Highlights From Seth Godin’s "Tribes: We Need You To Lead Us"

“A tribe is a group of people

  • connected to one another 
  • connected to a leader and 
  • connected to an idea.”



“A group needs only two things to be a tribe: 

  • a shared interest and 
  • a way to communicate.” 




“Tribes need leadership. Sometimes one person leads, sometimes more. People want connection and growth and something new. They want change.



  
“There’s a difference between telling people what to do and inciting a movement. The movement happens when people talk to one another, when ideas spread within the community, and most of all, when peer support leads people to do what they always knew was the right thing.


Great leaders create movements by empowering the tribe to communicate. They establish the foundation for people to make connections, as opposed to commanding people to follow them.


This is how Skype spread around the world. Cofounder Niklas Zennström understood that overthrowing the tyranny of the phone companies was too big a project for a small company. But if he could empower the tribe to do it themselves, to connect to one another and to spread the word, he would be able to incite a movement.”

“A leader can help increase the effectiveness of the tribe and its members by

  • transforming the shared interest into a passionate goal and desire for change; 
  • providing tools to allow members to tighten their communications; and
  • leveraging the tribe to allow it to grow and gain new members.” 

“Senator Bill Bradley defines a movement as having three elements:

  • A narrative that tells a story about who we are and the future we’re trying to build 
  • A connection between and among the leader and the tribe
  • Something to do—the fewer limits, the better”

Leaders create a culture around their goal and involve others in that culture.”




References



More Seth Godin

নাগরিক শক্তির প্রতীক্ষায় তরুণ প্রজন্ম – ১

নতুন রাজনীতি

“আমার মনে হয় আমাদের পৃথিবীতে যে change আসে – আমাদেরই সেই change আনতে হয়। Be the change you want to see.”
“যে কোন Change এর জন্য Revolutionary Character লাগে। Charismatic কোন Leader থাকলে তার পিছনে এমনিতেই তরুণরা যাবে। কারণ আমরা ৫০% এর উপরে। আমাদের দেশে তো আমাদেরই Power বেশি। আমরা যদি এমন কোন তরুণ পাই – সে হতে পারে নতুন কোন বঙ্গবন্ধু , নতুন একজন জিয়া – এরকম একজন মানুষ হতে হবে। যে Actually আমাদের Move করাতে পারে।” 

“আমাদের সবাই যখন voice raise করবে তখন সবার মধ্যে এই ভাবনা আসবে – কিছু করা দরকার।”

“প্রাইমারিলি যা দরকার তা হচ্ছে একটা প্লাটফর্ম যেখানে লিডারশীপ ট্রেইনিং দেওয়া হবে, Ethics ট্রেইনিং দেওয়া হবে।”

“মন্ত্রী যদি দুর্নীতি গ্রস্থ হন, আমরা পারবো তাদের বাই ফোরস চেইঞ্জ করাতে। তরুণরা এটা পারবো।”

“বাংলাদেশের যে দুইটি রাজনৈতিক দল আছে, তাতে তরুণদের অংশগ্রহণ দেখতে পাই না। নতুন একটি রাজনৈতিক দল দেখতে চাই।”

“দেশের জন্য contribute করতে চাই আমরা সবাই – আমি যাদের সাথে কথা বলেছি।”

“আমি রাজনীতি করতে চাই। আমার মনে হয়, আমরা যদি না আসি – আমার মনে হয় না এটা বদলাবে। এখন যেসব existing দল আছে আমার মনে হয় না তারা আমাদের চাওয়া পাওয়ার কোন খেয়াল রাখে। আমি চাই যোগ্য কোন দল আসুক। নতুন কেউ আসুক। নতুন ধারার রাজনীতি।”

“এখন যে অবস্থা আছে তাতে রাজনীতিতে involved হওয়া সম্ভব না, কিন্তু যদি নতুন একটা dimension created হয় তাহলে অবশ্যই।”

“আমি রাজনীতি আসতে চাই, কারণ আমি যদি কাঁদা পরিস্কার করতে চাই, তাহলে অবশ্যই কাঁদায় নামতে হবে এবং গাঁয়ে কাঁদা লাগাত হবে।”

“আমরা যারা সচেতন, আমরা যারা পরিবর্তন চাই, আমরা কেন এগুই না? আমরা সবাই – সুশীল সমাজ, তরুণ সমাজ সবাই মিলে কেন একটা প্ল্যাটফর্মে আসতে পারছি না?”

“যতদিন পর্যন্ত না আমরা নতুন একটা দল না করবো, নতুন Political culture তৈরি করবো – ততদিন পর্যন্ত আমার মনে হয় না প্রচলিত দলগুলো আমাদের সাথে compete করার জন্য change আনবে।” 




প্রচলিত রাজনীতি, নির্বাচন এবং নির্বাচনপূর্ব সহিংসতা


৮৯% তরুণ দেশের প্রচলিত রাজনীতিতে সন্তুস্ট নন।

৯৮% তরুণ মনে করেন মেধাবী তরুণদের রাজনীতিতে অংশগ্রহণের জন্য প্রচলিত রাজনৈতিক দলগুলোতে ব্যাপক সংস্কার প্রয়োজন।

৯১% তরুণ মনে করেন – প্রচলিত রাজনীতি গনতন্ত্রামনা রাজনীতি বিকাশের উপযুক্ত নয়।

“যারা রাজনীতিতে আসছেন তারা নির্দিষ্ট সময়ে কিছু Earn (রোজগার) করতে আসছেন।”

“একজনকে মন থেকে ভোট দেব এমন কেউ নেই।”

“এবার যে ইলেকশান হল এটা গনতান্ত্রিক কোন ইলেকশান না। গনতান্ত্রিক কোন প্র্যাকটিস হচ্ছে না।”

“বর্তমান প্রধান মন্ত্রী বলেছেন গণতন্ত্র রক্ষার স্বার্থেই এই নির্বাচনটা করতে হয়েছে। কিন্তু আমরা দেখেছি বিরোধী দলকে দমন – নিপীড়ন। Where is Democracy যেখানে বিরোধী দলকে কোন সভা সমাবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না?”

“শাহবাগে যে গণজাগরণ হয়েছিল, যুদ্ধাপরাধীদের রায়ের বিরুদ্ধে মানুষ যে প্রতিবাদ করেছিল, এই সহিংসতার (নির্বাচনের আগে) বিরুদ্ধে প্রতিবাদ আসেনি।”

“ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করতে হবে।”

“সংসদেই যেখানে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে কোন বিলে ভোট দিলে সদস্য পদ বাতিল হয়, সেখানে আমরা রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কি গণতন্ত্র দেখবো?”
– মাক্সিমাস তরুণকণ্ঠ | ১ম পর্ব

বাংলাদেশ সংবিধানের ৭০-১ ধারা

৭০। (১) “কোন নির্বাচনে কোন রাজনৈতিক দলের প্রার্থী রুপে মনোনীত হইয়া কোন ব্যক্তি সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হইলে তিনি যদি উক্ত দল হইতে পদত্যাগ করেন, অথবা সংসদে উক্ত দলের বিপক্ষে ভোট দান করেন, তাহা হইলে সংসদে তার আসন শুন্য হইবে।” [1]

বাংলাদেশের রাজনীতিতে গুনগত পরিবর্তনের গল্প – ১ [আমি রাজনীতিতে কিভাবে – ২]

১.

৯১ এর নির্বাচনের সময় আমি ছিলাম অনেক ছোট – রীতিমত ৪ বছরের বাচ্চা ছেলে!খুব একটা না বুঝলেও এটুকু বুঝতাম আমি ধানের শিষের সাপোরটার। আর মামা ছিলেন নৌকার সাপোরটার। আমাকে মজা করে বলতেন, ধানের শীষ ডুবে যাবে।

শেষ পর্যন্ত অবশ্য মামার নৌকাই ডুবল!

মানুষ কারও না কারও পক্ষে ভোট দেয় এবং ভোট যার পক্ষে বেশি পড়ে সে জিতে – ইলেকশান কিভাবে হয় এটা চিন্তা করে বুঝেছিলাম আরও কিছুদিন পরে। আব্বুকে জিজ্ঞেস করে জেনে নিয়েছিলাম আমার ধারণা ঠিক কিনা।

মাঝখানে ৪ বছর সৌদি আরবে কাটিয়ে ‘৯৭ এর ডিসেম্বরে দেশে ফিরে আসি।

পত্রিকা খুললেই চোখে পড়ত আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসের খবর – এক এক নেতা এক এক এলাকায় (ফেনী, লক্ষ্মীপুর) সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। আবার কারও কারও ব্যাংক থেকে ঋণ খেলাপির খবর। #TowardsCrimeFreeBangladesh

২০০১ এর সময় আমি পড়তাম ক্লাস নাইনে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পুরো সময়টা ভালমত ফলো করলাম। নির্বাচন ও হল।

এরপর থেকে পত্রিকা খুললেই দেখি দুর্নীতি আর অনিয়মের খবর। যোগ্য ব্যক্তিরা সরকারে মূল্যায়ন পেলেন না।

বুঝলাম, এভাবে দেশ চলতে পারে না। পরিবর্তন আসতেই হবে।

২.

২০০৩ সাল থেকে অধ্যাপক ডাঃ বদরুদ্দোজা চৌধুরী এবং ডঃ কামাল হোসেন পরিবর্তনের কথা বললেন।

বিকল্প ধারা আর গণফোরামের খবরগুলো পত্রিকাতে খুঁজে বের করতাম। কী গভীরভাবে চাইতাম বাংলাদেশের “পচা” রাজনীতিতে গুনগত পরিবর্তন আসুক!

দুই নেতার নেতৃত্বাধীন দুই দল মিলে সারা দেশে জনগণের বক্তব্য শোনার অনুষ্ঠানের আয়োজন করলেন। চমৎকার একটা ব্যাপার। এখনকার মত এত চ্যানেল, এত অনুষ্ঠান তখন ছিল না। কাজেই রাজনৈতিক সমাবেশে সাধারণত নেতাদের বক্তব্য শুনেই ফিরে যেতে হয়। এমন একটা সময়ে এই ধরণের অনুষ্ঠান প্রশংসনীয়। চট্টগ্রামের অনুষ্ঠানে আমিও গিয়েছিলাম – জীবনে প্রথমবারের মত কোন রাজনৈতিক কর্মসূচিতে!

মানুষ নিজের চাওয়া পাওয়া জানাতে চায়। আগ্রহ নিয়ে তাদের কথা শুনলে তারা কত খুশি হয়!

বিএনপি সরকারের কর্মীরা এসব অনুষ্ঠানে ডিম ছুড়ে মারাসহ ব্যাপকভাবে দমন চালিয়ে দুই দলের যে সম্ভাবনা ছিল তাকে থামিয়ে দিল।

৩.

২০০৭ সালে নোবেল বিজয়ী প্রফেসর ডঃ মুহম্মদ ইউনুস পরিবর্তনের ডাক দিলেন।

একটা রাজনৈতিক দল গঠন করবেন। মিডিয়ার মাধ্যমে পরিকল্পনা জানিয়ে জনগণের মতামত চাইলেন।

এবার আশা ছিল, পরিবর্তন আসবেই। পরিছন্ন ভাবমূর্তি, প্রশ্নাতীত সততা, মেধা, প্রশাসনিক দক্ষতা, নাগরিক সমাজের একটা বড় অংশের সমর্থন, গ্রামীণ ব্যাংকের সারাদেশে লক্ষ লক্ষ গ্রাহকের মাধ্যমে গ্রামে গ্রামে পরিচিতি, তরুণ প্রজন্মের আইডল – বাংলাদেশের একমাত্র নোবেল পুরস্কার বিজয়ী।

কিন্তু এবারও আগের কাহিনী – আরও ব্যাপকভাবে।

বিকল্প ধারা – গণফোরামের উপর বিএনপি এককভাবে দমন চালিয়েছিল। ২০০৬ তে অধ্যাপক ডাঃ বদরুদ্দোজা চৌধুরী এবং কর্নেল (অবঃ) ডঃ অলি আহমেদ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি গঠনের পরপরও বিএনপি দ্রুত দমনের পথে গিয়েছিল। আরও আগে বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী আলাদা হওয়ার পর আওয়ামী লীগ দমন (খুনসহ) চালিয়েছিল।

এবার দুই দল সম্মিলিতভাবে তাদের সুবিধাভোগী গোষ্ঠীকে সাথে নিয়ে দমনের পথে গেল। মিথ্যা এবং আপত্তিকর নানা শব্দও  ব্যবহার করল (যেমন “ঘুষখোর”; যিনি সামাজিক ব্যবসা নামে এমন ব্যবসা চালু করেছেন যেখান থেকে মালিক শুধুমাত্র প্রাথমিক বিনিয়োগ তুলে নেওয়া ছাড়া কোন লভ্যাংশ নেবেন না, যার প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংকের ৯৭ শতাংশ মালিকানা গরিব মহিলাদের হাতে এমন আদর্শ ব্যক্তির বিরুদ্ধে প্রোপাগান্ডা চালানোর জন্য এসব শব্দ!)।  

বাংলাদেশের তরুণ সমাজ যে পরিবর্তন চাইছিল ২০০৭ এও তা অঙ্কুরেই বিনষ্ট হল।

৪.

এরপর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় প্রশংসনীয় নানা উদ্যোগে সুন্দর বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখা শুরু করলাম।

এমন একটা দেশ – সারাদেশের মানুষের কোন জাতীয় পরিচয়পত্র, ডেটাবেইসে সংরক্ষণের ব্যবস্থা নেই! ছবিযুক্ত ভোটার আইডি কার্ডের মাধ্যমে আমরা তা পেলাম।

বিচার বিভাগেও প্রয়োজনীয় সংস্কার এল।

শক্তিশালী নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি বাংলাদেশের অনেকদিনের অভাব একটা শক্তিশালী দুর্নীতি দমন কমিশনও পেলাম।

দুর্নীতিবাজ নেতাদের গ্রেপ্তার দেখে স্বস্তি ফিরে এলো। বাংলাদেশের জনগণের মাঝে অনেক জনপ্রিয়তা পেলো।

দুর্নীতিতে বিশ্বসেরার খেতাব জেতা বাংলাদেশে একটা নতুন যুগের সূচনা হল বলে বাংলাদেশের জনগণ আশা করল।

৫.

এরপর ২০০৮ এর নির্বাচন। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলো।

নতুন মন্ত্রিসভার পরিচ্ছন্ন ভাবমূর্তির অনেকে প্রশংসা করলেন। প্রথম ১ বছরে মনে হল, ছাত্রলীগ আর যুবলীগের টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি নিয়ন্ত্রণে আনতে পারলে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় দুর্নীতিবাজদের গ্রেপ্তারের মাধ্যমে যে পরিবর্তনের আশা দেখেছিলাম তা দীর্ঘস্থায়ী হবে। এসময়কার সার্ভেই ও তাই বলে – প্রথম বছরে আওয়ামী লীগের জনপ্রিয়তা বেড়ে গিয়েছিল।

এরপরই আমাদের সামনে প্রকাশিত হওয়া শুরু করল দুর্নীতি, সন্ত্রাস আর অনিয়মের মহোৎসবের খবর। বাংলাদেশের রাজনীতিতে পরিবর্তনের যে আশা করেছিলাম – এবার সে আশায় গুড়ে বালি – কয়েক বছরের জন্য হলেও।

৬.

অবশেষে ২০১৩ সালের শেষ তিন মাসে আমরা বাংলাদেশের রাজনীতিতে সত্যি সত্যিই নতুন সূর্যের উদয়ের পথে এগুনোর লক্ষ্যে একত্রিত হলাম। অন্যায় অবিচার দুর্নীতি মুক্ত একটা সুখী, সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন আমাদের একত্রিত করল।

পরবর্তী: সম্মিলিতভাবে সবাই জনগণের সামনে আসবেন।

এবার আমরা জনগনকে সাথে নিয়েই সামনে আসবো। কারণ আমরা জানি, জনগণের ঐক্যের শক্তিই সবচেয়ে বড় শক্তি।

আরও

স্বপ্নের বাংলাদেশের চিত্রকল্প

নাগরিক শক্তি ক্ষমতায় এলে স্বপ্নের বাংলাদেশ কেমন হবে তার এবং সেই স্বপ্নের বাংলাদেশে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের জীবনের একটা চিত্র জনগণের সামনে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে তুলে ধরে জনগণকে সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্নে উজ্জীবিত করা হবে।

বাংলাদেশের মানুষ পরিকল্পনাবিহীন অপরাজনীতি দেখে অভ্যস্ত। জনগণ জানে না সুপরিকল্পিত সুশাসন দেশকে কোথায় নিয়ে যেতে পারে।

Audience এ সবচেয়ে বেশি থাকবে তরুণ। Social media দিয়ে ছড়িয়ে পড়বে তরুণদের মাধ্যমে।

সবাই emotionally attached হবে যদি viewer রা নিজেকে এর অংশ ভাবতে পারে।

গল্পের মত করে থাকবে। “স্বপ্নের বাংলাদেশ” এ একজন কৃষকের জীবন। একজন আইটি উদ্যোক্তা। গ্রামে যুবকদের উদ্যোগ। গ্রামে গ্রামে প্রতিযোগিতা হচ্ছে – উন্নয়নের জোয়ার এসেছে। অর্থনৈতিক ভাবে সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ। বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয় এ তরুণ ছাত্র ছাত্রীরা। বাসা বাড়ি শিল্প কারখানা গড়ে উঠছে। জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সবাই মিলে বিজয় দিবস আর শত বছরের বাঙালি সংস্কৃতির নানা উৎসব উদযাপন করছে । গনতন্ত্রের চর্চা – নেতারা জনগণের চাওয়া পাওয়া বোঝার চেষ্টা করছেন। বাংলাদেশ ক্রিকেট দল বিশ্বকাপ জিতেছে – সারা দেশ উল্লাস করছে। রিকশার চাকার ঘূর্ণনে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে আর জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হওয়া সেই বিদ্যুৎ দিয়ে চলছে নতুন নতুন শিল্প। বিভিন্ন দেশ বিনিয়োগ করতে এগিয়ে এসেছে। বাংলাদেশ মাথাপিছু আয়ের দিক দিয়ে অনেক দেশকে ছাড়িয়ে গেছে। আইনজীবী লড়ছেন জনগণের অধিকার আদায়ে। বাংলাদেশের কোন সাহিত্যিক বা শিল্পী আন্তর্জাতিক পুরষ্কার জয় করে এনেছেন। (মোট কথা – বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ যে যে স্বপ্ন দেখেন।)

ধারাবাহিকতা থাকলে ভাল। (যেমন sequence – রিকশার চাকার ঘূর্ণনে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হচ্ছে আর জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হওয়া সেই বিদ্যুৎ দিয়ে চলছে নতুন নতুন শিল্প। বিভিন্ন দেশ বিনিয়োগ করতে এগিয়ে এসেছে। বাংলাদেশ মাথাপিছু আয়ের দিক দিয়ে অনেক দেশকে ছাড়িয়ে গেছে।)

দলের নাম (নাগরিক শক্তি) এবং প্রতীক (বই) আটাচড থাকবে।

যতজনকে প্রক্রিয়াটার সাথে যুক্ত করা যাবে তত ভাল। বিশেষ করে তরুণদের।

নাগরিক শক্তির শিক্ষাবিষয়ক পরিকল্পনা

  • শিক্ষা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যেকটা মানুষের মাঝে লুকিয়ে আছে বিশাল সুপ্ত ক্ষমতা। শিক্ষার মাধ্যমে প্রত্যেকে তার সুপ্ত ক্ষমতাকে জাগিয়ে তুলে এক একটা বিশাল শক্তি হয়ে উঠতে পারে। জ্ঞান আর মেধা দিয়ে জীবনে সবকিছু অর্জন করা যায়। যে কেউ প্রায় যে কোন বয়সে সঠিকভাবে চেষ্টা করলে যে কোন কিছু হয়ে উঠতে পারে – এই বিশ্বাসটা সবার মধ্যে জাগিয়ে তুলতে হবে। মানুষগুলোকে জাগিয়ে তুলতে পারলে আর কিছু লাগবে না। এক একটা মানুষ যেখানে বিশাল শক্তি হতে পারে সেখানে ১৬ কোটি মানুষকে জাগিয়ে তুলতে পারলে আমাদের আর পিছে ফিরে তাকাতে হবে না। 
    • শিক্ষা শুধুমাত্র প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় সীমাবদ্ধ না, আমরা চাইলে জীবনের প্রতিটা মুহূর্তে চারপাশ থেকে শিখতে পারি। 
    • ইতিহাসের যে কোন সময়ের তুলনায় নিজেকে উপরে তোলার সুযোগও সবচেয়ে বেশি আমাদের প্রজন্মের। আধুনিক প্রযুক্তিগত উদ্ভাবন আমাদের হাতে দিয়েছে অনন্য সব আবিষ্কার – মানুষ এখন যে কোন প্রান্তে বসে যে কোন কিছু শিখতে পারে, যে কারও সাথে যোগাযোগ করতে পারে, কোটি মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারে, কাজ করতে পারে, পারে আয় রোজগার করতে।
  • বাজেটে শিক্ষা খাতে বরাদ্দ বাড়ানো হবে।
  • শিক্ষাবিদদের নিয়ে শিক্ষা কমিশন গঠন করা হবে। কমিশনের পরামর্শের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী – অভিভাবকদের মতামত নিয়ে প্রাথমিক থেকে উচ্চশিক্ষা পর্যন্ত শিক্ষাবাবস্থার প্রতিটি পর্যায়ে আমূল সংস্কার আনা হবে। 
  • সৃজনশীল এবং বাস্তব জীবনে প্রয়োগ নির্ভর শিক্ষা বাবস্থা চালু। 
    • বই থেকে শেখা জ্ঞান দিয়ে জগতটাকে দেখতে শেখানো। 
    • “লার্নিং বাই ডুইং” (হাতে কলমে শিক্ষা) চালু করা হবে। এতে বইয়ের জগত এবং বাস্তব জীবনের মধ্যে মেলবন্ধন তৈরি হবে। 
  • শিক্ষার্থীরা আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে নিজেরা শিখবে। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে পারস্পরিক যোগাযোগের মাধ্যমে শিখবে। 
  • দেশের প্রত্যেকটা স্কুলে আধুনিক লাইব্রেরি গড়ে তোলা হবে। 
    • লাইব্রেরিগুলো হবে জ্ঞান চর্চা ও জ্ঞান আদানপ্রদানের কেন্দ্র। 
    • বই, উচ্চগতির ইন্টারনেটসহ কম্পিউটার এবং কিছু যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হবে। 
    • স্কুল লাইব্রেরিগুলো সবসময় খোলা থাকবে। শিক্ষার্থীরা যতক্ষণ খুশি লাইব্রেরিতে সময় কাটাতে পারবে। 
  • সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে পাঠ্যসূচীতে পরিবর্তন। নৈতিকতার শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
  • পরীক্ষা পদ্ধতি, মূল্যায়ন পদ্ধতিতে সংস্কার আনা হবে।
  • শিক্ষার্থীরা মেধাভিত্তিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে। বিভিন্ন অলিম্পিয়াড, প্রতিযোগিতা এবং অন্যান্য উদ্যোগের মাধ্যমে মেধাবী জাতি গড়ে তোলা হবে। 
    • ছাত্র – ছাত্রী, কিশোরকিশোরী, তরুণ-বৃদ্ধ সবাই অবসরে ধাধার সমস্যার সমাধান করবে। মেধা-বুদ্ধি শানিত করবে। সূচনা হবে নতুন সংস্কৃতির। প্রত্যেকে হয়ে উঠবেন চিন্তাশীল, মেধাবী, বুদ্ধিমান।  
    • গ্রাম পর্যায় পর্যন্ত গণিত অলিম্পিয়াড, বিজ্ঞান প্রকল্প এর সংস্কৃতি ছড়িয়ে দেওয়া হবে।
  • বাংলাদেশে বিশ্বমানের কয়েকটা বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলা হবে। 
    • দেশে বিশ্বমানের বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠান এবং ইন্ডাস্ট্রি গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়ে, বিনিয়োগ নিশ্চিত করে বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে PhD ডিগ্রি প্রাপ্তদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে
    • BUET এবং DU কে এখনই বিশ্বমানের পর্যায়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভব। পরিবর্তনের হাওয়া লাগলে সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ে তা ছড়িয়ে পড়বে। একে একে MIST, SUST, CUET, RU, KUET, RUET, CU, KU এবং অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো Ranking এ উপরের দিকে উঠে আসবে। ঠিক যেভাবে ICPC কিংবা TopCoder Ranking এ আমরা শীর্ষস্থানগুলো দখল করছি। 
    • বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সত্যিকারের গবেষণা শুরু হবে – বরাদ্দ বাড়বে, গবেষণা সংস্কৃতিতে পরিবর্তন আনা হবে। 
    • বিশ্ববিদ্যালয় – ইন্ডাস্ট্রি এর মধ্যে যোগাযোগ গড়ে তোলা হবে। 
      • ইন্ডাস্ট্রির চাহিদা বিবেচনায় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পাঠ্যক্রমে পরিবর্তন আনা হবে। 
      • প্রোডাক্ট ডেভেলাপমেন্ট এবং রিসার্চে বিশ্ববিদ্যালয় – ইন্ডাস্ট্রি একসাথে কাজ করবে। 
      • কোন শিক্ষার্থীর প্রজেক্ট হয়ে উঠবে আরেকটি ইন্ডাস্ট্রির প্রোডাক্ট। 
      • ফ্যাকাল্টি মেম্বাররা প্রোডাক্ট ডেভেলাপমেন্ট এবং রিসার্চে ইন্ডাস্ট্রির কাছে ফান্ডিং এর আবেদন করবেন। 
    • প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় এবং এদের শাখাগুলোর অনুমতি প্রদানে স্বচ্ছতা আনা হবে – ন্যূনতম মান নিশ্চিত করা হবে।
  • দেশের যেসব জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় নেই, সেসব জেলায় সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হবে।যেগুলো আছে ওগুলোর আসন সংখ্যা বাড়ানো হবে। 
    • সুযোগ দিলে অনেকেই সর্বোচ্চ চেষ্টার মাধ্যমে “কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি নিয়ে ভাল চাকরি” করতে চাইবে। কিছু কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি শুধুমাত্র এইচএসসি বা সমমানের শিক্ষার্থীদের মাঝে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। সমাজে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার এটাই একমাত্র উপায় – অনেকে একটু বড় হওয়ার পর বুঝতে পারে!
  • বাংলাদেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর জন্য আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন রাঙ্কিং প্রথা প্রবর্তিত হবে। 
    • রাঙ্কিং প্রথায় বিভিন্ন objective measures ব্যবহার করা হবে – যেগুলো নিয়ে বিতর্কের সুযোগ নেই। জার্নালে এবং কনফারেন্সে পেপার পাব্লিকেশানের উপর এত পয়েন্টস, পেপারের ইমপ্যাক্ট ফ্যাক্টরের উপর এত, জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিযোগিতায় সাফল্যের উপর এত, পাশ করার ৩ মাসের মধ্যে চাকরি প্রাপ্তির হারের উপর এত, শিক্ষকদের শিক্ষাগত যোগ্যতা ও গবেষণা প্রোফাইলের উপর এত, ছাত্র – শিক্ষক অনুপাতের উপর এত পয়েন্টস – এরকম কিছু measures। 
    • প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলো নিজেদের মাঝে এবং সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সাথে মেধাবী ছাত্র ভর্তির জন্য এক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা করবে – ফলশ্রুতিতে সবগুলো বিশ্ববিদ্যালয়ের মান বাড়বে। 
    • বিষয়ভিত্তিক রাঙ্কিং প্রথা চালু করা হবে। 
    • কোন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হয়ত গর্বের সাথে বলবে, জান, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগ দেশ সেরা! যাকে বলা হবে সে উত্তর দেবে, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগ দেশ সেরা আর এশিয়ার সেরা ১০টার একটা!  
  • বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী দেশের কিশোর গণিতবিদদের কাছে যে ৩টি স্বপ্নের কথা বলেছিলেন তাদের মধ্যে ছিল ২০২২ সালের মধ্যে একজন বাংলাদেশী গনিতবিদের ফিল্ডস মেডল জয় এবং ২০৩০ সালের মধ্যে একজন বাংলাদেশী বিজ্ঞানীর নোবেল পুরষ্কার জয়। নাগরিক শক্তি ২০৩০ সালের মধ্যে ফিল্ডস মেডেল এবং নোবেল পুরস্কার জয়ের লক্ষ্যে গবেষণা সংস্কৃতিতে নতুন জাগরণ এবং বিশ্বমানের গবেষণা ইন্সটিটিউট প্রতিষ্ঠা করবে।
  • উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষা কার্যক্রম যাতে অপরাজনীতির কারণে বাঁধাগ্রস্থ না হয়, দুর্নীতির কারণে ক্ষতিগ্রস্থ (যেমন নিয়োগে অনিয়ম) না হয়, সে ব্যাপারে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে। 
    • সেশন জটের কারণগুলো চিহ্নিত করে দূর করা হবে। আন্ডারগ্রাজুয়েট শিক্ষার্থীরা ৪ বছরে বাচেলারস ডিগ্রী শেষ করবে। 
    • আমরা শিক্ষাঙ্গনে সুস্থ রাজনীতির চর্চা, উদ্ভাবনী উদ্যোগ দেখতে চাই – ছাত্রছাত্রীরা কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে, মানুষের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে দল বেঁধে কাজ করবে। 
  • মাদ্রাসা শিক্ষাবাবস্থার সংস্কার (সবার মতামতের ভিত্তিতে) – আধুনিক জ্ঞান বিজ্ঞান অন্তর্ভুক্তিকরন – যাতে মাদ্রাসা শিক্ষাবাবস্থায় শিক্ষিতরা মেডিক্যাল, ইঞ্জিনিয়ারিং, বাবসা, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে আরও বেশি সুযোগ পায়।
  • তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে প্রকৌশলী থেকে শুরু করে কৃষক পর্যন্ত সবার জন্য “লাইফলং লার্নিং” (জীবন ব্যাপী শিক্ষা) এর সুযোগ।
শিক্ষা নিয়ে আরও


তোমাদের জন্য লেখা


শিক্ষাবিদরা কি ভাবছেন

– ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী: তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা; উপাচার্য, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক; সভাপতি, বাংলাদেশ গণিত অলিম্পিয়াড কমিটি।


তরুণ প্রজন্ম এখন নেতৃত্ব নিতে সক্ষম
– ডঃ মুহম্মদ জাফর ইকবাল, বিভাগীয় প্রধান, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিকস ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
 
 

– ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ: অধ্যাপক, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় (বুয়েট) ও ফেলো, বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্সেস।




শিক্ষায় বাংলাদেশী উদ্যোগ 

নাগরিক শক্তির আত্নপ্রকাশ

নাগরিক শক্তির আত্নপ্রকাশঃ ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৩। 
প্রতিবছর বিজয় দিবসের দিনে আমরা প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করব।

  • মুক্তিযোদ্ধারা বাংলাদেশ নিয়ে তাদের স্বপ্নের কথা তুলে ধরবেন।
  • বিভিন্ন শ্রেণী পেশা (অন্যান্যদের মধ্যে একজন কৃষক, একজন গার্মেন্টস কর্মী, একজন রিকশা চালক থাকবেন) বিভিন্ন জাতি (পাহাড়ি) ধর্মের মানুষ তাদের প্রত্যাশা, আশা আকাঙ্খার কথা তুলে ধরবেন। (নাগরিক শক্তি জনগণের দল।)
  • একজন তরুণ ব্লগার একজন মাদ্রাসা ছাত্রকে ব্লগ লেখা শিখিয়ে দেবেন এবং মাদ্রাসা ছাত্র ইসলাম কিভাবে আমাদের পথ প্রদর্শক হতে পারে তা নিয়ে একটি ব্লগ পাবলিশ করবেন। আমাদের চিন্তা ভাবনা, মূল্যবোধ, ধ্যান – ধারণায় পার্থক্য থাকতে পারে – কিন্তু একসাথে বসে আলোচনা করলে আমাদের মাঝের দূরত্বটুকু দূর হয়ে যায়।
  • বাংলাদেশের মানুষ পরিকল্পনাবিহীন অপরাজনীতি দেখে অভ্যস্ত। জনগণ জানে না সুপরিকল্পিত সুশাসন দেশকে কোথায় নিয়ে যেতে পারে। বাংলাদেশ সঠিকভাবে পরিচালিত হলে স্বপ্নের বাংলাদেশ কেমন হবে তার এবং সেই স্বপ্নের বাংলাদেশে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের জীবনের একটা চিত্র জনগণের সামনে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে তুলে ধরে জনগণকে সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্নে উজ্জীবিত করা হবে। দৃঢ়তার সাথে জনগণকে জানানো হবে স্বপ্নের বাংলাদেশের লক্ষ্যে পরিবর্তন এবারই আসছে।
  • জাতি ধর্ম বর্ণ শ্রেণী পেশা নির্বিশেষে কারও উপর যাতে কখনও অন্যায় না হয়, জনগণকে এলাকায় এলাকায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে তা নিশ্চিত করতে আহ্বান জানান হবে এবং দলটি এক্ষেত্রে জনগণের পাশে থাকবে।
  • নাগরিক শক্তি জনগণের দল। জনগণ সব ধরণের মাধ্যম (ওয়েব, সেল ফোন, ইমেইল ইত্যাদি) ব্যবহার করে যাতে দলটির কাছে প্রত্যাশা, মতামত, আশা আকাঙ্ক্ষা তুলে ধরতে পারে সে লক্ষ্যে বাবস্থা।
  • কয়েকটি দল বিলুপ্ত ঘোষণা করে স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে সকলে মিলে নাগরিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে – ট্রাঞ্জিশানটা স্মুথ হবে – সবাইকে নাগরিক শক্তির অংশ করে নেওয়া। প্রত্যেক দলের দলীয় প্রধান ঘোষণা দেবেন।
  • ওয়েবে আত্মপ্রকাশ অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচারিত হবে।
  • স্থানীয় পর্যায়ে আয়োজন থাকবে।
  • মেম্বারশিপ ফর্ম (সেল ফোন, ওয়েব, কাগজ – সুনাগরিক হিসেবে দেশের জন্য কি ভূমিকা রাখতে চান, দলীয় সদস্য হিসেবে কোন কোন ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখতে চান – তা লিখবেন।)
  • জনগণকে প্রতিটি কর্মকাণ্ডে যত বেশি সম্পৃক্ত করা যাবে – জনগণের সাথে দলটির তত বেশি আবেগের সম্পর্ক গড়ে উঠবে।
  • সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম
    • ফেইসবুক পেইজ
    • ওয়েবসাইট (মডারেটেড ব্লগ থাকবে)
    • ইউটিউব চ্যানেল (স্বপ্নের বাংলাদেশের ভিডিও, দেশ নিয়ে ভিডিও, দলীয় কর্মকাণ্ডের ভিডিও)
    • বুকলেট
    • ডিজিটাল মিডিয়া / সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, তারুণ্য। স্বপ্নের বংলাদেশের ভিডিও (দলের নাম, প্রতীক) -> লিংকঃ ফেইসবুক, ইউটিউব পেইজ, ওয়েব সাইট (সবাই পড়তে পারবে, কিন্তু সাইটে কমেন্ট করতে / মতামত দিতে ফেইসবুক লগইন। (তা নাহলে স্প্যাম, উদ্দেশ্য প্রণোদিত কমেন্ট – অ্যাডমিন মডারেশান এর পর পাবলিশ) সাইট ব্লগে নিজেদের চিন্তা ভাবনা, প্রত্যাশা প্রকাশ করার সুযোগ দেওয়া যেতে পারে।)। দলটা আমাদের সবার। সবার মতামতের ভিত্তিতেই পরিচালিত হবে দল এবং দেশ। স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে উঠবে তারুণ্যের শক্তিতে। তরুণদের জন্য প্ল্যাটফর্ম গড়ে দেওয়া হবে যাতে তারা বিভিন্ন কল্যাণমুখী, উদ্ভাবনী উদ্যোগ নিতে পারে। লেখাগুলো ভাগ করে ইমেইজ হিসেবে শেয়ার দেওয়া হবে (দলের নাম, প্রতীক থাকবে ইমেইজে) – সবাই পড়বে, লাইক – শেয়ার দিবে এবং এভাবে ছড়িয়ে পড়বে। গ্রামে সবাই ফোন ব্যবহার করে এক্সেস করবে। কাজেই মোবাইল অপ্টিমাইজড ডিজাইন। (ডিজিটাল মিডিয়া সিকিউরিটি)
    • তরুণ তরুণীরা সবচেয়ে বেশি উৎসাহ নিয়ে কাজ করবে। টীম গড়ে তুলতে হবে। সবাই একসাথে বসে মিটিং এর পাশাপাশি ভার্চুয়ালি একসাথে কাজ করতে পারে, সাজেশান দিতে পারে, যোগাযোগ দিতে পারে সে লক্ষ্যে বাবস্থা – “ক্লোজড গ্রুপ”। তরুণ তরুণীদের মাঝ থেকেই ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব গড়ে উঠবে।

১৪ ডিসেম্বর, ২০১৩ – বুদ্ধিজীবী, নাগরিক সমাজ, বাবসায়ি সমাজ কে নিয়ে নাগরিক ঐক্যের আলোচনা-সভা। বুদ্ধিজীবীরা, নাগরিক সমাজের সদস্যরা, বাবসায়িরা দেশ গঠনে নিজেদের মতামত, দিক নির্দেশনা তুলে ধরবেন।

নাগরিক শক্তি

দলের নাম: নাগরিক শক্তি
প্রতীক: বই


মূলমন্ত্র: “জ্ঞানের আলোয় উন্নত বাংলাদেশ”


মূলনীতি
1. সবকিছুর উপর জাতীয় স্বার্থ
2. মুক্তিযুদ্ধের চেতনা
3. জাতি ধর্ম বর্ণ শ্রেণী পেশা নির্বিশেষে সবার একতা, সবার স্বার্থ সংরক্ষণ; সুখী সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্নে সবাই ঐক্যবদ্ধ
4. গণতন্ত্রমনা – দলের প্রতিটি কর্মকাণ্ডে জনগণের মতামত, আশা আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হবে, জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা হবে
5. সকল অন্যায়, অপকর্ম, অত্যাচার, দুর্নীতির বিরুদ্ধে দৃঢ় অবস্থান


সাংগঠনিক কাঠামো
প্রেসিডেন্ট
এক্সিকিউটিভ প্রেসিডেন্ট
ভাইস প্রেসিডেন্ট – ৭ জন
জেনেরাল সেক্রেটারি এবং কো-জেনেরাল সেক্রেটারি

জয়েন্ট জেনেরাল সেক্রেটারি – ১১ জন (আরও কয়েকজন যুক্ত হবেন)

Electoral Plan for an Ideal Political Party – 2 (আদর্শ রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী পরিকল্পনা – ২)

 

জনগনের পাশে গিয়ে দাঁড়াতে হবে। বিভিন্ন ডেমোগ্রাফিকের জনগণের সমস্যা, আশা আকাঙ্ক্ষা বুঝতে হবে। তাদের সমস্যার সমাধান কিভাবে করা যায়? উদ্যোগ? প্লাটফর্ম? জনগণের নিরাপত্তা? আমরা সমস্যা সমাধানে কতটুকু আন্তরিক বুঝিয়ে দিতে হবে।

সুপরিকল্পিত সুশাসন এর মাধ্যমে স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে উঠবে এই স্বপ্নে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। স্বপ্নের বাংলাদেশের বাস্তবমুখী গল্প, ভিডিও চিত্র (দলের ট্রেডমার্কসহ) জনগণের কাছে ছড়িয়ে পড়বে।

সবার মাঝে নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে হবে।
তরুণদের কাছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম দিয়ে পৌঁছান সবচেয়ে সহজ।
নেতারা আসবেন strength দেখে। নেতাদের মাঝে যোগাযোগের বাবস্থা করতে হবে। এতে সবার মাঝে বন্ধন গড়ে উঠবে। নেতাদের মাঝে নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে পারলে সেই নেটওয়ার্ক এর আকার বাড়তে থাকবে।
বিভিন্ন নেটওয়ার্ক – তরুণদের নেটওয়ার্ক, বাবসায়িদের নেটওয়ার্ক, বুদ্ধিজীবীদের নেটওয়ার্ক, সাংবাদিকদের নেটওয়ার্ক গড়ে উঠবে। ভিন্ন ভিন্ন পেশা, ভিন্ন ভিন্ন দলের নেতাকর্মীদের মাঝেও নেটওয়ার্ক গড়ে উঠবে। নেটওয়ার্ক দ্রুত বড় হবে।
আমাদের হিশেব নিকেশ রাখতে হবে আমাদের নেটওয়ার্ক এ কারা কারা আছেন। এই নেটওয়ার্কগুলোকে কিভাবে বাড়ানো যায়। নেটওয়ার্কগুলো নিজেরা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যমে দ্রুত বড় হতে থাকবে। যারা নেটওয়ার্ক এ আছেন, তারা নেটওয়ার্ক এর বাইরের অন্যদের নেটওয়ার্ক এ আনবেন।
নেটওয়ার্কগুলো গড়ে উঠবে স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে।
নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে পারলে মানুষ সম্মিলিতভাবে নিজেদের সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন উদ্যোগ নেবে। বুদ্ধিজীবীদের নেটওয়ার্ক এক্ষেত্রে অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করবে।

অন্ধকারাচ্ছন্ন রাজনীতির বদলে স্বপ্নের বাংলাদেশ

আমরা যারা আদর্শ রাজনৈতিক দলের স্বপ্ন দেখি আমরা জানি আমাদের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হলে বিপুল সম্ভনাময় এই দেশকে আমরা সবাই মিলে কোথায় নিয়ে যেতে পারব। জাতি ধর্ম বর্ণ শ্রেণী পেশা নির্বিশেষে জনগণের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে আমরা প্রাণশক্তিতে ভরপুর বিশাল তরুন প্রজন্মকে নিয়ে বাবসা বান্ধব, শিল্প বান্ধব, উদ্যোক্তা বান্ধব এবং সর্বপরি অর্থনৈতিক ভাবে শক্তিশালী একটি দেশ গড়ে তুলবো।

আমরা আরও জানি আমরা এগিয়ে না এলে কি ঘটবে।.
গডফাদারদের হাতে সাধারণ মানুষের খুন টর্চার অব্যাহত থাকবে।
গুজব রটিয়ে মানুষ হত্যা, ঘরবাড়ি পোড়ান অব্যাহত থাকবে।
হরতালে “জ্বালাও পোড়াও” এর মাধ্যমে হাজার কোটি টাকার ক্ষতি, দেশের অর্থনীতি ধ্বংস চলতে থাকবে।
বিনিয়োগ কারিদের থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষকে ঠকানো অব্যাহত থাকবে।
প্রতিটি কাজে ঘুষ, দুর্নীতির প্রয়োজন হবে।
আমাদের দেশের সরকারি দলের হাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং বিচার বিভাগের নিয়ন্ত্রণ চলে যাওয়ায় রাজনীতিবিদরা আইনের উরধে উঠে যান। নিজেদের আইনের উরধে ভাবায় এদের মধ্য থেকে দেশে কিছু দানবের জন্ম হয়েছে। এসব দানবরা চাঁদাবাজি, খেলাপি ঋণের অর্থ দিয়ে কি করে? টর্চার সেলে গুন্ডা, মাস্তানদের বেতন দিয়ে মানুষকে কষ্ট দিতে দিতে খুন করা হয়। নারীদের উপর চালানো হয় নির্যাতন। ভূমিদস্যুর ভূমিকায় হয় জমি দখল। মানুষকে ছলে বলে কৌশলে খারাপ কাজ করতে বাধ্য করে গোপন ক্যামে ধারণ করা হয়। বেডরুম, বাথরুমের কার্যকলাপ পর্যন্ত গোপনে ধারণ করা হয়। খেলাপি ঋণের, চাঁদাবাজির টাকা দিয়ে এরা ভোট কেনেন। ভোট না দিলে নির্যাতন, খুন করার জন্য টর্চার সেল তৈরি থাকে। মাস্তান, গুণ্ডারা এসব দানবের পাশে থেকে আইনের উরধে থাকার নিশ্চয়তা পায়। কিন্তু একটু এদিক ওদিক হলে তাদের ভাগ্যেও জোটে টর্চার এর মাধ্যমে খুন।
এসব দানবের হাত থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষা করার দায় আমরা এড়াতে পারি না।
আমাদের বাবসায়িদের রাজনীতিবিদদের চাঁদা দিয়ে বাবসা করতে হয়। তার বিনিময়ে এই চাঁদাবাজ রাজনীতিবিদরা বাবসা বান্ধব, শিল্প বান্ধব, উদ্যোক্তা বান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করতে কতটুকু করেন? দেশের উন্নয়নে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা হাতে নেওয়া এবং বাস্তবায়ন আশা করাতো অলীক স্বপ্ন কল্পনার ব্যাপার।
আমরা যারা নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছি, আমরা স্বপ্ন বাস্তবায়নে সবকিছু করতে পারি। আমাদের আশে পাশের মানুষকে সেই স্বপ্নে উদ্বুদ্ধ করা দরকার।

আদর্শ রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী ক্যাম্পেইন পরিকল্পনা

আদর্শ রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনী ক্যাম্পেইন পরিকল্পনায় গতানুগতিকতা থেকে বেরিয়ে এসে সৃজনশীলতা দেখাবে।

জরিপ করে জনগণের মন, জনগণের আশাআকাঙ্ক্ষা বোঝার উদ্যোগ নেওয়া হবে – কারা “ক” দলকে ভোট দেবেন? কি কি কারণে? কারা “খ” দলকে ভোট দেবেন? কি কি কারণে? (এসব ভোট কিভাবে নিজেদের পক্ষে আনা যায়?) অতীতে কোনবার কোন দল বা প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন? কেন? ভিন্ন দলকে ভোট দিলে সমর্থন পালটানোর কারণ কি? এলাকার উন্নয়নে কি কি দেখতে চান? কি কি সমস্যার সমাধান চান? (প্রার্থী হিসেবে কাল টাকার মালিক থাকলে তিনি কিভাবে নির্বাচনকে প্রভাবান্বিত করতে পারেন? কতটা?)

জনগণের গঠনমূলক সমালোচনাকে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে গ্রহণ করে প্রার্থীরা নিজেদের ভুলভ্রান্তি দূর করে কর্মকাণ্ড আরও উন্নততর করার কাজে ব্যবহার করবেন।

প্রতিটি নির্বাচনী সভায় জনগণকে তাদের আশা আকাঙ্ক্ষা প্রত্যাশার কথা বলার সুযোগ দেওয়া হবে। আধুনিক প্রযুক্তি যেমন ভিডিও চিত্রের (বিভিন্ন এলাকার জন্য উপযোগী করে প্রয়োজনে স্থানীয় ভাষায়) মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্নে জনগণ উজ্জীবিত হবে।

আধুনিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন ভিডিও কনফারেন্সিং, ইন্টারনেট ভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, মোবাইল প্রযুক্তির ব্যবহার করা হবে।

সবাইকে নিয়ে সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এলাকার প্রতিষ্ঠিত বেক্তিরা এগিয়ে আসবেন, বাবসায়িরা সামাজিক এন্টারপ্রাইস প্রতিষ্ঠা করবেন। এলাকার জনগণ একতাবদ্ধ হয়ে নিজেরা নিজেদের সমস্যা সমাধান করবেন।

এভাবে রাজনীতিতে মেধার প্রয়োগ দেখিয়ে দলটি দেশে নতুন রাজনীতির শুভ সূচনা করবে।

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারঃ কিছু প্রস্তাব – ২

রাজপথ থেকে সরে এসে সরকারি দল এবং প্রধান বিরোধী দলের নির্বাচনকালীন সরকার প্রস্তাবের মাঝে আমরা দেশের জনগণ নতুন রাজনীতির আলো দেখি।

তবে উভয়ে নিজ নিজ অবস্থানে থাকলে আমরা তৃতীয় একজনের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করছি।

এই তৃতীয় একজনের ভূমিকা নিতে পারেন একজন নিরপেক্ষ গ্রহণযোগ্য দৃঢ়চেতা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান।

ভোটের দিন ও ক্ষমতা হস্তান্তর পর্যন্ত নিরপেক্ষ পরিবেশ ধরে রাখার জন্য এবং একটি সুষ্ঠু , নিরপেক্ষ, গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের স্বার্থে আমরা স্বরাষ্ট্র, সংস্থাপন এবং অন্যান্য স্পর্শকাতর মন্ত্রনালয়গুলো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিরপেক্ষ উপদেষ্টাদের হাতে নাস্ত করার প্রস্তাব জানাই।

মন্ত্রীসভা এবং উপদেষ্টা পরিষদ নিয়ে গঠিত অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর করবে।

বিরোধী দলীয় নেতার প্রতিশোধ – প্রতিহিংসার রাজনীতি থেকে দূরে থাকা, মেধাবী ও যোগ্য নাগরিকদের আগামী দিনের জাতীয় ঐক্যের সরকারের সঙ্গে কাজ করার আগাম আমন্ত্রণ – এসব ঘোষণাকে আমরা ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখি।

তবে আমরা সচেতন নাগরিকরা অতীতেও উভয় দলের কাছে এমন অনেক প্রতিশ্রুতি শুনেছি যেগুলোর সঠিক বাস্তবায়ন দেখিনি। আমরা আগামী নির্বাচনের আগেই সরকারি দল এবং প্রধান বিরোধী দলের ঘোষণার বাস্তবে প্রতিফলন দেখতে চাই, কথায় এবং কাজে সামঞ্জস্যতা দেখতে চাই।

প্রতিহিংসা – অপপ্রচার নয়, চাই উন্নয়নের রাজনীতি

একজন সম্মানিত মানুষ সারাজীবন তিল তিল করে একটি প্রতিষ্ঠানকে দাঁড় করিয়েছেন, প্রতিষ্ঠানটির উপর কাজের কারণে নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন, প্রতিষ্ঠানটিকে এমনভাবে গড়ে তুলেছেন যে বাবস্থায় গ্রামের দরিদ্র মহিলারা প্রতিষ্ঠানটির মালিকানায় (প্রতিষ্ঠানের ৯৭ শতাংশ মালিকানা গরিব মহিলাদের হাতে) এসেছে। সেই প্রতিষ্ঠান – গ্রামীণ ব্যাংক থেকে তাঁকে সরিয়ে দেওয়া শুধুমাত্র অন্যায় নয়, এটি দেশে দারিদ্র্য দূরীকরণে, নারীর ক্ষমতায়নে বিশাল ভূমিকা রাখা, দেশের প্রায় ৮৪ লক্ষ মানুষ যে প্রতিষ্ঠানের সাথে নিজেকে যুক্ত করে লাভবান হয়েছেন এবং হচ্ছেন, অন্যান্য দেশেও যে প্রতিষ্ঠানটির আদলে প্রতিষ্ঠান তৈরি হয়েছে, সেই প্রতিষ্ঠানটি ভবিষ্যতে সঠিকভাবে চলবে কিনা তা নিয়েও সংশয় তৈরি করে দিয়েছে। শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে অন্যায় করা, না বুঝে অপপ্রচার চালানো এবং দেশের ক্ষতি করা – এমন রাজনীতি দেশে চলতে পারে না।
ড. মুহম্মদ ইউনুস এর

  • মেধা (নোবেল শান্তি পুরষ্কার বিজয়ী, ২০০৬; বিশ্বব্যাপী ক্ষুদ্রঋণ এবং সামাজিক ব্যবসার প্রবর্তক)
  • সততা (বর্তমান সরকার সকল শক্তি ব্যবহার করেও কিছু খুঁজে পায়নি) 
  • প্রশাসনিক দক্ষতা (বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে নিজ মডেলের উপর ভিত্তি করে প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন)

প্রশ্নাতীত।

আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তার যে ব্যাপক সুপরিচিতি আছে তা ব্যবহার করে বিভিন্ন দেশের সাথে সম্পর্ক জোরদার করা, কূটনৈতিক উদ্যোগ নেওয়া (বিভিন্ন সুবিধা যেমন বাণিজ্য সম্প্রসারণ, শুল্কমুক্ত প্রবেশ ইত্যাদি) – সরকার এসব করতে পারত।

তা না করে প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে গ্রামীণ ব্যাংকে হাত দেওয়াকে আমরা চরম অন্যায় বলে মনে করি। যে দেশে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোতে অবাবস্থাপনা এবং হাজার হাজার কোটি টাকার লোপাট-দুর্নীতি চলে, সে দেশে গ্রামের অসহায় মানুষদের ব্যাংকটিকে রাষ্ট্রায়ত্ত করার প্রচেষ্টা আমাদের শঙ্কিত করে।

যে দেশের ৫০ ভাগ মানুষের বয়স ২৩ বা তার চেয়ে কম, যে বিশাল তরুণ প্রজন্ম কর্মক্ষেত্রের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করছে, যাদেরকে ঠিকভাবে গড়ে তুলতে পারলে দ্রুত দেশের চেহারা পাল্টে যাবে – সেই দেশে আজ উন্নয়নের রাজনীতি খুব বেশি জরুরী।

আরও

“… by dividing up and splitting up the Grameen Bank in 19 pieces only – you’ll destroy the bank. If somebody wants to destroy the bank, that’s the best way to do this – cut it up, chop it off and it’s gone.”

৮৪ লক্ষ ঋণগ্রহীতার প্রতিষ্ঠানকে ভেঙে ১৯ টুকরা করার প্রচেষ্টা – আমরা হাসব নাকি কাঁদব!


“Making money is a happiness. Making other people happy is a superhappiness.”

“Within two years, more than 25,000 beggars stopped begging completely. Because they become such a successful door-to-door salesperson.”

“So you see, you give people a chance, they bring out their own ability. So that’s the message here.”

– Muhammad Yunus And ‘A Cinderella Moment’ At The Forbes Philanthropy Summit – Forbes

“গ্রামীণ ব্যাংক গরিব মহিলাদের নিজস্ব অর্থে গড়া সম্পদ। যে প্রতিষ্ঠানের ৯৭ শতাংশ মালিকানা গরিব মহিলাদের হাতে, সেখানে তদন্ত কমিশন কীভাবে প্রস্তাব করে যে এটার বৃহত্তর মালিকানা সরকারকে দিয়ে দিতে হবে। গরিব মানুষের মালিকানাকে গায়ের জোরে কেড়ে নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে কেন?

যে ব্যাংক নাগরিকদের নিজের টাকায় চলে সেখানে সরকারকে কেন ৫১ শতাংশ বা তারও বেশি মালিকানা দিতে হবে এবং সরকারের আজ্ঞাবহদের হাতে এই ব্যাংক পরিচালনার (তথা লুটপাটের) ব্যবস্থা করে দিতে হবে, এর ব্যাখ্যা কি কমিশন জাতির সামনে উপস্থাপন করবে?

এই ব্যাংক সরকারের কাছ থেকে কোনো টাকা নেয় না, কোনো দাতা সংস্থা থেকেও টাকা নেয় না। এটা সম্পূর্ণরূপে স্বনির্ভর প্রতিষ্ঠান। এটা গরিব মহিলাদের মালিকানায় এবং তাদেরই পরিচালনায় একটি ব্যাংক।

গ্রামীণ ব্যাংক চিরজীবী হোক। গরিব মহিলাদের ক্ষমতা চিরস্থায়ীভাবে প্রতিষ্ঠিত হোক।”

– দেশের মানুষ গ্রামীণ ব্যাংককে ছিনিয়ে নিতে দেবে না

Dreams of a New Bangladesh (নতুন বাংলাদেশের স্বপ্ন)

[প্রকাশের তারিখঃ ১৬ অক্টোবর, ২০১৩]
বাংলাদেশের মানুষ পরিবর্তন চায়। (People of Bangladesh want change.)
কিন্তু স্থায়ী পরিবর্তনের জন্য পরিবর্তনটা দেশের আপামর জনসাধারণের মধ্য দিয়েই আসতে হবে।

মানুষ কিভাবে পরিবর্তন আনবে?

গ্রামের মানুষগুলো …

গ্রামের মানুষগুলো এক হয়ে কি গ্রামের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে এগিয়ে আসতে পারে না?
যেসব যুবক আড্ডা দিয়ে সময় কাটাত, তারা কি চাইলেই পারে না এক হয়ে নতুন নতুন উদ্যোগ নিয়ে সবার চোখে “হিরো” হয়ে উঠতে?
কোন নির্দিষ্ট জাতি ধর্ম বর্ণ গোষ্ঠী দল বা পেশার মানুষের উপর যাতে অন্যায় না হয়, সবাই এক হয়ে কি তা নিশ্চিত করতে পারে না?  #MinorityRights
পারে না যৌতুক, বাল্যবিবাহ এবং এসব থেকে উদ্ভূত বিভিন্ন সামাজিক সমস্যা, যেমন নারী নির্যাতন, এর বিরুদ্ধে সবাই মিলে অবস্থান নিতে? #WomenEmpowerment
শুরু হোক না গ্রামে গ্রামে বিভিন্ন বিষয়ে প্রতিযোগিতা – বছর শেষের উৎসবে প্রত্যেকে নিজ নিজ গ্রাম নিয়ে গর্ব করুক – কোন গ্রাম হয়ত শিক্ষায়, কোন গ্রাম কৃষিতে, আর কোন গ্রাম নারী অধিকার এবং মর্যাদা রক্ষায়।

তরুণ প্রজন্ম …

আমাদের আছে প্রাণশক্তিতে ভরপুর বিশাল একটা তরুণ প্রজন্ম

দেশের ৫০ ভাগ মানুষের বয়স ২৩ বা তারও কম। এই তরুণদের মাঝে স্বপ্ন, উদ্যম, উৎসাহের কোন ঘাটতি নেই। ওরা পরাজয় খুব একটা দেখেনি – তাই পরাজয় খুব একটা মানতেও চায় না। ওরা পছন্দ করে একসাথে সময় কাটাতে।

দেশের তরুনরা না হয় দল বেঁধে নতুন নতুন উদ্যোগ নিয়ে সমস্যা সমাধানে ঝাঁপিয়ে পড়ল – হতে পারে নিজেদের কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন সমস্যা, হতে পারে নিজেদের এলাকার। কেউ হয়ত উদ্ভাবন করে বসলো এমন কিছু যা দিয়ে অনেক অনেক মানুষের জীবনের একটা দিক পুরোপুরি বদলে যাবে।

আমাদের আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর তরুণ প্রজন্ম হয়ত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোকে সমাজ পরিবর্তনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চাইবে! #YouthEmpowerment

 

আর বাকিরা …

বাকিরাও তখন বসে থাকবে কেন?

ব্যবসায়ী সমাজ এই বিশাল কর্মযজ্ঞে তাদের অভিজ্ঞতা নিয়ে দুহাত বাড়িয়ে দেবেন – নিজেদেরও মুনাফা হল, অনেক মানুষের জীবন পরিবর্তনের অংশও হওয়া গেলো।
তরুণদের সাথে পাল্লা দিয়ে পেশাজীবীরা নিজ নিজ দায়িত্ব আরও সৃজনশীলতা, আরও দক্ষতার সাথে সম্পাদন করবেন।
দেশের আলোকিত মানুষরা উন্নত নৈতিক চরিত্র এবং মূল্যবোধ সমৃদ্ধ সুনাগরিক গড়ে তুলতে অবদান রাখবেন।
সত্য এবং সুন্দরের স্বপ্নে সবাইকে অনুপ্রাণিত করবেন সাহিত্যিক আর শিল্পীরা
পেশাজীবী আর শ্রদ্ধেয় শিক্ষক সমাজ এক হয়ে মনের মত করে গড়ে তুলবেন নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান।
আইনজীবীরা এক হয়ে লড়বেন জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় আর জনগণ সকল অন্যায়, অবিচার তা যেকোন বেক্তি, প্রতিষ্ঠান বা গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে হোক না কেন – সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তুলবেন।
সত্য অনুসন্ধান ও প্রকাশ করবেন এবং জনগণ তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবেন সাংবাদিকরা
শিক্ষাবিদদের অনুপ্রেরণায় দেশের প্রত্যেক নাগরিক হয়ে উঠবেন চিন্তাশীল – নিজেদের জ্ঞান বিচারবুদ্ধি যুক্তি বিবেচনা দিয়ে তারা সিদ্ধান্ত নেবেন।
দেশের বুদ্ধিজীবী আর সুশীল সমাজ বাস্তব কর্ম পরিকল্পনায় নিজেদের মেধার সবটুকু ঢেলে দিবেন।
গড়ে উঠবে এমন সংগঠন, যে সংগঠন দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বিভিন্ন উদ্যোগ এর সমন্বয় করবে, দেশের বিভিন্ন সমস্যার নতুন নতুন সমাধান বের করে বাস্তবায়ন করবে, জাতিধর্মবর্ণ নির্বিশেষে প্রত্যেক শ্রেণীপেশার মানুষের স্বার্থ যাতে সংরক্ষিত হয় তা গনতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সবার মতামতের ভিত্তিতে নিশ্চিত করবে।

 

আর আমাদের রাজনীতিবিদরা?

রাজনীতিবিদরাও তখন স্বার্থ ভুলে সবার সাথে হাতে হাত মিলিয়ে কাজ করবেন।

না মিলিয়ে পার পাবেই বা কেমন করে!

 

স্বপ্নের বাংলাদেশ

এভাবে প্রত্যেকেই যখন নিজ নিজ অবস্থানে থেকে নিজের চেয়েও বড় কোন স্বপ্নে নিজেকে যুক্ত করবেন, দেশটাও তখন স্বপ্নের মত করে গড়ে উঠবে।

বড় কোন স্বপ্নকে সামনে রেখে সেই লক্ষ্যে কাজ করার মত আনন্দ আর কিছু আছে?

 

আমরা কি তবে স্বপ্ন দেখতে পারি?

আমরা কি স্বপ্ন দেখতে পারি, আগামী নির্বাচনের আগেই দেশের রাজনীতিতে বড় ধরনের পরিবর্তন আসবে?

 

নতুন রাজনীতির সূচনা

আগামী নির্বাচনটা হবে কালো টাকা, পেশি শক্তির প্রভাব মুক্ত।  #SayNoToCorruption

প্রত্যেক এলাকার সাংসদ প্রার্থীরা মনোযোগ দিবেন সবাইকে নিয়ে নিজ নিজ এলাকার বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে। যিনি এই কাজ সবচেয়ে দক্ষতা আর সৃজনশীলতা আর সততার সাথে করে সবার আস্থা অর্জন করতে পারবেন, এলাকার জনগণ তাকেই বেছে নেবেন। তিনি হবেন জনগণের নন্দিত নেতা। তিনি জানেন, দলে বা সরকারে পদের চাইতেও বেশি স্থায়ী এবং গুরুত্বপূর্ণ হল জনগণের হৃদয়ে স্থান।

আমরা কি আশা করতে পারি না, আগামী নির্বাচন হবে মেধা ভিত্তিক? সাংসদ পদ প্রার্থীরা জরিপ করে জনগনের মন বোঝার চেষ্টা করবেন এবং সেই অনুযায়ী মন জয়ের চেষ্টা করবেন। তারা শুধু নিজেদের বক্তব্য জনগণকে শোনাবেন না, বরং তাদের আগ্রহ বেশি থাকবে জনগণের বক্তব্য, আশা আকাঙ্ক্ষা, সমস্যা শোনায় এবং সেইসব আশা আকাঙ্ক্ষা, সমস্যা বাস্তবায়নে বাস্তব কর্ম পরিকল্পনা গ্রহণে।

আমরা কি আশা করতে পারি না, অন্তত কয়েকটি এলাকায় কয়েকজন সাংসদ প্রার্থী বা মনোনয়ন প্রত্যাশী খুব দ্রুত এই ধরনের উদ্যোগ নিয়ে সবার জন্য উদাহরণ সৃষ্টি করবেন – আমাদের মিডিয়া তাদের উদ্যোগকে আনুপ্রানিত করবে – আর তাতে – যারা উদ্যোগ গ্রহণ করা থেকে পিছিয়ে থাকবেন, নির্বাচনে জয়ের সম্ভবনায়ও তারা পিছিয়ে পড়বেন। এই বোধোদয় রাজনীতিতে সুস্থ প্রতিযোগিতার সূচনা করতে পারে।

পরিবর্তনের এই হাওয়া দ্রুত স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি নির্বাচন আর নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের মাঝে ছড়িয়ে পড়বে। আর এভাবেই দেশের রাজনীতিতে নতুন ধারার সূচনা হবে।

 

নতুন ধারার রাজনৈতিক দল

বাংলাদেশের নতুন ধারার রাজনীতিতে রাজনৈতিক দলগুলোও হবে নতুন ধারার।

গনতন্ত্রের চর্চা শুধু দেশ পরিচালনায় না, বরং রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরীণ কর্ম পরিকল্পনায়ও ফুটে উঠবে। দলের শীর্ষ পদসহ প্রতিটি পদে নিয়োগ গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে নির্ধারিত হবে। এতে যোগ্য বাক্তিদের বিজয় সুনিশ্চিত হবে। দলের প্রত্যেক নেতাকর্মী সমর্থক এবং তাদের মতামত হয়ে উঠবে গুরুত্বপূর্ণ। প্রত্যেক দলের সৎ, যোগ্যতর নেতাকর্মী সমর্থকরা এই শুভ পরিবর্তনে ভূমিকা রাখবেন।

স্থানীয় থেকে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক – দলের প্রতিটি পর্যায়ে একক কর্তৃত্বের বদলে ক্ষমতার ভারসাম্য থাকবে। আর ক্ষমতার ভারসাম্য থাকলে নিশ্চিত হবে জবাবদিহিতা। প্রতিটি নির্বাচনে প্রার্থী নির্বাচনেও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ প্রাধান্য পাবে। জনগণের আস্থা, জনগণের মন জয় করে দলের নেতা কর্মীরা প্রার্থিতা নিশ্চিত করবেন।

দেশের কোন রাজনৈতিক দল যদি দ্রুত এসব ইতিবাচক পরিবর্তন এনে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পারে, তা দেশের সব রাজনৈতিক দলগুলোর জন্য অনুকরণীয় আদর্শ হয়ে থাকবে।

 

আগামীর সরকার

নতুন ধারার রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিযোগিতার মাধ্যমে যে দল বা জোট ক্ষমতায় আসবে, দেশের এবং দেশের জনগণের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে তারা নতুন নতুন লক্ষ্যমাত্রা এবং সেসব লক্ষ্যমাত্রা বাস্তবায়নে সৃজনশীল কর্মসূচি হাতে নেবে। আগামী সরকার বিভিন্ন সূচকে উন্নতিকে লক্ষ্যমাত্রা হিসেবে নিয়ে কর্ম পরিকল্পনা হাতে নেবে – জিডিপি প্রবৃদ্ধির হারকে ৮% এ উন্নীত করবে, মাথাপিছু আয়ের দিক দিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলোকে ছাড়িয়ে যাবে, দুর্নীতির সূচকে ব্যাপক উন্নতি দেখাবে, অপরাধ শক্তভাবে দমন করে বিভিন্ন অপরাধ সূচকে (index) উন্নতি দেখাবে, বিভিন্ন সামাজিক সূচকে (যেমন শিক্ষা, শিশু মৃত্যু হার ইত্যাদি) লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করবে।

নিজেদের মানদণ্ডে নিজেদের সাফল্য, অপরের বার্থতার প্রচার নয়, বরং আন্তর্জাতিক মানদণ্ডই সাফল্য – বার্থতার মূল্যায়ন করবে।

 

 

আমরা দেখতে চাই দারিদ্রমুক্ত, অন্যায়-অপরাধ-দুর্নীতি মুক্ত সুখী সমৃদ্ধ উন্নত বাংলাদেশ

“নেক্সট ইলেভেন” এ থাকা ১১ টি দেশের একটি বাংলাদেশ – একদিন বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অর্থনীতির দেশ হয়ে উঠবে এমন স্বপ্ন আমরা দেখতেই পারি।