এ বি সিদ্দিক অপহরণের রহস্যভেদ


আবু বকর সিদ্দিক অপহরণের কেইসটা ভালভাবে অ্যানালাইসিস করা উচিত।

“অপহরণের পর আমাকে যে স্থানটিতে নিয়ে যাওয়া হয়, সেখানে পৌঁছাতে আনুমানিক সাড়ে তিন ঘণ্টা লাগে। এলাকাটি কিছুটা উঁচু-নিচু মনে হয়েছিল। 

ওই বাড়িতে যেতে মনে হয়েছে, দুবার ফেরি পার হয়েছে। গাড়িটি উঁচু-নিচু পথ পেরিয়ে গেছে, তাই মনে হয়েছে এটি গাজীপুর বা কালীগঞ্জের কোনো স্থান হবে। তবে কখনো হাইওয়ে, আবার কখনো ছোট সড়ক ধরে গাড়িটি এগোচ্ছিল বলে মনে হয়েছে। 

আমাকে তুলে নেওয়ার পর গোপন আস্তানায় পৌঁছার আগে অপহরণকারীরা দুই দফা গাড়ি বদল করেছে। আমার হাত-পা-চোখ বেঁধে মাইক্রোবাসের সিটে ফেলে রাখে ওরা। ফলে বুঝতে পারছিলাম না কোথায় যাচ্ছি। মনে হলো, একটি ফেরি পার হওয়ার পর গাড়িটি বদল করা হলো, তখন চারজন অপহরণকারী নেমে যায়।’ গাড়িটি কোথাও টোল দেওয়ার জন্য দাঁড়িয়েছিল, এমনটা তাঁর মনে হয়নি। তখন তিনি খুব ‘নার্ভাস’ ছিলেন, তাই সবকিছু মনে করতে পারছেন না বলে জানান।  

ওই বাড়িতে আবু বকর যখন পৌঁছান, তার কিছুক্ষণ পর পাশের মসজিদ থেকে মাগরিবের আজান শোনা যাচ্ছিল। 

আবু বকরের জবানিতে আরও জানা গেল, রাতে ছেড়ে দেওয়ার জন্য তাঁকে গাড়িতে তুলে ঘণ্টা দেড়েক পর একটি জায়গায় নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়। সেখানে গাড়ি থামিয়ে চোখ থেকে কাপড় খুলে দেওয়ার সময় তাঁকে বলা হয়, ‘পেছনের দিকে তাকাবি না। সোজা হেঁটে সামনে যাবি।’ 

‘পরে জানতে পারি, এটি মিরপুর ১ নম্বর আনসার ক্যাম্পের সামনের রাস্তা। [1] 

  • যে পরিমাণ সময়ের কথা তিনি বলছেন – 
    • নারায়ণগঞ্জের ভুঁইগড় থেকে থেকে আনুমানিক সাড়ে ৩ ঘন্টার মত
    • ঘন্টা দেড়েক পর – মিরপুর ১ নম্বর আনসার ক্যাম্প  
  • পরিবহণের সম্ভাব্য ধরণ 
  • পাশে কোথাও মসজিদ 
  • আরও কিছু প্রশ্ন করা যায় – ফেরি পার হওয়ার আগে কতক্ষণ? পার হওয়ার পর কতক্ষণ? 

জায়গাটা কোথায় হতে পারে?

ছেড়ে দেওয়ার আগ মুহূর্তটি সম্পর্কে আবু বকর সিদ্দিক জানান, রাতে দলনেতা এসে বাড়িটির ওই দুই তদারককারীর সঙ্গে কথা বলছিল। তাদের কথায় মনে হচ্ছিল, মূল পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হচ্ছে না। এদের মধ্যে একজন এসে বলল, ‘পুরো এলাকা পুলিশ ও র‌্যাব তল্লাশি চালাচ্ছে। খুঁজতে খুঁজতে এখানেও চলে আসতে পারে।’


পুলিশ র‌্যাব কোথায় কোথায় তল্লাশি চালিয়েছিল? তথ্য ব্যবহার করে জায়গাটা আইডেন্টিফাই করা সম্ভব না?

গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সম্পর্কযুক্ত তথ্য খুঁজে বের করে ব্যবহার করা

  • ‘পুরো এলাকা পুলিশ ও র‌্যাব তল্লাশি চালাচ্ছে। খুঁজতে খুঁজতে এখানেও চলে আসতে পারে।’
  • পুলিশ র‌্যাব কোথায় কোথায় তল্লাশি চালিয়েছিল? 
  • ৩৫  ঘন্টা – খুব বেশি না। পুলিশ – র‌্যাবের বিভিন্ন দল কোন সময়ে কোথায় খুঁজছিল – এ থেকে সম্ভাব্য স্থান সম্পর্কে ধারণা করা যায়? 

বাড়িটা আইডেন্টিফাই করতে পারলে অপহরণকারীদের আইডেন্টিফাই করার ক্ষেত্রে আমরা এগিয়ে যাব।  
রেফরেন্স

স্বপ্নের বাংলাদেশ অভিমুখে অগ্রযাত্রা (২৬.০৪.২০১৪)

বাংলাদেশ দৃপ্ত পদক্ষেপে এগিয়ে যাচ্ছে।


প্রতিদিন নতুন নতুন ক্ষেত্রে আমাদের অগ্রযাত্রার খবর প্রকাশিত হচ্ছে। 

আজকের (২৬.০৪.২০১৪) পত্রিকায় আমাদের অগ্রযাত্রার খবর



অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ বাংলাদেশের পথে অগ্রযাত্রা 


তথ্য প্রযুক্তিগত উৎকর্ষে উন্নত বাংলাদেশ অভিমুখে অগ্রযাত্রা 
বাংলাদেশ তথ্য প্রযুক্তিগত উৎকর্ষে উন্নত বিশ্বের দেশগুলোর সাথে প্রতিযোগিতা করবে। 


নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা
বাল্যবিবাহ রোধ, “যৌতুক প্রথামুক্ত বাংলাদেশ”, নারী নির্যাতন রোধ, ইভটিজিং রোধ 




অন্যায়-অপরাধ-দুর্নীতি-সন্ত্রাসমুক্ত বাংলাদেশ অভিমুখে অগ্রযাত্রা

এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ (১৯.০৪.২০১৪)

বাংলাদেশ দৃপ্ত পদক্ষেপে এগিয়ে যাচ্ছে।


প্রতিদিন নতুন নতুন ক্ষেত্রে আমাদের অগ্রযাত্রার খবর প্রকাশিত হচ্ছে। 

আজকের (১৯.০৪.২০১৪) পত্রিকায় আমাদের অগ্রযাত্রার খবর


“মাদকমুক্ত বাংলাদেশ” গড়ার পথে অগ্রযাত্রা 


নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা
বাল্যবিবাহ রোধ, “যৌতুক প্রথামুক্ত বাংলাদেশ”, নারী নির্যাতন রোধ 

জনগণের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় নাগরিক শক্তির ভূমিকা

 

দেশে এই মুহূর্তে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু হল জনগণের জানমালের নিরাপত্তা।

জনগণের জীবনের নিরাপত্তা যদি না থাকে, তাহলে বাকি সবকিছু অর্থহীন হয়ে যায়।

সংখ্যালঘুদের (সংখ্যালঘু শব্দটা আমাদের পছন্দ না। আমাদের কাছে সবচেয়ে বড় পরিচয় আমরা সবাই বাংলাদেশী। কিন্তু দেশের পরিস্থিতি সাপেক্ষে না চাইলেও শব্দটা আমাদের ব্যবহার করতে হয়।) সবচেয়ে বড় আতঙ্ক বিএনপি – জামায়াত জোট ক্ষমতায় এলে জামায়াতের নেতৃত্বে সংখ্যালঘু নির্যাতন-নিধন শুরু হতে পারে। ২০০১ এ তার দৃষ্টান্ত আছে। এবার যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে জামায়াত যা করেছে, তা দেখে মনে হয়, এবার সেই ঘৃণ্য প্রক্রিয়া আরও গুরুতর হতে পারে। আওয়ামী লীগ যেভাবে বিরোধী দলীয় নেতাদের উপর দমন – নিপীড়ন চালিয়েছে, তাতে বিএনপি – জামায়াত জোট ক্ষমতায় এলে প্রতিশোধ- প্রতিহিংসা হতে পারে – এমন ভাবনা থেকে অনেকেই শঙ্কিত। মানবতাবিরধী যুদ্ধাপরাধীদের বিচার নিয়ে যারা সক্রিয় ছিলেন তারাও অনেকে নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত। (আমাদের অভিজ্ঞতা থেকে জানি, সম্পূর্ণ গুজবের উপর ভিত্তি করে নিরাপরাধ মানুষকে খুন করতে জামায়াত একের পর এক প্রচেষ্টা চালাতে পারে।) আরেকটি ভয়ের ব্যাপার – জামায়াত নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে জঙ্গিবাদকে প্রশ্রয় দিতে পারে। শাহবাগের আন্দোলন বন্ধ করতে জামায়াত কি করেছে – তা দেশবাসী প্রত্যক্ষ করেছে। ককটেল বোমা, জ্বালাও – পোড়াও এর মাধ্যমে সেই প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলেই আমাদের আশঙ্কা।

নাগরিক শক্তি সংখ্যালঘুদের তথা দেশের সকল জনসাধারণের জানমালের নিরাপত্তা রক্ষায় সবার মাঝে একতার বন্ধন গড়ে তুলবে। সংখ্যালঘু এবং সংখ্যাগুরুদের মাঝে বন্ধন গড়ে তুলবে। সবাই মিলে বাংলাদেশ – এই সত্যকে প্রতিষ্ঠিত করবে। একের উপর অন্যায় অন্যরা সহ্য করবে না।

ক্ষমতায় গিয়ে জনসাধারণের নিরাপত্তাকে নাগরিক শক্তি সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেবে। এ লক্ষ্যে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীতে আধুনিকায়ন, বিচার বিভাগে সংস্কার সহ প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেবে। ইসলামী চেতনা যাতে ভুল পথে না যায় সে লক্ষ্যে কার্যকর ব্যবস্থা নেবে।

লেখা শেষ করে যা দেখলাম – চাঁপাতলায় শুধুই কান্না

আরও –
রুখে দাঁড়াও বাংলাদেশ
সংখ্যালঘুদের ওপর হামলাকারীদের বিচার চায় টিআইবি
মুক্তিযুদ্ধ ও ইসলাম কারও একার নয়
মানবিক প্রেমবোধ ও সহমর্মিতা
সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠী দেশে বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে: মান্না
দেশ ছেড়ে আমি কোথাও যাব না
সাম্প্রদায়িক সহিংসতার শেষ কোথায়?

“আমি মাঝে মাঝে কল্পনা করি আমি যদি এই দেশে একজন হিন্দু ধর্মাবলম্বী হতাম তাহলে আমার কেমন লাগতো। আমি জানি তাহলে গভীর হতাশায় আমার বুক ভেঙ্গে যেতো। আমি কোনো দোষ করিনি কিন্তু শুধুমাত্র একটি হিন্দু পরিবারে জন্ম নিয়েছি বলে আমার উপর যে নৃশংস অত্যাচার করা হচ্ছে তার জন্যে আমার বুকে যেটুকু ক্ষোভ জন্ম নিতো তার চাইতে শতগুণ বেশি অভিযোগ হতো আমার চারপাশের নির্লিপ্ত মানুষজনকে দেখে। কেউ কোনো কথা বলছে না। নীরবে এক ধরনের করুণা নিয়ে আমাকে দেখছে। সম্ভবত সবচেয়ে বেশি ক্ষোভ হতো রাজনৈতিক দলগুলোর ওপর। প্রতিবার নির্বাচনের পর, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় হবার পর, রায় কার্যকর হবার পর আমাদের ওপর হামলা করা হবে। বি.এন.পি জামায়াত হামলা করবে, আওয়ামী লীগ বা বাম দলগুলো সেটা ঘটতে দেবে। খুব বেশী হলে নিরাপদ দুরত্বে থেকে প্রতিবাদ করবে কিন্তু বুক আগলে কেউ রক্ষা করতে এগিয়ে আসবে না। এই দেশে আমি যদি হিন্দু ধর্মাবলম্বী হতাম তাহলে নিশ্চয়ই আমার বার বার মনে হতো আমি এই দেশের মানুষ কিন্তু এই দেশটি আমাকে রক্ষা করছে না। আমি নিশ্চয়ই সৃষ্টিকর্তার কাছে অভিযোগ করে বলতাম তুমি কেন আমাকে এমন একটি দেশে জন্ম দিয়েছ যেই দেশ আমাকে রক্ষা করার দায়িত্ব নেয় না? যেই দেশে আমাকে প্রতি মুহূর্তে আতংকে থাকতে হয়?

আমার মনে হয় এই দেশ নিয়ে আমাদের যত কল্পনা, যত স্বপ্ন, যত পরিকল্পনা সবকিছুকে পিছনে সরিয়ে সবার আগে আমাদের এখন একটি লক্ষ্য টেনে নিয়ে আসতে হবে। সেই লক্ষ্যটি হচ্ছে এই দেশে একটি হিন্দু শিশু যেন নিশ্চিন্ত নিরাপত্তায় তার মায়ের বুকে মাথা রেখে ঘুমাতে পারে। গভীর রাতে ধর্মান্ধ মানুষের উন্মত্ত চিৎকারে তাদের যেন উঠতে না হয়, আগুনের লেলিহান শিখায় আপনজনের আতংকিত মুখ দেখতে না হয়। একজন হিন্দু কিশোরীকে যেন তার বাবার রক্তশূন্য মুখের দিকে তাকিয়ে থরথর করে কাপঁতে কাপঁতে বলতে না হয়, “এখন কী হবে বাবা?”

আমরা …… শুধুমাত্র হিন্দু এবং অন্য সব ধর্মের মানুষের নিরাপত্তা চাই যেন তারাও ঠিক আমাদের মত এই দেশটিকে তাদের নিজেদের ভালোবাসার দেশ বলে ভাবতে পারে।

আমি কার কাছে এটি চাইব জানি না, তরুণ প্রজন্মের কাছে চাইছি। তোমরা আমাদেরকে একটি নূতন বাংলাদেশ উপহার দাও। যে বাংলাদেশ থেকে সাম্প্রদায়িকতা বিষবাষ্প চিরদিনের জন্যে মুছে দেওয়া হবে। আমি জানি তোমরা পারবে।”

 – তরুণ প্রজন্মের কাছে প্রার্থনা: মুহম্মদ জাফর ইকবাল

এখনও ঘরে ফিরতে পারেনি সাতক্ষীরার বিভিন্ন এলাকায় ধর্মীয় সংখ্যালঘুরা
ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর হামলাকারীদের বিচারের দাবি জানিয়েছে নাগরিক সমাজ
ব্রিটিশ পার্লামেন্ট হতাশা প্রকাশ করে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের আহ্বান
জামায়াতের ভাবাদর্শ
সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের হতাশা প্রকাশ
মুক্তিযুদ্ধের সাহস নিয়ে জামায়াতকে প্রতিহত করতে হবে: ইমরান
নিজভূমে পরবাসী হওয়াই নিয়তি?
অঘটন-উত্তর বোধোদয়, নাকি রাজনীতি?
বাংলাদেশ রুখে দাঁড়াও: আমাদের সুপারিশ
গণজাগরণ মঞ্চের পর্যবেক্ষণ রিপোর্ট
সংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে

সাম্প্রদায়িকতা বা সমাজের বিভেদকারী উপাদানগুলোর শিকড় যখন অন্যায়, অবিচার, অপরাধ, দুর্নীতি আর অসত্যের শিকড়ের সঙ্গে মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়, তখন সে শিকড়কে খুঁজে বের করা এবং উপড়ে ফেলা এক দুঃসাধ্য কাজ হয়ে ওঠে। সুতরাং আমাদের সংস্কৃতি তথা রাজনীতি, সমাজনীতি, আর্থিক ব্যবস্থা, শাসনব্যবস্থা, বিচারব্যবস্থা ও শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে নতুন করে না ভাবলে সাম্প্রদায়িকতার মূলোৎপাটন করা যাবে না।
যত দুঃসাধ্যই হোক, কাজটা তো শুরু করতে হবে। নতুন প্রজন্মের জাগরণ এ ব্যাপারে আমাদের আশাবাদী করে তোলে। আমরা তাদের দিকেই তাকিয়ে থাকি।

Economic Progress through Eradication of Corruption and Establishment of Rule of Law (দুর্নীতি দূরীকরণ এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে অর্থনৈতিক অগ্রগতি)

Economic Progress through Eradication of Corruption and Establishment of Rule of Law

রাজনীতিতে নানা হতাশার মাঝে বাংলাদেশের যে কটা বিষয় নিয়ে আন্তর্জাতিক মহলে আমরা গর্ব করতে পারি তার একটা হল গত দশ বছর ধরে ধারাবাহিকভাবে দেশের উচ্চ জিডিপি (GDP) প্রবৃদ্ধির হার (৬-৭%)। অপরদিকে, একটি ক্ষেত্র রয়েছে যেটিতে আন্তর্জাতিক বিশ্বে আমাদের অবস্থান লজ্জাজনক – দেশে দুর্নীতির ব্যাপকতা
  • দুর্নীতি কমিয়ে দিতে পারলে আরও অনেক কিছুর সাথে যে ব্যাপারটি ঘটবে তা হল, আমাদের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার বেশ খানিকটা বেড়ে যাবে।
  • আইনের শাসন প্রতিস্থিত হলে জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার আরও বাড়বে। আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে জমি দখল বন্ধ হলে সাধারণ জনগণের সম্পত্তি জনগণের কাছেই থেকে যাবে।
  • প্রবৃদ্ধির হারে আরও যোগ হবে যদি ভয় দেখিয়ে জনগণকে হরতাল পালনে বাধ্য করার সংস্কৃতি বন্ধ করা যায়।

দেশে দুর্নীতি করে জনগণের হাজার হাজার কোটি টাকা সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে (হলমার্ক কেলেঙ্কারি ইত্যাদি)।

জনগণের টাকা “কালো টাকা”য় রূপান্তরিত হচ্ছে এবং এই কালো টাকা চলে যাচ্ছে দেশের বাইরে। এই সম্পদ দেশে ফিরিয়ে আনতে পারলে জিডিপি বেশ খানিকটা বাড়বে।

 

একটা রুই-কাতলা আকারের দুর্নীতি ছিল পদ্মা সেতু দুর্নীতি। পদ্মা সেতু দুর্নীতি দেশের ৩ কোটি জনগোষ্ঠীকে পিছিয়ে দিয়েছে এবং অর্থনৈতিক উন্নতি, শিল্প প্রতিষ্ঠার জন্য প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণকে থামিয়ে দিয়েছে।

কুইক রেন্টাল দুর্নীতি আরেকটি বড় আকারের দুর্নীতি।

দুর্নীতি হ্রাস পেলে অধিকতর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বগুলো যোগ্য ব্যক্তিদের হাতে নাস্ত হবে এবং যোগ্য ব্যক্তিরা অধিকতর দক্ষতার সাথে কর্ম সম্পাদন করবেন (অযোগ্য বেক্তিদের দুর্নীতি করে, ঘুষ দিয়ে পদ দখল বন্ধ হবে)।

কথায় আছে, গুণীর কদর না হলে সে দেশে গুণী জন্মায় না। ভাল কাজের, দক্ষতার, মেধার মূল্যায়ন হলে প্রত্যেকে আরও ভাল কাজ করবে, দেশের চেহারা পাল্টে যাবে। দুর্নীতি দূরীকরণ বাবসা সহজ করায় ভূমিকা রাখবে। বাবসায়িদের পদে পদে ঘুষ-চাদা দিতে হবে না। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ বাড়বে।

জনগণকে জোর করে হরতাল-অবরোধ পালনে বাধ্য করাকে রুখে দিতে পারলে জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাড়বে। হিসাব মতে – একদিনের হরতালে ক্ষতি হয় প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা। বাস্তবে ক্ষতি আরও বেশি বলেই আমরা মনে করি। সেই সাথে আছে “জালাও-পোড়াও” – যানবাহন, কারখানা কোন কিছুই এর হাত থেকে রেহাই পায় না। দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতি আরও অনেক বেশি – বিদেশি বিনিয়োগ কারিরা কি হরতাল দেখে পিছিয়ে পড়েন না?

ভারতের মাথাপিছু জিডিপি (পিপিপি) $3,991, পাকিস্তানের $3,144, আর বাংলাদেশের $2,083। [2013]
বাংলাদেশের জিডিপির মোট আকার – $324.628 বিলিয়ন। ধরা যাক, শীর্ষ দুর্নীতিবাজদের কালো টাকা দেশে ফিরিয়ে এনে বিনিয়োগ করা হল এবং তাতে ১ বছরে পণ্য এবং সেবার আকার বাড়ল $108 বিলিয়ন। তাহলে মাথাপিছু জিডিপি হবে $2,776।

এক হিসাব মতে, দেশের শীর্ষ ৯০ জন ধনী বেক্তির সম্মিলিত সম্পদের পরিমাণ $15 বিলিয়ন।

$15 বিলিয়ন কতটুকু তা বুঝতে আমরা বিশ্বের শীর্ষ ধনীদের দিকে তাকাই। বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ৩ ধনী কার্লোস স্লিম, বিল গেটস এবং ওয়ারেন বাফেটের প্রত্যেকের সম্পদের পরিমাণ $55 থেকে $75 বিলিয়ন ডলার। বিশ্বে বিলিয়নেয়ার (প্রায় সাত হাজার আটশ কোটি টাকার মালিক) আছেন ১৪২৬ জন [2]

দুর্নীতি রুখে দিতে পারলে এবং সেই সাথে বাবসা-বিনিয়োগ-উদ্যোক্তা-শিল্প বান্ধব পরিকল্পনা হাতে নিয়ে বাস্তবায়ন করতে পারলে মাথাপিছু আয়ের দিক দিয়ে বছরখানেকের মাঝে ভারত-পাকিস্তান দুই প্রতিবেশীকে ছাড়িয়ে যাওয়া সম্ভব

“নেক্সট ইলেভেন” [4] এ থাকা ১১ টি দেশের একটি বাংলাদেশ – একদিন বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হয়ে উঠবে এমন স্বপ্ন আমরা দেখতেই পারি।

রেফরেন্সঃ

Crime in Psycho-Social Context

Crime is doing something that harms others or doing something that hurts others or that might hurt others if they ever become aware. If someone harms another, then the harmed is also hurt, so “hurt” is more general but “hurt” is not a measurable quantity. (Related – the principle of karma) 


Why do people commit crime? 

Personal gain and revenge.

Suppose A feels that B has not obeyed the orders of A in a particular instance and that has hurt A. If A punishes B, then that action might include both: personal gain (subordinates get scared and follow A) and revenge. Psychopaths are an exceptional breed. They take pleasure in hurting others. Same thing happens to those who are obsessed with all their life events in which they have been mistreated. People also transfer anger / revenge from one person to another, from one situation to another. We find angry people showing anger (being unable to show anger to superiors or equals) to subordinates, family members who can’t defend themselves from the wrath of the angry person. Revenge can lead to other revenges. (A hurting B or A feeling that B has hurt him, then B taking revenge, then A taking revenge in return.)

Unhappiness, mistreat makes us revengeful. The world is not perfect. Almost everyone is mistreated (or more correctly, almost everyone “feels” that he / she is mistreated) someway someday – no one gets what he / she deserves everyday. But you can still be happy – external conditions don’t make you unhappy, it’s how you interpret your external conditions, what you expectations are, that make you feel happy / unhappy. If you don’t brood how you were mistreated, but instead think of how much fortunate you are in comparison to others and count on God’s blessings you can be happy. Unhappy, revengeful people get more easily inclined towards crime. We need more happy, fulfilled people and less unhappy people. 

Children from broken families don’t get the guidance, love they need in the initial stage. If they are mistreated, or if they feel that they are mistreated, they become revengeful. We need more of loving stronger families, more of stable marriages. Children need the guidance, love and economic support, which gets bolstered by joined efforts of both the parents. 

Like all other affairs of life, committing crime can also become a habit. (Thinking patterns are habit too.) Concentrating on a particular aspect of life e.g., how much everyone around makes a person suffer can also become his / her habit. Punishing / torturing others for anything someone doesn’t like can also become a habit. (For behavior modification, finding out the “habits” that are the root cause of crime of a criminal could be one of the first steps.) So, if a child doesn’t get guidance from the family, feels that he / she is mistreated, becomes revengeful, commits crime and if not taken into account, makes it a habit. – An example of how things might go awfully wrong gradually if unchecked.

The law enforcement agencies should include psychologists / psychiatrists / sociologists to look for abnormal, obsessive behavior among people in all walks of life. Technological solutions e.g., data mining, sentiment analysis, emotion detection etc. might help us in this regard. Lots of research and investigation into psychology, psychiatry, sociology would shed more light. Abnormalities can be brought back to normal (by applying principles and practices from Psychology, Psychiatry, Religious Principles / Eastern philosophies) before things get worse. 

People want to feel good about themselves and they want others (especially people they care about) to feel good about themselves. It is so much more satisfying when you feel that you have earned something yourself. And if you love others deeply, help others earnestly, try to make others happier, you receive love, respect, help in return. This is the greatest reward a man / woman can have. (Look around you. People who are loved by others are usually very nice people, at least better than others that make them stand out.) Whenever you feel an irresistible urge to do something that might hurt others / do harm to others someway someday, remind yourself again and again that someday all your sins would be public, and imagine – feel the shame, hatred (in others’ minds), imagine – feel how people you care about would react / feel. It will help you resist the urge / temptation. (Have you ever had this experience? Feeling of shame, guilt etc.? Always keep it in mind. Has anyone praised you for doing something good (that made you feel really happy)? Keep it in mind too. Make the experiences and the associated feelings guide you. But don’t brood too much in the past. Just help it guide you. You can’t change your past, but you can “always” make the future beautiful.) Imagine-feel how life could have been if you didn’t have some of the things, some of the blessings you have. Now, feel happy and express gratitude. Sincerely believe that whatever you want in life can be achieved without hurting others / doing harm to others. You can even go one step further and begin to shape your desires so that the outcome is desirable to others. Then you can pull off together with others’ help, with greater force than if you were alone! Imagine a life full of mutual love and respect with people you care about! Find love! (It’s not just our romantic partners that we want to feel good about ourselves. We want our parents {Parents start off the process. During our childhood, when they say “Never do it”, we refrain from it and when they encourage us, we make it a habit.}, children, respected people, nice people, relatives and others to feel good about ourselves.) Your loved ones will inspire you!

In a society where people from all walks of life are treated equal and can pursue the life of their dreams, where law and order is strictly maintained, where everyone is held accountable for their deeds, people won’t hurt / harm others for personal gain and people would rely on law enforcement authority for judgment instead of taking revenge. Moreover, in a society where anyone can become anyone he / she wants to be, people are happier, more satisfied and more fulfilled and happier people are more empathetic, compassionate – people who care not only about themselves but also others.