর এত, শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও গবেষণা প্রোফাইলের উপর এত, ছাত্র – শিক্ষক অনুপাতের উপর এত পয়েন্টস – এরকম কিছু measures। 
    • প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজেদের মাঝে এবং সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে মেধাবী ছাত্র ভর্তির জন্য এক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা করবে – ফলশ্রুতিতে সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের মান বাড়বে। 
    • বিষয়ভিত্তিক রাঙ্কিং প্রথা চালু করা হবে। 
    • কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হয়ত গর্বের সাথে বলবে, জান, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ দেশ সেরা! যাকে বলা হবে সে উত্তর দেবে, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ দেশ সেরা আর এশিয়ার সেরা ১০টার একটা!  
  • বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী দেশের কিশোর গণিতবিদদের কাছে যে ৩টি স্বপ্নের কথা বলেছিলেন তাদের মধ্যে ছিল ২০২২ সালের মধ্যে একজন বাংলাদেশী গনিতবিদের ফিল্ডস মেডল জয় এবং ২০৩০ সালের মধ্যে একজন বাংলাদেশী বিজ্ঞানীর নোবেল পুরষ্কার জয়। নাগরিক শক্তি ২০৩০ সালের মধ্যে ফিল্ডস মেডেল এবং নোবেল পুরস্কার জয়ের লক্ষ্যে গবেষণা সংস্কৃতিতে নতুন জাগরণ এবং বিশ্বমানের গবেষণা ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠা করবে।
  • উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষা কার্যক্রম যাতে অপরাজনীতির কারণে বাঁধাগ্রস্থ না হয়, দুর্নীতির কারণে ক্ষতিগ্রস্থ (যেমন নিয়োগে অনিয়ম) না হয়, সে ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে। 
    • সেশন জটের কারণগুলো চিহ্নিত করে দূর করা হবে। আন্ডারগ্রাজুয়েট শিক্ষার্থীরা ৪ বছরে বাচেলারস ডিগ্রী শেষ করবে। 
    • আমরা শিক্ষাঙ্গনে সুস্থ রাজনীতির চর্চা, উদ্ভাবনী উদ্যোগ দেখতে চাই – ছাত্রছাত্রীরা কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে, মানুষের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে দল বেঁধে কাজ করবে। 
  • মাদ্রাসা শিক্ষাবাবস্থার সংস্কার (সবার মতামতের ভিত্তিতে) – আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞান অন্তর্ভুক্তিকরন – যাতে মাদ্রাসা শিক্ষাবাবস্থায় শিক্ষিতরা মেডিক্যাল, ইঞ্জিনিয়ারিং, বাবসা, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও বেশি সুযোগ পায়।
  • তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রকৌশলী থেকে শুরু করে কৃষক পর্যন্ত সবার জন্য “লাইফলং লার্নিং” (জীবন ব্যাপী শিক্ষা) এর সুযোগ।
শিক্ষা নিয়ে আরও


তোমাদের জন্য লেখা


শিক্ষাবিদরা কি ভাবছেন

– ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা; উপাচার্য, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক; সভাপতি, বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি।


তরুণ প্রজন্ম এখন নেতৃত্ব নিতে সক্ষম
– ডঃ মুহম্মদ জাফর ইকবাল, বিভাগীয় প্রধান, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
 
 

– ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ: অধ্যাপক, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও ফেলো, বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্সেস।




শিক্ষায় বাংলাদেশী উদ্যোগ 

নাগরিক শক্তির আত্নপ্রকাশ

নাগরিক শক্তির আত্নপ্রকাশঃ ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৩। 
প্রতিবছর বিজয় দিবসের দিনে আমরা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করব।

  • মুক্তিযোদ্ধারা বাংলাদেশ নিয়ে তাদের স্বপ্নের কথা তুলে ধরবেন।
  • বিভিন্ন শ্রেণী পেশা (অন্যান্যদের মধ্যে একজন কৃষক, একজন গার্মেন্টস কর্মী, একজন রিকশা চালক থাকবেন) বিভিন্ন জাতি (পাহাড়ি) ধর্মের মানুষ তাদের প্রত্যাশা, আশা আকাঙ্খার কথা তুলে ধরবেন। (নাগরিক শক্তি জনগণের দল।)
  • একজন তরুণ ব্লগার একজন মাদ্রাসা ছাত্রকে ব্লগ লেখা শিখিয়ে দেবেন এবং মাদ্রাসা ছাত্র ইসলাম কিভাবে আমাদের পথ প্রদর্শক হতে পারে তা নিয়ে একটি ব্লগ পাবলিশ করবেন। আমাদের চিন্তা ভাবনা, মূল্যবোধ, ধ্যান – ধারণায় পার্থক্য থাকতে পারে – কিন্তু একসাথে বসে আলোচনা করলে আমাদের মাঝের দূরত্বটুকু দূর হয়ে যায়।
  • বাংলাদেশের মানুষ পরিকল্পনাবিহীন অপরাজনীতি দেখে অভ্যস্ত। জনগণ জানে না সুপরিকল্পিত সুশাসন দেশকে কোথায় নিয়ে যেতে পারে। বাংলাদেশ সঠিকভাবে পরিচালিত হলে স্বপ্নের বাংলাদেশ কেমন হবে তার এবং সেই স্বপ্নের বাংলাদেশে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের জীবনের একটা চিত্র জনগণের সামনে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে তুলে ধরে জনগণকে সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্নে উজ্জীবিত করা হবে। দৃঢ়তার সাথে জনগণকে জানানো হবে স্বপ্নের বাংলাদেশের লক্ষ্যে পরিবর্তন এবারই আসছে।
  • জাতি ধর্ম বর্ণ শ্রেণী পেশা নির্বিশেষে কারও উপর যাতে কখনও অন্যায় না হয়, জনগণকে এলাকায় এলাকায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে তা নিশ্চিত করতে আহ্বান জানান হবে এবং দলটি এক্ষেত্রে জনগণের পাশে থাকবে।
  • নাগরিক শক্তি জনগণের দল। জনগণ সব ধরণের মাধ্যম (ওয়েব, সেল ফোন, ইমেইল ইত্যাদি) ব্যবহার করে যাতে দলটির কাছে প্রত্যাশা, মতামত, আশা আকাঙ্ক্ষা তুলে ধরতে পারে সে লক্ষ্যে বাবস্থা।
  • কয়েকটি দল বিলুপ্ত ঘোষণা করে স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে সকলে মিলে নাগরিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে – ট্রাঞ্জিশানটা স্মুথ হবে – সবাইকে নাগরিক শক্তির অংশ করে নেওয়া। প্রত্যেক দলের দলীয় প্রধান ঘোষণা দেবেন।
  • ওয়েবে আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচারিত হবে।
  • স্থানীয় পর্যায়ে আয়োজন থাকবে।
  • মেম্বারশিপ ফর্ম (সেল ফোন, ওয়েব, কাগজ – সুনাগরিক হিসেবে দেশের জন্য কি ভূমিকা রাখতে চান, দলীয় সদস্য হিসেবে কোন কোন ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে চান – তা লিখবেন।)
  • জনগণকে প্রতিটি কর্মকাণ্ডে যত বেশি সম্পৃক্ত করা যাবে – জনগণের সাথে দলটির তত বেশি আবেগের সম্পর্ক গড়ে উঠবে।
  • সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
    • ফেইসবুক পেইজ
    • ওয়েবসাইট (মডারেটেড ব্লগ থাকবে)
    • ইউটিউব চ্যানেল (স্বপ্নের বাংলাদেশের ভিডিও, দেশ নিয়ে ভিডিও, দলীয় কর্মকাণ্ডের ভিডিও)
    • বুকলেট
    • ডিজিটাল মিডিয়া / সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, তারুণ্য। স্বপ্নের বংলাদেশের ভিডিও (দলের নাম, প্রতীক) -> লিংকঃ ফেইসবুক, ইউটিউব পেইজ, ওয়েব সাইট (সবাই পড়তে পারবে, কিন্তু সাইটে কমেন্ট করতে / মতামত দিতে ফেইসবুক লগইন। (তা নাহলে স্প্যাম, উদ্দেশ্য প্রণোদিত কমেন্ট – অ্যাডমিন মডারেশান এর পর পাবলিশ) সাইট ব্লগে নিজেদের চিন্তা ভাবনা, প্রত্যাশা প্রকাশ করার সুযোগ দেওয়া যেতে পারে।)। দলটা আমাদের সবার। সবার মতামতের ভিত্তিতেই পরিচালিত হবে দল এবং দেশ। স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে উঠবে তারুণ্যের শক্তিতে। তরুণদের জন্য প্ল্যাটফর্ম গড়ে দেওয়া হবে যাতে তারা বিভিন্ন কল্যাণমুখী, উদ্ভাবনী উদ্যোগ নিতে পারে। লেখাগুলো ভাগ করে ইমেইজ হিসেবে শেয়ার দেওয়া হবে (দলের নাম, প্রতীক থাকবে ইমেইজে) – সবাই পড়বে, লাইক – শেয়ার দিবে এবং এভাবে ছড়িয়ে পড়বে। গ্রামে সবাই ফোন ব্যবহার করে এক্সেস করবে। কাজেই মোবাইল অপ্টিমাইজড ডিজাইন। (ডিজিটাল মিডিয়া সিকিউরিটি)
    • তরুণ তরুণীরা সবচেয়ে বেশি উৎসাহ নিয়ে কাজ করবে। টীম গড়ে তুলতে হবে। সবাই একসাথে বসে মিটিং এর পাশাপাশি ভার্চুয়ালি একসাথে কাজ করতে পারে, সাজেশান দিতে পারে, যোগাযোগ দিতে পারে সে লক্ষ্যে বাবস্থা – “ক্লোজড গ্রুপ”। তরুণ তরুণীদের মাঝ থেকেই ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব গড়ে উঠবে।

১৪ ডিসেম্বর, ২০১৩ – বুদ্ধিজীবী, নাগরিক সমাজ, বাবসায়ি সমাজ কে নিয়ে নাগরিক ঐক্যের আলোচনা-সভা। বুদ্ধিজীবীরা, নাগরিক সমাজের সদস্যরা, বাবসায়িরা দেশ গঠনে নিজেদের মতামত, দিক নির্দেশনা তুলে ধরবেন।

নাগরিক শক্তি

দলের নাম: নাগরিক শক্তি
প্রতীক: বই


মূলমন্ত্র: “জ্ঞানের আলোয় উন্নত বাংলাদেশ”


মূলনীতি
1. সবকিছুর উপর জাতীয় স্বার্থ
2. মুক্তিযুদ্ধের চেতনা
3. জাতি ধর্ম বর্ণ শ্রেণী পেশা নির্বিশেষে সবার একতা, সবার স্বার্থ সংরক্ষণ; সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্নে সবাই ঐক্যবদ্ধ
4. গণতন্ত্রমনা – দলের প্রতিটি কর্মকাণ্ডে জনগণের মতামত, আশা আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হবে, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে
5. সকল অন্যায়, অপকর্ম, অত্যাচার, দুর্নীতির বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান


সাংগঠনিক কাঠামো
প্রেসিডেন্ট
এক্সিকিউটিভ প্রেসিডেন্ট
ভাইস প্রেসিডেন্ট – ৭ জন
জেনেরাল সেক্রেটারি এবং কো-জেনেরাল সেক্রেটারি

জয়েন্ট জেনেরাল সেক্রেটারি – ১১ জন (আরও কয়েকজন যুক্ত হবেন)

Electoral Plan for an Ideal Political Party – 2 (আদর্শ রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী পরিকল্পনা – ২)

 

জনগনের পাশে গিয়ে দাঁড়াতে হবে। বিভিন্ন ডেমোগ্রাফিকের জনগণের সমস্যা, আশা আকাঙ্ক্ষা বুঝতে হবে। তাদের সমস্যার সমাধান কিভাবে করা যায়? উদ্যোগ? প্লাটফর্ম? জনগণের নিরাপত্তা? আমরা সমস্যা সমাধানে কতটুকু আন্তরিক বুঝিয়ে দিতে হবে।

সুপরিকল্পিত সুশাসন এর মাধ্যমে স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে উঠবে এই স্বপ্নে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। স্বপ্নের বাংলাদেশের বাস্তবমুখী গল্প, ভিডিও চিত্র (দলের ট্রেডমার্কসহ) জনগণের কাছে ছড়িয়ে পড়বে।

সবার মাঝে নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে হবে।
তরুণদের কাছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম দিয়ে পৌঁছান সবচেয়ে সহজ।
নেতারা আসবেন strength দেখে। নেতাদের মাঝে যোগাযোগের বাবস্থা করতে হবে। এতে সবার মাঝে বন্ধন গড়ে উঠবে। নেতাদের মাঝে নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে পারলে সেই নেটওয়ার্ক এর আকার বাড়তে থাকবে।
বিভিন্ন নেটওয়ার্ক – তরুণদের নেটওয়ার্ক, বাবসায়িদের নেটওয়ার্ক, বুদ্ধিজীবীদের নেটওয়ার্ক, সাংবাদিকদের নেটওয়ার্ক গড়ে উঠবে। ভিন্ন ভিন্ন পেশা, ভিন্ন ভিন্ন দলের নেতাকর্মীদের মাঝেও নেটওয়ার্ক গড়ে উঠবে। নেটওয়ার্ক দ্রুত বড় হবে।
আমাদের হিশেব নিকেশ রাখতে হবে আমাদের নেটওয়ার্ক এ কারা কারা আছেন। এই নেটওয়ার্কগুলোকে কিভাবে বাড়ানো যায়। নেটওয়ার্কগুলো নিজেরা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যমে দ্রুত বড় হতে থাকবে। যারা নেটওয়ার্ক এ আছেন, তারা নেটওয়ার্ক এর বাইরের অন্যদের নেটওয়ার্ক এ আনবেন।
নেটওয়ার্কগুলো গড়ে উঠবে স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে।
নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে পারলে মানুষ সম্মিলিতভাবে নিজেদের সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন উদ্যোগ নেবে। বুদ্ধিজীবীদের নেটওয়ার্ক এক্ষেত্রে অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করবে।

অন্ধকারাচ্ছন্ন রাজনীতির বদলে স্বপ্নের বাংলাদেশ

আমরা যারা আদর্শ রাজনৈতিক দলের স্বপ্ন দেখি আমরা জানি আমাদের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হলে বিপুল সম্ভনাময় এই দেশকে আমরা সবাই মিলে কোথায় নিয়ে যেতে পারব। জাতি ধর্ম বর্ণ শ্রেণী পেশা নির্বিশেষে জনগণের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে আমরা প্রাণশক্তিতে ভরপুর বিশাল তরুন প্রজন্মকে নিয়ে বাবসা বান্ধব, শিল্প বান্ধব, উদ্যোক্তা বান্ধব এবং সর্বপরি অর্থনৈতিক ভাবে শক্তিশালী একটি দেশ গড়ে তুলবো।

আমরা আরও জানি আমরা এগিয়ে না এলে কি ঘটবে।.
গডফাদারদের হাতে সাধারণ মানুষের খুন টর্চার অব্যাহত থাকবে।
গুজব রটিয়ে মানুষ হত্যা, ঘরবাড়ি পোড়ান অব্যাহত থাকবে।
হরতালে “জ্বালাও পোড়াও” এর মাধ্যমে হাজার কোটি টাকার ক্ষতি, দেশের অর্থনীতি ধ্বংস চলতে থাকবে।
বিনিয়োগ কারিদের থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষকে ঠকানো অব্যাহত থাকবে।
প্রতিটি কাজে ঘুষ, দুর্নীতির প্রয়োজন হবে।
আমাদের দেশের সরকারি দলের হাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং বিচার বিভাগের নিয়ন্ত্রণ চলে যাওয়ায় রাজনীতিবিদরা আইনের উরধে উঠে যান। নিজেদের আইনের উরধে ভাবায় এদের মধ্য থেকে দেশে কিছু দানবের জন্ম হয়েছে। এসব দানবরা চাঁদাবাজি, খেলাপি ঋণের অর্থ দিয়ে কি করে? টর্চার সেলে গুন্ডা, মাস্তানদের বেতন দিয়ে মানুষকে কষ্ট দিতে দিতে খুন করা হয়। নারীদের উপর চালানো হয় নির্যাতন। ভূমিদস্যুর ভূমিকায় হয় জমি দখল। মানুষকে ছলে বলে কৌশলে খারাপ কাজ করতে বাধ্য করে গোপন ক্যামে ধারণ করা হয়। বেডরুম, বাথরুমের কার্যকলাপ পর্যন্ত গোপনে ধারণ করা হয়। খেলাপি ঋণের, চাঁদাবাজির টাকা দিয়ে এরা ভোট কেনেন। ভোট না দিলে নির্যাতন, খুন করার জন্য টর্চার সেল তৈরি থাকে। মাস্তান, গুণ্ডারা এসব দানবের পাশে থেকে আইনের উরধে থাকার নিশ্চয়তা পায়। কিন্তু একটু এদিক ওদিক হলে তাদের ভাগ্যেও জোটে টর্চার এর মাধ্যমে খুন।
এসব দানবের হাত থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষা করার দায় আমরা এড়াতে পারি না।
আমাদের বাবসায়িদের রাজনীতিবিদদের চাঁদা দিয়ে বাবসা করতে হয়। তার বিনিময়ে এই চাঁদাবাজ রাজনীতিবিদরা বাবসা বান্ধব, শিল্প বান্ধব, উদ্যোক্তা বান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে কতটুকু করেন? দেশের উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা হাতে নেওয়া এবং বাস্তবায়ন আশা করাতো অলীক স্বপ্ন কল্পনার ব্যাপার।
আমরা যারা নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছি, আমরা স্বপ্ন বাস্তবায়নে সবকিছু করতে পারি। আমাদের আশে পাশের মানুষকে সেই স্বপ্নে উদ্বুদ্ধ করা দরকার।

Electoral Plan for an Ideal Political Party – 1 (আদর্শ রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী পরিকল্পনা – ১)

 

  1. এবার ৩টি পক্ষের (দল / জোট) মধ্যে ভোট ভাগাভাগি হবে। একটি আসনে ৩৫ – ৪০% ভোট পেয়েই প্রার্থী নির্বাচিত হতে পারেন। পুরো দেশে ৩৩% ভোট নিয়েই এক পক্ষ ১৫১+ আসন পেতে পারে। প্রতি আসনে ৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বী থাকায় শক্তিশালী স্বতন্ত্র প্রার্থী কম থাকবেন। গতবার দুই প্রধান জোট মিলে ৮২.২% ভোট ভাগাভাগি করেছিল।
  2. বাংলাদেশের মানুষ পরিকল্পনাবিহীন অপরাজনীতি দেখে অভ্যস্ত। জনগণ জানে না সুপরিকল্পিত সুশাসন দেশকে কোথায় নিয়ে যেতে পারে। আদর্শ রাজনৈতিক দলটি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে জনগণের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেবে। আমাদের রাজনীতি সচেতন জনগণও শুধুমাত্র চায়ের কাপে নেতানেত্রীদের আলোচনা – সমালোচনার মাঝে রাজনীতিকে সীমাবদ্ধ রাখবেন না, বরং তারাই হবেন রাজনীতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ – তাদের কেন্দ্র করেই দেশের রাজনীতি পরিচালিত হবে – আদর্শ দল তা নিশ্চিত করবে।
  3. আদর্শ রাজনৈতিক দলের নেতারা ইতিহাসের মহানায়কদের মত জানেন, ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির, ভিন্ন আদর্শ, মূল্যবোধে বিশ্বাসী মানুষকে নতুন যুক্তিযুক্ত দৃষ্টিভঙ্গি দেখাতে পারলে তারা তা গ্রহণ করবেন। দলের নেতারা নিজেরাও নিজেদের সবজান্তা ভাবার ধৃষ্টতা না দেখিয়ে, নিজেদের পথই একমাত্র সঠিক পথ না ভেবে, ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি, ভিন্ন মূল্যবোধ গভীরভাবে বোঝার এবং গ্রহণ করার মানসিকতা দেখাবেন। সমগ্র দেশের চেতনাকে ধারণ করতে তারা বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির মানুষদের দূরত্ব দূর করে একতাবদ্ধ করবেন।
  4. দলটি দেশের জনসংখ্যাকে বিভিন্ন ডেমোগ্রাফিকে বিভক্ত করে ভিন্ন ভিন্ন ডেমোগ্রাফিকের কাছে আলাদা আলাদা ভাবে পৌঁছাবে। পরিকল্পনা হাতে নেবে।
    1. তরুণদের কাছে পৌঁছাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে ব্যবহার করবে। তরুণদের জন্য প্লাটফর্ম তৈরি করে দেবে যাতে ওরা বিভিন্ন উদ্যোগ নিতে পারে।
    2. গ্রামের গরিব দুঃখী অসহায় মানুষগুলোর পাশে গিয়ে তাদের সমস্যা বোঝার চেষ্টা করবে। গ্রামের বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা সবাই মিলে সমাধানের উদ্যোগ নেবে।
    3. শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে তাদের পাশে দাঁড়াবে।
    4. বাবসায়িদের বাবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির উপায় নিরুপন করে উদ্যোগ নেবে।
    5. সৎ বিনিয়োগকারিদের অভিযোগগুলো বোঝার চেষ্টা করবে।
    6. দেশের সম্পদ রক্ষায়, দেশের বৃহত্তর কল্যাণে যারা কাজ করছে তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়াবে।
    7. বিভিন্ন ক্ষেত্রে যারা অন্যায় করছে, দুর্নীতি করছে, সেই অন্যায়, দুর্নীতিগুলোর বিরুদ্ধে সবাইকে নিয়ে অবস্থান নেবে।
  5. ভোটঃ (rough estimate করার জন্য ৯ লক্ষ ভোট = ১% ধরা যায়)
    1. গ্রামীণ নারী (এবং তাদের পরিবার) – ৬%+
    2. জাতীয় পার্টি, বিকল্প ধারা, গণফোরাম, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, জাসদ(রব) এবং অন্যান্য দল – ৭-১০%
    3. মাদ্রাসা সংশ্লিষ্ট, আলেমসমাজ (এবং তাদের পরিবার) – ২-৩%+
    4. বিভিন্ন সংসদীয় এলাকার নেতা
    5. বুদ্ধিজীবী সমাজ, সুশীল সমাজ
    6. তরুণ প্রজন্ম (১৮-৩৫ বছর – দেশের মোট ভোটারের ৪৫%)
    7. মুসলিম বাতীত অন্যান্য জাতি, ধর্মের জনগোষ্ঠী (দেশের মোট ভোটারের ১০%)
  6. জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবার নিরাপত্তার জন্য ঐক্য। গ্রামে গ্রামে একতার উদ্যোগ। গুজব রটিয়ে সহিংসতা সৃষ্টি যাতে কেউ করতে না পারে সে লক্ষ্যে সচেতনতা সৃষ্টি।
  7. বাংলাদেশ সঠিকভাবে পরিচালিত হলে স্বপ্নের বাংলাদেশ কেমন হবে তার এবং সেই স্বপ্নের বাংলাদেশে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের জীবনের একটা চিত্র জনগণের সামনে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে তুলে ধরে জনগণকে সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্নে উজ্জীবিত করা হবে।
  8. ডিজিটাল মিডিয়া / সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, তারুণ্য। স্বপ্নের বংলাদেশের ভিডিও (দলের নাম, প্রতীক) -> লিংকঃ ফেইসবুক, ইউটিউব পেইজ, ওয়েব সাইট (সবাই পড়তে পারবে, কিন্তু সাইটে কমেন্ট করতে / মতামত দিতে ফেইসবুক লগইন। সাইট ব্লগে নিজেদের চিন্তা ভাবনা, প্রত্যাশা প্রকাশ করার সুযোগ দেওয়া যেতে পারে।)। দলটা আমাদের সবার। সবার মতামতের ভিত্তিতেই পরিচালিত হবে দল এবং দেশ। স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে উঠবে তারুণ্যের শক্তিতে। তরুণদের জন্য প্ল্যাটফর্ম গড়ে দেওয়া হবে যাতে তারা বিভিন্ন কল্যাণমুখী, উদ্ভাবনী উদ্যোগ নিতে পারে। লেখাগুলো ভাগ করে ইমেইজ হিসেবে শেয়ার দেওয়া হবে (দলের ট্রেডমার্ক থাকবে ইমেইজে) – সবাই পড়বে, লাইক – শেয়ার দিবে এবং এভাবে ছড়িয়ে পড়বে। গ্রামে সবাই ফোন ব্যবহার করে এক্সেস করবে। কাজেই মোবাইল অপ্টিমাইজড ডিজাইন।
  9. তরুণদের এমনভাবে গড়ে তোলা হবে যাতে তারা ভবিষ্যতে জনগণের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে এবং দেশ গঠনে নেতৃত্ব দিতে পারে।

আদর্শ রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ইশতেহারের রূপরেখা

আদর্শ রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ইশতেহারে যেসব বিষয় থাকবেঃ

  1. শিক্ষা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যেকটা মানুষ তার সুপ্ত ক্ষমতাকে জাগিয়ে তুলে এক একটা বিশাল শক্তি হয়ে উঠতে পারে শিক্ষার মাধ্যমে। জ্ঞান আর মেধা দিয়ে জীবনে সবকিছু অর্জন করা যায়। যে কেউ প্রায় যে কোন বয়সে সঠিকভাবে চেষ্টা করলে যে কোন কিছু হয়ে উঠতে পারে – এই বিশ্বাসটা সবার মধ্যে জাগিয়ে তুলতে হবে। মানুষগুলোকে জাগিয়ে তুলতে পারলে আর কিছু লাগবে না। (শিক্ষা শুধুমাত্র প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় সীমাবদ্ধ না, আমরা চাইলে জীবনের প্রতিটা মুহূর্তে চারপাশ থেকে শিখতে পারি।) ইতিহাসের যে কোন সময়ের তুলনায় নিজেকে উপরে তোলার সুযোগও সবচেয়ে বেশি আমাদের প্রজন্মের। আধুনিক প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন আমাদের হাতে দিয়েছে অনন্য সব আবিষ্কার – মানুষ এখন যে কোন প্রান্তে বসে যে কোন কিছু শিখতে পারে, যে কারও সাথে যোগাযোগ করতে পারে, কোটি মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারে, কাজ করতে পারে, পারে আয় রোজগার করতে।
  2. দেশের ৫০ ভাগ মানুষের বয়স ২৩ বা তার কম। এই বিশাল তরুণ প্রজন্মকে, যারা কর্মক্ষেত্রের জন্য নিজেদের তৈরি করছে, তাদের অগ্রাধিকার দিয়ে গড়ে তোলা হবে (এবং সাথে বাবসা বান্ধব, বিনিয়োগ বান্ধব, উদ্যোক্তা বান্ধব পরিবেশ গড়ে তোলা লক্ষ লক্ষ তরুনের জন্য) যাতে তারা নিজেদেরকে এবং দেশকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে পারে। (একটা সামগ্রিক পরিকল্পনা – কত হাজার তরুনের শিক্ষা, দক্ষতা কোথায়, তাদের কর্মসংস্থান / উদ্যোগ কিরকম হতে পারে।)
  3. বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সূচকে (মাথাপিছু আয়, জিডিপি প্রবৃদ্ধি, দুর্নীতি হ্রাস ইত্যাদি) উন্নতিকে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে নেওয়া হবে। কিছু সুনির্দিষ্ট লক্ষ্যমাত্রার উল্লেখ থাকবে ইশতেহারে। বিভিন্ন সূচকে উন্নতিকে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে নিয়ে কর্ম পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হবে – 
    • জিডিপি প্রবৃদ্ধির হারকে প্রথমে ৮% এ উন্নীত করা হবে এবং লক্ষ্য অর্জিত হলে ১০% কে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে নেওয়া হবে।
    • মাথাপিছু আয়ের দিক দিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলোকে ছাড়িয়ে যাওয়ার লক্ষ্য থাকবে।
    • দুর্নীতি দমন সূচকে ব্যাপক উন্নতি আনা হবে।
    • অপরাধ শক্তভাবে দমন করে বিভিন্ন অপরাধ দমন সূচকে উন্নতি ঘটানো হবে।
    • বিভিন্ন সামাজিক সূচকে (যেমন শিক্ষা, শিশু মৃত্যু হার, আয়ুষ্কাল ইত্যাদি) লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করা হবে।
    • নিজেদের মানদণ্ডে নিজেদের সাফল্য, অপরের বার্থতার প্রচার নয়, বরং আন্তর্জাতিক মানদণ্ডই সাফল্য – বার্থতার মূল্যায়ন করবে।
  4. বাবসা বান্ধব, বিনিয়োগ বান্ধব, উদ্যোক্তা বান্ধব, শিল্প বান্ধব নীতিমালা প্রনয়ন এবং বাস্তবায়ন।
    • অর্থনীতিবিদদের নেতৃত্বে “ন্যাশনাল ইকোনমিক অ্যান্ড প্ল্যানিং কাউন্সিল” গঠন। অর্থনীতিবিদদের নেতৃত্বে এই কাউন্সিলে যোগ দেবেন শিল্প বাবসায়ি, ক্ষুদ্র ও মাঝারি বাবসায়ি, প্রকৌশলী, নগর পরিকল্পনাবিদ, স্থপতি, পরিসংখ্যানবিদ, কৃষক এবং শ্রমিক সমাজের প্রতিনিধিরা।
    • উন্নত অবকাঠামো তৈরি + জ্বালানি সরবরাহ নিশ্চিতকরণ + রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা > অধিকতর বিনিয়োগ > জিডিপি প্রবৃদ্ধি।
    • দেশের জনগণকে ভয় দেখিয়ে, “জ্বালাও – পোড়াও” চালিয়ে, জানমালের ক্ষতি করে অর্থনীতির জন্য চরমভাবে ক্ষতিকর হরতাল পালনে কেউ যাতে বাধ্য করতে না পারে – সে লক্ষ্যে কঠোর বাবস্থা।
    • উদ্যোক্তাদের নতুন বাবসা শুরু করার প্রক্রিয়া সহজ করার জন্য বাবস্থা গ্রহণ – সমস্যাগুলো সমাধান করা। উদ্যোক্তাদের জন্য ভেঞ্চার ক্যাপিটাল, ইঙ্কিউবেটার ফার্ম প্রতিষ্ঠায় সহায়তা
    • আইসিটি খাতকে অগ্রাধিকার দিয়ে এই খাতের বিকাশে সামগ্রিক পরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন। দক্ষ আইসিটি পেশাজীবী, উদ্যোক্তা গড়ে তোলা, সারা দেশে দ্রুতগতির ইন্টারনেট ছড়িয়ে দেওয়া, আইসিটি ভিত্তিক শিল্প গড়ে তুলতে দূরদর্শী পরিকল্পনা হাতে নেওয়া।
    • বিভিন্ন সম্ভাবনাময় শিল্প (শিপ বিল্ডিং, পর্যটন শিল্প প্রভৃতি) কে চিহ্নিতকরণ, অগ্রাধিকার দিয়ে পরিকল্পনা গ্রহণ, ক্ষেত্র সংশ্লিষ্ট সমস্যা সমাধান এবং বাস্তবায়ন।
    • বাংলাদেশকে বিভিন্ন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানির অফশোরিং এর কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে পরিকল্পনা গ্রহণ এবং বাস্তবায়ন – অবকাঠামো, জ্বালানি, দক্ষ কর্মী, কূটনৈতিক উদ্যোগ, বিশ্বব্যাপী মার্কেটিং।
    • ক্ষুদ্র এবং মাঝারি শিল্পের বাবসায়িদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে উদ্যোগ নেওয়া
    • শেয়ারবাজার নিয়ে কেউ যাতে কারসাজি করতে না পারে সেই লক্ষ্যে বাবস্থা গ্রহণ। শেয়ার বাজারে বিনিয়োগকারিদের আস্থা ফিরিয়ে আনা। কোম্পানির মূল্যমান নির্ধারণে আন্তর্জাতিক মান নিশ্চিত করা।
    • ঋণখেলাপিদের বিরুদ্ধে কঠোর বাবস্থা। ব্যাংক পরিচালনায় স্বচ্ছতা আনা। দেশের ফাইনান্সিয়াল সিস্টেমকে ঢেলে সাজানো।
    • বিভিন্ন সমস্যা (যেমন ঢাকার যানজট সমস্যা) নিরসনে সৃজনশীল কার্যকরী উদ্যোগ নেওয়া।
    • শিল্পের বিকাশে (যেমন – শুল্ক মুক্ত প্রবেশাধিকার ইত্যাদি) কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করা, কূটনৈতিক উদ্যোগ নেওয়া।
    • দেশের প্রকৌশলীরা বিভিন্ন শিল্পে উদ্ভাবনী কর্মকাণ্ডে আত্মনিয়োগ করবেন। তাদের উন্নত প্রশিক্ষনের বাবস্থা করা।
  5. দীর্ঘ মেয়াদি এবং স্বল্প মেয়াদি পরিকল্পনা হাতে নিয়ে বাজেট এ বিভিন্ন খাতে বরাদ্দ দেওয়া এবং বরাদ্দকৃত অর্থের সর্বোত্তম ব্যবহার নিশ্চিতকরণ – বিভিন্ন মন্ত্রনালয়, স্থানীয় সরকারের জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। কর আদায়ে স্বচ্ছতা আনা। শুল্ক নির্ধারণে বেক্তি স্বার্থ নয়, বরং জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়া (যেমন সিগারেট আমদানির উপর শুল্ক বাড়ানো, কম্পিউটার এবং অন্যান্য তথ্যপ্রযুক্তি পণ্যের আমদানির উপর শুল্ক কমানো ইত্যাদি)।
  6. শিক্ষাবিদদের পরামর্শের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী – অভিভাবকদের মতামত নিয়ে প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত শিক্ষাবাবস্থার প্রতিটি পর্যায়ে আমূল সংস্কার আনা হবে। 
    • শিক্ষার্থীরা আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে নিজেরা শিখবে। 
    • পরীক্ষা পদ্ধতি, মূল্যায়ন পদ্ধতিতে সংস্কার আনা হবে। সৃজনশীল এবং বাস্তব জীবনে প্রয়োগ নির্ভর শিক্ষাবাবস্থা গড়ে তোলা হবে। 
    • শিক্ষার্থীরা মেধাভিত্তিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। বিভিন্ন অলিম্পিয়াড, প্রতিযোগিতা এবং অন্যান্য উদ্যোগের মাধ্যমে মেধাবী জাতি গড়ে তোলা হবে।
    • বাংলাদেশে বিশ্বমানের কয়েকটা বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হবে। বিশ্ববিদ্যালয় – ইন্ডাস্ট্রি এর মধ্যে যোগাযোগ গড়ে তোলা হবে। প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুমতি প্রদানে স্বচ্ছতা আনা হবে – ন্যূনতম মান নিশ্চিত করা হবে। 
    • উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষা কার্যক্রম যাতে অপরাজনীতির কারণে বাঁধাগ্রস্থ না হয় সে ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আমরা শিক্ষাঙ্গনে সুস্থ রাজনীতির চর্চা, উদ্ভাবনী উদ্যোগ দেখতে চাই – ছাত্রছাত্রীরা কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে, মানুষের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে দল বেঁধে কাজ করবে। 
    • মাদ্রাসা শিক্ষাবাবস্থার সংস্কার (সবার মতামতের ভিত্তিতে) – আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞান অন্তর্ভুক্তিকরন – যাতে তারা মেডিক্যাল, ইঞ্জিনিয়ারিং, বাবসা, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও বেশি সুযোগ পায়।
  7. দলীয় পরিচয়ের উরধে উঠে সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও নিরপেক্ষ বিচারের মাধ্যমে মানবতাবিরোধী যুদ্ধাপরাধীদের সাজা দেওয়া হবে এবং জাতিকে গ্লানিমুক্ত করা হবে। এরপর সমগ্র জাতি ঐক্যবদ্ধ হবে।
  8. সবরকম অপরাধ শক্ত হাতে দমন করা হবে। অপরাধ হারে ব্যাপক হ্রাস আনা হবে। অপরাধী যত বড় হোক, আর অপরাধ যত ছোট হোক না কেন – অপরাধ করে কেউ পার পাবে না। আইনের চোখে সবাই সমান হবে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। 
    • আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সরকারি প্রভাবমুক্ত করা, আধুনিক প্রযুক্তি এবং আধুনিক বিজ্ঞান (ফরেনসিক, ডিএনএ টেস্ট ইত্যাদি) সমৃদ্ধ করা, বেতন ভাতাবৃদ্ধি, আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঘুষ – দুর্নীতি বন্ধ, উন্নত প্রশিক্ষন, পুরস্কার প্রবর্তন। 
    • তদন্ত নিরেপেক্ষ এবং প্রভাবমুক্ত থেকে শেষ করা। 
    • শক্তিশালী দুর্নীতি দমন কমিশন এবং দলীয় রাজনীতির প্রভাবমুক্ত বিচার বিভাগ। 
    • মাদকের বিস্তার রোধে কঠোর বাবস্থা। দেশে মাদকের প্রবেশ প্রবেশপথেই থামিয়ে দেওয়া হবে
    • সাইবার ক্রাইম রোধে কঠোর বাবস্থা নেওয়া হবে। (দেশে এখন মানুষের বাসাবাড়ি-বাথরুমে লুকিয়ে গোপন ক্যাম বসানো, কাউকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য তথ্যপ্রযুক্তির ব্যবহার, গুজব রটিয়ে সহিংসতা ছড়ানো এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে আঘাত করার কাজে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর ব্যবহার থেকে শুরু করে অনেক রকম সাইবার ক্রাইম ঘটছে।) আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তিতে উন্নত প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। কিন্তু জনগণের মত প্রকাশের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বন্ধ করা হবে। 
    • জনগণ অপরাধ এবং অপরাধীকে সামাজিকভাবে বয়কট / প্রতিহত করবে, ঘৃণার চোখে দেখবে।
  9. জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা 
    • কোন নির্দিষ্ট জাতি, ধর্ম, বর্ণের মানুষের উপর গুজব রটিয়ে বা অন্য কোন উপায়ে কোন রকম অন্যায় করা হলে, দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিতে আঘাত এলে, তদন্ত করে দায়ি বাক্তিদের বিচারের মুখোমুখি করা হবে। 
    • দেশের জনগণ একতাবদ্ধ থেকে সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে।
  10. দুর্নীতি দমন কমিশন, মানবাধিকার কমিশন, নির্বাচন কমিশন, আইন বিভাগকে (বিচারপতি এবং আইনজ্ঞদের পরামর্শ অনুসারে) সরকারি প্রভাবমুক্ত করে স্বাধীন, শক্তিশালী করে গড়ে তোলা হবে।
  11. দেশের রাজনীতিতে গুনগত পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে সবার মতামত, পরামর্শ নিয়ে শাসন বিভাগ, আইন বিভাগ এবং বিচার বিভাগের মধ্যে ক্ষমতার ভারসাম্য রেখে, কেন্দ্রীয় এবং স্থানীয় সরকারের মধ্যে দায়িত্ব বণ্টনের বিধান রেখে সংবিধানে সংশোধন আনা হবে।
  12. শ্রমিকদের অধিকার সংরক্ষণ
  13. প্রবাসে কর্মসংস্থান 
    • শ্রমিক রপ্তানি বাড়াতে কূটনৈতিক উদ্যোগ নেওয়া হবে। 
    • আন্তর্জাতিক চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে দক্ষ শ্রমিক, দক্ষ কর্মী গড়ে তোলা হবে।
  14. জনগণকে সম্পৃক্ত করা। জনগণের জন্য প্ল্যাটফর্ম গড়ে দেওয়া যাতে তারা বিভিন্ন উদ্যোগ নিতে পারে।
  15. গ্রামের উন্নয়ন 
    • শিক্ষায় সাফল্য, স্বাস্থ্য সুবিধা প্রদান, তথ্য প্রযুক্তির বিকাশ, কৃষিতে উদ্ভাবন ইত্যাদি ক্ষেত্রে গ্রামে গ্রামে প্রতিযোগিতা শুরু করা যায়। বিভিন্ন ক্যাটেগরিতে সেরা গ্রাম, সেরা উদ্যোক্তা ইত্যাদি নির্বাচন করা যায়। (প্রত্যেক গ্রামের মানুষ নিজের গ্রাম, নিজের ইউনিয়ন, নিজের থানা নিয়ে গর্ব করে।) এতে গ্রামের উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। 
    • বিভিন্ন সামাজিক সূচকে উন্নতির লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে কর্ম পরিকল্পনা হাতে নেওয়া।
  16. নারী অধিকার সংরক্ষণ এবং নারীদের ক্ষমতায়ন 
    • নারী নির্যাতন, যৌতুক, বাল্য বিবাহ এর মত সামাজিক সমস্যাগুলোকে শক্তভাবে দমন করা
    • নারী অধিকার সংরক্ষণে সামাজিক সচেতনতা সৃষ্টি। 
    • গ্রামের নারীরা যাতে আইনি সহায়তা পায় – সেই লক্ষ্যে বাবস্থা।
  17. দারিদ্র বিমোচন 
    • সরকারি পরিকল্পনা 
    • এনজিওগুলো যাতে দেশের দারিদ্র বিমোচনে বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়ে কাজ করতে পারে – সেই পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে বাবস্থা নেওয়া। এনজিওগুলোর কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা আনা।
  18. ন্যায়ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠিত হবে – সৎ এবং ন্যায়ের পথে থেকে চেষ্টা করলে জীবনে যে কোন কিছু অর্জন করা যায় এবং অন্যায় করলে কঠোর শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে – এই বোধ জাগ্রত করা হবে।

পাদটীকাঃ

  1. নির্বাচনী ইশতেহারের বিভিন্ন বিষয় ভিডিও চিত্রের মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হবে।
  2. দেশের বড় অপরাধীরা সরাসরি রাজনীতিতে বা রাজনীতিবিদদের ছত্রছায়ায় থেকে নিজেদেরকে আইনের উরধে ভাবে। এক একজন শীর্ষ অপরাধীকে থামিয়ে দেওয়া মানে অনেক অনেক অপরাধ এবং অনেক ছোট অপরাধী / মাস্তানকে থামিয়ে দেওয়া। কয়েকজন শীর্ষ অপরাধীকে থামিয়ে দিতে পারলে / দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে পারলে বাকিরা ভয়ে অপরাধ জগত ছেড়ে দেবে। 
    • আমাদের প্রকৃত বড় অপরাধী আর ভুল বুঝিয়ে, ফাঁদে ফেলে ভুল পথে আনা হয়েছে – এই দুই দলের পার্থক্য করতে হবে। যাদের ভুল বুঝিয়ে ভুল পথে আনা হয়েছে, তাদেরকে সঠিক পথ দেখালে তারাও সঠিক পথে আসবে।
    • শীর্ষ অপরাধীদের (মানবতাবিরধী যুদ্ধাপরাধী, গডফাদার, শীর্ষ দুর্নীতিবাজ, শীর্ষ সন্ত্রাসী) বাদ দিয়ে সমগ্র বাংলাদেশের চেতনাকে ধারণ করা হবে।

আদর্শ রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ক্যাম্পেইন পরিকল্পনা

আদর্শ রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনী ক্যাম্পেইন পরিকল্পনায় গতানুগতিকতা থেকে বেরিয়ে এসে সৃজনশীলতা দেখাবে।

জরিপ করে জনগণের মন, জনগণের আশাআকাঙ্ক্ষা বোঝার উদ্যোগ নেওয়া হবে – কারা “ক” দলকে ভোট দেবেন? কি কি কারণে? কারা “খ” দলকে ভোট দেবেন? কি কি কারণে? (এসব ভোট কিভাবে নিজেদের পক্ষে আনা যায়?) অতীতে কোনবার কোন দল বা প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন? কেন? ভিন্ন দলকে ভোট দিলে সমর্থন পালটানোর কারণ কি? এলাকার উন্নয়নে কি কি দেখতে চান? কি কি সমস্যার সমাধান চান? (প্রার্থী হিসেবে কাল টাকার মালিক থাকলে তিনি কিভাবে নির্বাচনকে প্রভাবান্বিত করতে পারেন? কতটা?)

জনগণের গঠনমূলক সমালোচনাকে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে গ্রহণ করে প্রার্থীরা নিজেদের ভুলভ্রান্তি দূর করে কর্মকাণ্ড আরও উন্নততর করার কাজে ব্যবহার করবেন।

প্রতিটি নির্বাচনী সভায় জনগণকে তাদের আশা আকাঙ্ক্ষা প্রত্যাশার কথা বলার সুযোগ দেওয়া হবে। আধুনিক প্রযুক্তি যেমন ভিডিও চিত্রের (বিভিন্ন এলাকার জন্য উপযোগী করে প্রয়োজনে স্থানীয় ভাষায়) মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্নে জনগণ উজ্জীবিত হবে।

আধুনিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন ভিডিও কনফারেন্সিং, ইন্টারনেট ভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, মোবাইল প্রযুক্তির ব্যবহার করা হবে।

সবাইকে নিয়ে সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এলাকার প্রতিষ্ঠিত বেক্তিরা এগিয়ে আসবেন, বাবসায়িরা সামাজিক এন্টারপ্রাইস প্রতিষ্ঠা করবেন। এলাকার জনগণ একতাবদ্ধ হয়ে নিজেরা নিজেদের সমস্যা সমাধান করবেন।

এভাবে রাজনীতিতে মেধার প্রয়োগ দেখিয়ে দলটি দেশে নতুন রাজনীতির শুভ সূচনা করবে।

আদর্শ রাজনৈতিক দলটি যেভাবে জনগণের কাছে পৌঁছাবে

আদর্শ রাজনৈতিক দলটি দ্রুত দলের মূলনীতি ঘোষণা দিয়ে জনগণের পাশে গিয়ে দাঁড়াবে।

উপস্থিতি প্রথম থেকেই জনগণের কাছে দৃঢ়তার সাথে জানানো হবে। বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের প্রতিনিধিত্ব থাকবে।

বাংলাদেশের মানুষ পরিকল্পনাবিহীন অপরাজনীতি দেখে অভ্যস্ত। জনগণ জানে না সুপরিকল্পিত সুশাসন দেশকে কোথায় নিয়ে যেতে পারে। বাংলাদেশ সঠিকভাবে পরিচালিত হলে স্বপ্নের বাংলাদেশ কেমন হবে তার এবং সেই স্বপ্নের বাংলাদেশে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের জীবনের একটা চিত্র জনগণের সামনে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে তুলে ধরে জনগণকে সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্নে উজ্জীবিত করা হবে। দৃঢ়তার সাথে জনগণকে জানানো হবে স্বপ্নের বাংলাদেশের লক্ষ্যে পরিবর্তন এবারই আসছে।

জাতি ধর্ম বর্ণ শ্রেণী পেশা নির্বিশেষে কারও উপর যাতে কখনও অন্যায় না হয়, জনগণকে এলাকায় এলাকায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে তা নিশ্চিত করতে আহ্বান জানান হবে এবং দলটি এক্ষেত্রে জনগণের পাশে থাকবে। এটি যেহেতু জনগণের দল হবে কাজেই জনগণ সব ধরণের মাধ্যম ব্যবহার করে যাতে দলটির কাছে প্রত্যাশা, মতামত, আশা আকাঙ্ক্ষা তুলে ধরতে পারে সে বাবস্থা নেওয়া হবে।

দলটিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো (ফেইসবুক, ব্লগ, ওয়েব সাইট, মোবাইল ইত্যাদি) ব্যবহার করে জনগণের মতামত, আশাআকাঙ্ক্ষা বোঝার চেষ্টা করবে।

আদর্শ দলের নেতারা জানেন, জনগণের পাশে দাঁড়ালে, জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষা বোঝার চেষ্টা করলে এবং সেই লক্ষ্যে কাজ করলে, জনগণও তাদের পাশে থাকবে।
দলটি দেশের জনসংখ্যাকে বিভিন্ন ডেমোগ্রাফিকে বিভক্ত করে ভিন্ন ভিন্ন ডেমোগ্রাফিকের কাছে আলাদা আলাদা ভাবে পৌঁছাবে।
তরুণদের কাছে পৌঁছাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে ব্যবহার করবে। তরুণদের জন্য প্লাটফর্ম তৈরি করে দেবে যাতে ওরা বিভিন্ন উদ্যোগ নিতে পারে।
গ্রামের গরিব দুঃখী অসহায় মানুষগুলোর পাশে গিয়ে তাদের সমস্যা বোঝার চেষ্টা করবে। গ্রামের বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা সবাই মিলে সমাধানের উদ্যোগ নেবে।
শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার আদায়ে তাদের পাশে দাঁড়াবে।
বাবসায়িদের বাবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টির উপায় নিরুপন করে উদ্যোগ নেবে।
সৎ বিনিয়োগকারিদের অভিযোগগুলো বোঝার চেষ্টা করবে।
দেশের সম্পদ রক্ষায়, দেশের বৃহত্তর কল্যাণে যারা কাজ করছে তাদের পাশে গিয়ে দাঁড়াবে।
বিভিন্ন ক্ষেত্রে যারা অন্যায় করছে, দুর্নীতি করছে, সেই অন্যায়, দুর্নীতিগুলোর বিরুদ্ধে সবাইকে নিয়ে অবস্থান নেবে।

জনগণকে নিয়ে বিভিন্ন সমস্যা কিভাবে সমাধান করা যায় – তা সবাই মিলে নির্ধারণ করে সম্মিলিতভাবে বাবস্থা নেবে।

প্রতিটি কাজে জনগণকে সম্পৃক্ত করবে।

আমাদের রাজনীতি সচেতন জনগণও শুধুমাত্র চায়ের কাপে নেতানেত্রীদের আলোচনা – সমালোচনার মাঝে রাজনীতিকে সীমাবদ্ধ রাখবেন না, বরং তারাই হবেন রাজনীতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ – তাদের কেন্দ্র করেই দেশের রাজনীতি পরিচালিত হবে – আদর্শ দল তা নিশ্চিত করবে।

আদর্শ রাজনৈতিক দলের নেতারা ইতিহাসের মহানায়কদের মত জানেন, ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির, ভিন্ন আদর্শ, মূল্যবোধে বিশ্বাসী মানুষকে নতুন সঠিক দৃষ্টিভঙ্গি দেখাতে পারলে তারা তা গ্রহণ করবেন। তারা নিজেরাও নিজেদের সবজান্তা ভাবার ধৃষ্টতা না দেখিয়ে, নিজেদের পথই একমাত্র সঠিক পথ না ভেবে, ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি, ভিন্ন মূল্যবোধ গভীরভাবে বোঝার এবং গ্রহণ করার মানসিকতা দেখাবেন। সমগ্র দেশের চেতনাকে ধারণ করতে তারা বিভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গির মানুষদের দূরত্ব দূর করে একতাবদ্ধ করবেন।

পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ব্যবহার করে কেউ যেন মিথ্যা অপপ্রচার চালাতে না পারে, গুজব রটাতে না পারে – সেই লক্ষ্যে সচেতনতা সৃষ্টি এবং দৃঢ় অবস্থান নেবে।

স্বপ্নের বাংলাদেশ কেমন হবে তা বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের জন্য উপযোগী করে, বিভিন্ন স্থানের উপযোগী করে ভিন্ন ভিন্ন ভিডিও চিত্রে (প্রয়োজনে আঞ্চলিক ভাষায়) ফুটিয়ে তোলা হবে।

পরবর্তীতে জনগণ কিভাবে সম্মিলিতভাবে সেই লক্ষ্যে কাজ করছে তাও চিত্রিত করে সবাইকে অনুপ্রাণিত করা হবে।

Structure & Ideals of a New Political Party (আদর্শ রাজনৈতিক দলের রূপরেখা)

[Published: October 16, 2013]
“স্বাধীনতার পর দেশের সমগ্র জনগোষ্ঠীকে এক করার, সবার পক্ষে কথা বলার, সবার হয়ে কাজ করার মতো কোনো দল আসেনি। সবাই নিজ নিজ স্বার্থে চলেছে, এখনো চলছে। যারা বাঙালিদের স্বার্থের কথা বলেছে, তারা পাহাড়িদের কথা ভুলে গেছে। যারা মুসলমানের স্বার্থ রক্ষার কথা বলেছে, তারা হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টানদের স্বার্থের কথা মনে রাখেনি। #MinorityRights
যারা জনগণতান্ত্রিক বিপ্লব করবে বলে বুলন্দ আওয়াজ তুলেছিল, তাদের চিন্তায়-কর্মেই জনগণের জায়গা ছিল না। আর সাধারণ মানুষের অবোধগম্য এসব অচেনা স্লোগান দিতে দিতে তারা একসময় জনগণ থেকে পুরোপুরি বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
ফলে বাংলাদেশে গরিব-দুঃখী মানুষের পক্ষে কথা বলার রাজনীতিটাই হারিয়ে গেল। #EmpowerThePoor
আসলে কোনো রাজনৈতিক দলই গোটা দেশকে ধারণ করতে পারছে না। তারা কেউ আওয়ামী লীগকে ধারণ করে, কেউ বিএনপিকে, কেউ বা জাতীয় পার্টি বা জামায়াতকে। সবাই গোষ্ঠীগত স্বার্থে মগ্ন। ব্যক্তিস্বার্থে মশগুল। ৪২ বছর ধরেই আমরা নীতি-আদর্শের চেয়ে ক্ষমতাকেই বড় করে দেখছি।
আমরা এমন একটি রাজনৈতিক দল চাই, যে দলটি সব ভেদাভেদ ভুলে বাংলাদেশের সব মানুষকে হেফাজত করবে। কারও নাগরিক অধিকার ও মানবাধিকার হরণ করবে না। ধর্ম ও জাতিগত পরিচয়ে কারও প্রতি বৈষম্য দেখাবে না। আইনের দৃষ্টিতে সবাই সমান সুযোগ ও অধিকার ভোগ করবে। যে দলটি আইনের শাসন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় মনোযোগী হবে, এবং ব্যক্তি, দল ও গোষ্ঠীর ঊর্ধ্বে জাতীয় স্বার্থকে স্থান দেবে।
কোনো ধর্ম নয়, কোনো বিশেষ জনগোষ্ঠী নয়, যে দলটি বাংলাদেশের সব মানুষের অধিকার ও স্বার্থ দেখবে, আমরা সেই দলের অপেক্ষায় আছি।“
আমরা যে আদর্শ রাজনৈতিক দলের স্বপ্ন দেখি সেই দলটি শুধু মিটিং – মিছিলের মাঝে নিজেদের কর্মকাণ্ড সীমাবদ্ধ রাখবে না, বরং সমাজের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সবাইকে নিয়ে বিভিন্ন সামাজিক উদ্যোগ গ্রহণ করবে।
দলটি গ্রামের মানুষগুলোকে এক করে গ্রামের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসবে। কোন নির্দিষ্ট জাতি ধর্ম বর্ণ গোষ্ঠী দল বা পেশার মানুষের উপর যাতে অন্যায় না হয়, সবাইকে নিয়ে তা নিশ্চিত করবে। #MinorityRights
যৌতুক, বাল্যবিবাহ এবং এসব থেকে উদ্ভূত বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা, যেমন নারী নির্যাতন, এর বিরুদ্ধে সবাইকে নিয়ে সম্মিলিত অবস্থান নেবে। #WomenEmpowerment
তরুণ তরুণীদের মাঝে স্বপ্ন, উদ্যম, উৎসাহের কোন ঘাটতি নেই। ওরা পরাজয় খুব একটা দেখেনি – তাই পরাজয় খুব একটা মানতেও চায় না। ওরা পছন্দ করে একসাথে সময় কাটাতে। আদর্শ দলটি দেশের তরুন তরুণীদের অনুপ্রাণিত করবে, প্লাটফর্ম তৈরি করে দেবে যাতে ওরা দল বেঁধে নতুন নতুন উদ্যোগ নিয়ে সমস্যা সমাধানে ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে – হতে পারে নিজেদের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন সমস্যা, হতে পারে নিজেদের এলাকার। কেউ হয়ত উদ্ভাবন করে বসবে এমন কিছু যা দিয়ে অনেক অনেক মানুষের জীবনের একটা দিক পুরোপুরি বদলে যাবে। আমাদের আধুনিক প্রযুক্তি নির্ভর তরুণ প্রজন্ম নিশ্চয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চাইবে! #SocialMediaForSocietalTransformation #YouthEmpowerment
মানুষ চায় সামাজিক মর্যাদা ও স্বীকৃতি। আদর্শ রাজনৈতিক দলটি এমন সব প্লাটফর্ম গড়ে তুলবে যাতে মানুষ নিজের এবং দেশ ও সমাজের কল্যাণের মাধ্যমে সামাজিক মর্যাদা ও স্বীকৃতি অর্জন করতে পারে।
আদর্শ রাজনৈতিক দলটি দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বিভিন্ন উদ্যোগ এর সমন্বয় করবে, দেশের বিভিন্ন সমস্যার নতুন নতুন সমাধান বের করে বাস্তবায়ন করবে, জাতিধর্মবর্ণ নির্বিশেষে প্রত্যেক শ্রেণীপেশার মানুষের স্বার্থ যাতে সংরক্ষিত হয় তা গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সবার মতামতের ভিত্তিতে নিশ্চিত করবে।
অযোগ্য সুবিধাভোগী, অন্যায়কারীরা সংখ্যায় মুষ্টিমেয়। জনগণের ঐক্যের সামনে দাঁড়ানোর ক্ষমতা তাদের নেই। আদর্শ রাজনৈতিক দলটি জনগণকে নিয়ে সকল অন্যায় – অবিচারের বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান নেবে।
আদর্শ রাজনৈতিক দল নেতা কেন্দ্রিক দল হবে না, আদর্শ দল হবে জনগণের দল। আদর্শ দলের নেতারা জানেন, জনগণের পাশে দাঁড়ালে, জনগণের আশা আকাঙ্ক্ষা বোঝার চেষ্টা করলে এবং সেই লক্ষ্যে কাজ করলে, জনগণও তাদের পাশে থাকবে। #DemocraticIdeals
দলের শীর্ষ পদসহ প্রতিটি পদে নিয়োগ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নির্ধারিত হবে। এতে যোগ্য বাক্তিদের বিজয় নিশ্চিত হবে। গণতান্ত্রিকতা চর্চার অংশ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ সিধান্ত নিতে দুই- তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতার বিধান রাখা যেতে পারে, আর দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা না থাকলে সভাপতির সিধান্ত গৃহীত হতে পারে। দলের প্রত্যেক নেতাকর্মী সমর্থক এবং তাদের মতামত হয়ে উঠবে গুরুত্বপূর্ণ। স্থানীয় থেকে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক – দলের প্রতিটি পর্যায়ে একক কর্তৃত্বের বদলে ক্ষমতার ভারসাম্য থাকবে। আর ক্ষমতার ভারসাম্য থাকলে নিশ্চিত হবে জবাবদিহিতা। প্রতিটি নির্বাচনে প্রার্থী নির্বাচনেও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রাধান্য পাবে। জনগণের আস্থা, জনগণের মন জয় করে দলের নেতা কর্মীরা প্রার্থিতা নিশ্চিত করবেন। #DemocraticIdeals
আদর্শ রাজনৈতিক দলটি যেহেতু গণতান্ত্রিকতার চর্চা করবে, সবার মতামতের ভিত্তিতে কাজ করবে – তাই দলীয় পদের জন্য নয়, বরং নতুন বাংলাদেশের স্বপ্নে সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকবেন।
আদর্শ রাজনৈতিক দলটিকে আমরা সংসদ নির্বাচনেও দেখবো নতুন ভুমিকায়।
প্রত্যেক এলাকার সাংসদ প্রার্থীরা মনোযোগ দিবেন দক্ষতা আর সৃজনশীলতা আর সততার সাথে সবাইকে নিয়ে নিজ নিজ এলাকার বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে। তারা হবেন জনগণের নন্দিত নেতা। তারা জানেন, সবচেয়ে বেশি স্থায়ী এবং গুরুত্বপূর্ণ হল জনগণের হৃদয়ে স্থান। নির্বাচনী ক্যাম্পেইন পরিকল্পনায় তারা সৃজনশীলতা দেখাবেন। নিজেদের বিজয় তারা নিশ্চিত করবেন মেধার মাধ্যমে। সাংসদ পদ প্রার্থীরা জরিপ করে জনগনের মন বোঝার চেষ্টা করবেন এবং সেই অনুযায়ী মন জয়ের চেষ্টা করবেন। তারা শুধু নিজেদের বক্তব্য জনগণকে শোনাবেন না, বরং তাদের আগ্রহ বেশি থাকবে জনগণের বক্তব্য, আশা আকাঙ্ক্ষা, সমস্যা শোনায় এবং সেইসব আশা আকাঙ্ক্ষা, সমস্যা বাস্তবায়নে বাস্তব কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণে। তারা জনগণের গঠনমূলক সমালোচনাকে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে গ্রহণ করে নিজেদের ভুলভ্রান্তি দূর করে কর্মকাণ্ড আরও উন্নততর করার কাজে ব্যবহার করবেন।
যারা নির্বাচনে মনোনয়ন পাবেন না তারা মন খারাপ করবেন না, নিজেদের “মনোনয়ন বঞ্চিত” ভাববেন না। বরং দলের সহায়তায় বিভিন্ন প্রশংসনীয় সামাজিক উদ্যোগ নিয়ে দেশ গঠনে অবদান রাখবেন এবং দল ও জনগণ তাদের স্বীকৃতি, সম্মান দেবেন। জনপ্রিয়তার দৌড়ে, যোগ্যতায় একাধিক প্রার্থী কাছাকাছি হলে জরিপের মাধ্যমে প্রার্থী চূড়ান্ত হবে। জাতীয় স্বার্থে, নতুন বাংলাদেশের স্বপ্নে সবাই একতাবদ্ধ।
আমাদের দেশের এক দল অপর দলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালায় এবং এর জবাব দেওয়া হয় পাল্টা অপপ্রচারের মাধ্যমে। কিন্তু দলটি এই অপসংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে এসে যুক্তি দিয়ে, তথ্য প্রমাণ দিয়ে অপপ্রচারকে মিথ্যা প্রমাণিত করবে এবং সচেতন জনগণ মিথ্যা অপপ্রচারের সংস্কৃতিকে ঘৃণার চোখে দেখবে। জনগণের দলটি অপরকে দোষারোপ করে সময় নষ্ট না করে দেশ ও দশের কল্যাণে আত্মনিয়োগ করবে।
আদর্শ রাজনৈতিক দলটির প্রচার প্রসার শুধুমাত্র মিটিং মিছিলের মাধ্যমে হবে না, শুধুমাত্র নেতা থেকে জনগণের মাধ্যমে হবে না, বরং দেশের আপামর জনসাধারণের মাধ্যমেই অর্থাৎ একজনের মাধ্যমে আরেকজনের কাছে ছড়িয়ে পড়বে। যারা দলটির মূলনীতি, কার্যকলাপ এসবের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করবেন, তারাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে কাছের মানুষদের অবহিত করবেন এবং এভাবেই দলটি জনগণের হৃদয়ে স্থান করে নেবে।
আদর্শ রাজনৈতিক দল যাদের সমর্থন পাবে
1. তরুন প্রজন্ম, যারা নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখে
2. গ্রামের গরিব দুঃখী অসহায় মানুষ, যাদের হয়ে কথা বলার মত কেউ নেই
3. বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক, ন্যূনতম অধিকার থেকে যারা বঞ্চিত
4. সৎ বাবসায়ি, যাদের বাবসার বিকাশ অনুন্নত অবকাঠামো, অপ্রতুল জ্বালানি সরবরাহ, অপরাজনীতি, দুর্নীতির কারণে বাধাগ্রস্থ হচ্ছে
5. বিভিন্ন পেশার যোগ্যতর বেক্তিরা, রাজনৈতিক সুবিধাভোগী অযোগ্যদের তুলনায় যারা অন্যায়ভাবে পিছিয়ে পড়ে
6. বিভিন্ন ধর্ম, বিভিন্ন গোষ্ঠীর মানুষ, নিজের দেশে যারা নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকতে বাধ্য হয়
7. সৎ বিনিয়োগকারী, শেয়ার বাজারে গুটিকয়েক দুর্নীতিবাজের কারসাজির কাছে পরাজিত হয়ে যারা সর্বস্ব হারিয়েছেন
8. দেশপ্রেমিক সচেতন নাগরিক, দেশের সম্পদ রক্ষায়, দেশের বৃহত্তর কল্যাণে কাজ করতে যারা বদ্ধপরিকর
আদর্শ রাজনৈতিক দল খরচ চালানোর জন্য সৃজনশীল উপায় উদ্ভাবন করতে পারে। দলের সক্ষম সমর্থকদের বিনিয়োগে সামাজিক এন্টারপ্রাইস প্রতিষ্ঠিত হতে পারে, যার অর্থ সমাজের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে প্রতিষ্ঠিত বাবসায় বিনিয়োগ করা হবে এবং লভ্যাংশ দিয়ে দলের খরচ, মনোনীত প্রার্থীদের নির্বাচনী বায় বহন করা হবে। এমন বাবস্থায় সৎ, মেধাবী, যোগ্যতর প্রার্থীরা কালো টাকার মালিকদের পরাজিত করে সরকার গঠন করে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখবেন। #FinancialTransparency
প্রত্যেক মানুষের কিছু মূলনীতি, আদর্শ থাকে।

প্রত্যেক দলে কিছু মূলনীতি, কিছু আদর্শের ভিত্তিতে, কিছু লক্ষ্য বাস্তবায়নে মানুষ ঐক্যবদ্ধ হন।সবার মতামতের ভিত্তিতেই প্রতিষ্ঠিত হবে আদর্শ দল – প্রত্যেকে নিজ নিজ মতামত উপস্থাপন করবেন এবং সম্মিলিতভাবে সিধান্ত নেওয়া হবে। ভিন্ন মত, মতভেদ থাকতেই পারে – যুক্তি তর্কের মাধ্যমে সবাই মিলে দলের গঠনতন্ত্র অনুসারে প্রতিটি মতভেদ সমাধান করবেন।ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে স্বপ্নের বংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সবাই একসাথে বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া  – এই সুযোগটি কি কেউ হারাতে চাইবেন?আদর্শ রাজনৈতিক দলটি সমগ্র বাংলাদেশের চেতনাকে ধারণ করবে। বিভিন্ন মূলনীতি, বিভিন্ন আদর্শকে আত্তীকরণ করবে এবং সকলের মতামতের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠিত সাধারণ কিছু মূলনীতির ভিত্তিতে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্নে সবাই ঐক্যবদ্ধ হবেন।আদর্শ রাজনৈতিক দলের মূলনীতিতে যেসব বিষয় থাকতে পারেঃ

1. সবকিছুর উপরে জাতীয় স্বার্থ, নতুন বাংলাদেশের স্বপ্নে সবাই ঐক্যবদ্ধ
2. মুক্তিযুদ্ধের চেতনা
3. জাতি ধর্ম বর্ণ শ্রেণী পেশা নির্বিশেষে সবার একতা, সবার স্বার্থ সংরক্ষণ
4. গণতন্ত্রমনা – দলের প্রতিটি কর্মকাণ্ডে জনগণের মতামত, আশা আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হবে, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে
5. সকল অন্যায়, অপকর্ম, অত্যাচার, দুর্নীতির বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান

আদর্শ রাজনৈতিক দলটি বাংলাদেশের সব রাজনৈতিক দলকে নতুন রাজনীতির পথে অনুপ্রাণিত করবে।

 

সবকিছুর উপরে আমরা চাই, জাতীয় স্বার্থে এবং নতুন বাংলাদেশের স্বপ্নে রাজনীতিতে গুনগত এবং স্থায়ী পরিবর্তন।

[Published: October 16, 2013]