আমরা সরকারকে বিদেশী বিনিয়োগের পথে যুক্তিসংগত বাঁধাগুলো দূর করার লক্ষ্যে যথাযথ উদ্যোগ নিতে আহ্বান জানাই।
“সস্তা শ্রম ও ইউরোপসহ উন্নত দেশগুলোতে জিএসপি সুবিধার হাতছানিতে ছুটে আসা বিদেশি ব্যবসায়ীদের বিমুখ হতে সময় লাগে না। বিষয়টি নিয়ে তাঁরা রীতিমতো গবেষণা করেছেন। প্রতিবেদনও তৈরি করেছেন। এই গবেষণা প্রতিবেদন থেকে বিদেশিদের চোখে বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের ক্ষেত্রে ১৩টি বড় বাধার কথা জানা গেছে। তাঁরা এগুলো সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করে বলেছেন, এসব বাধা দূর না করা হলে বাংলাদেশ থেকে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা মুখ ফিরিয়ে নিতেই থাকবেন।
বাংলাদেশে বিদেশি বিনিয়োগের বাধাসংক্রান্ত এই গবেষণা প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে জাপান এক্সটারনাল ট্রেড অরগানাইজেশন (জেট্রো), কেআরআই ইন্টারন্যাশনাল করপোরেশন, মিৎসুবিশি ইউএফজে রিসার্চ অ্যান্ড কনসালটিং এবং মুড়ি হামাদা অ্যান্ড মাৎসুমুটু।
বাংলাদেশে থাকা জাপানি বিনিয়োগকারী এবং বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী বিদেশি উদ্যোক্তাদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে এ প্রতিবেদনটি তৈরি করেছে তারা। জাপানের ট্রেড পলিসি ব্যুরোর দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়াবিষয়ক পরিচালক মিকিও এওকি ও জেট্রোর নয়াদিল্লি কার্যালয়ের ডিরেক্টর অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি রিসার্চার ইচিরো অ্যাবে গতকাল মঙ্গলবার বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাহবুব আহমেদের কাছে এ গবেষণা প্রতিবেদন জমা দিয়েছেন। এ সময় বাণিজ্যসচিবকে তাঁরা জানিয়েছেন, আইনি ও প্রাতিষ্ঠানিক জটিলতা এবং বিজিএমইএর মৌখিক আপত্তির কারণে পোশাক খাতসহ অন্যান্য অনেক খাতে বিনিয়োগ করতে আসা জাপানি ব্যবসায়ীরা ফিরে গেছেন। বাংলাদেশে গাড়ি প্রস্তুতকারী শিল্প প্রতিষ্ঠার আগ্রহের কথাও জানান তাঁরা।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা বাধাগুলো হলো-