Election Campaign Strategy for Bangladeshi Political Party (বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলের ইলেকশান ক্যাম্পেইন স্ট্রাটেজি)

 

Election Campaign Strategy for Bangladeshi Political Party

নাগরিক শক্তি নির্বাচনী ক্যাম্পেইন পরিকল্পনায় গতানুগতিকতা থেকে বেরিয়ে এসে সৃজনশীলতা দেখাবে।

নাগরিক শক্তির ইলেকশান মটো – “আমরা করবো জয়”।

স্পিরিটেড নেইশান (Spirited Nation) গড়ে তোলা হবে।
স্বপ্নের বাংলাদেশ। সবাই একসাথে কাজ করতে পছন্দ করে – জনগণের ঐক্য। আর আওয়ামী বাংলাদেশ – জাতীয়তাবাদী বাংলাদেশের নামে দেশ বিভক্তি নয়, এবার নাগরিক শক্তির নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ।

প্রতি নির্বাচনী এলাকায় কোন সামাজিক উদ্যোগ যাতে এলাকার জনগণ লাভবান হয়।

প্রতি নির্বাচনী এলাকায় জনগণের মাঝে নেটওয়ার্ক গড়ে তোলা। [1] যেসব ভোট প্রতিদ্বন্দ্বীরা পেতে পারে নেটওয়ার্ক গড়ে তুলে সেসব জয় করা – জনগণের মাধ্যমে জনগণের কাছে পৌঁছানো।

জনগণের সমস্যাগুলো বোঝার চেষ্টা করা। দলের কেন্দ্রীয় পর্যায়কে অবহিত করা। জনসভার একটা অংশ থাকবে জনগণের মতামত নেওয়ার জন্য।

সার্ভেই। পোলিং। সেলফোন প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।

যেসব নির্বাচনী এলাকায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে সেসব এলাকায় ফোকাস করা।

প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী এবং তার শক্তি – দুর্বলতা অ্যানালাইসিস করা।

নির্বাচনী আচরণবিধি কঠোরভাবে প্রয়োগ করা হলে কালো টাকার প্রভাব থাকবে না। কালো টাকা ব্যবহার করলে প্রার্থিতা বাতিল হবে। জনগণকে সাথে নিয়ে মাস্তান বাহিনীকে প্রতিরোধ করা হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারি বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হবে। এভাবে পেশি শক্তির প্রভাবও চলে যাবে। প্রতিটি জনগণ স্বাধীনভাবে ভোটের অধিকার ফিরে পাবে।

সবরকম মিডিয়া ব্যবহার করে জনগণের কাছে পৌঁছানো।

পুরো দেশকে কয়েকটি নির্বাচনী এলাকায় ভাগ করে প্রতি এলাকার জন্য “নির্বাচন পরিচালনা কমিটি” গঠন।

জরিপ করে জনগণের মন, জনগণের আশাআকাঙ্ক্ষা বোঝার উদ্যোগ নেওয়া হবে – কারা “ক” দলকে ভোট দেবেন? কি কি কারণে? কারা “খ” দলকে ভোট দেবেন? কি কি কারণে? (এসব ভোট কিভাবে নিজেদের পক্ষে আনা যায়?) অতীতে কোনবার কোন দল বা প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন? কেন? ভিন্ন দলকে ভোট দিলে সমর্থন পালটানোর কারণ কি? এলাকার উন্নয়নে কি কি দেখতে চান? কি কি সমস্যার সমাধান চান? (প্রার্থী হিসেবে কাল টাকার মালিক থাকলে তিনি কিভাবে নির্বাচনকে প্রভাবান্বিত করতে পারেন? কতটা?)

এরপর কেন্দ্রীয় ভাবে ডেটা – স্ট্যাটিস্টিক্যাল অ্যানালাইসিস। ভোটারদের বিভিন্ন সেগমেন্টে ভাগ করে ফেলা – এই এই বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন ভোটাররা এই দল / প্রার্থীকে পছন্দ করছেন।

জনগণের গঠনমূলক সমালোচনাকে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গিতে গ্রহণ করে প্রার্থীরা নিজেদের ভুলভ্রান্তি দূর করে কর্মকাণ্ড আরও উন্নততর করার কাজে ব্যবহার করবেন।

প্রতিটি নির্বাচনী সভায় জনগণকে তাদের আশা আকাঙ্ক্ষা প্রত্যাশার কথা বলার সুযোগ দেওয়া হবে। আধুনিক প্রযুক্তি যেমন ভিডিও চিত্রের (বিভিন্ন এলাকার জন্য উপযোগী করে প্রয়োজনে স্থানীয় ভাষায়) মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের স্বপ্নে জনগণ উজ্জীবিত হবে।

আধুনিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন ভিডিও কনফারেন্সিং, ইন্টারনেট ভিত্তিক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম, মোবাইল প্রযুক্তির ব্যবহার করা হবে।

সবাইকে নিয়ে সমস্যা সমাধানের উদ্যোগ নেওয়া হবে। এলাকার প্রতিষ্ঠিত বেক্তিরা এগিয়ে আসবেন, বাবসায়িরা সামাজিক এন্টারপ্রাইস প্রতিষ্ঠা করবেন। এলাকার জনগণ একতাবদ্ধ হয়ে নিজেরা নিজেদের সমস্যা সমাধান করবেন।

এভাবে রাজনীতিতে মেধার প্রয়োগ দেখিয়ে নাগরিক শক্তি দেশে নতুন রাজনীতির শুভ সূচনা করবে।

 

বড় দলগুলো অর্থ দিয়ে মনোনয়ন বিক্রি করে। মনোনয়ন প্রত্যাশীরা অর্থ দিয়ে মনোনয়ন বাণিজ্যের নিলাম হাট থেকে মনোনয়ন কেনেন। কালো টাকা, পেশি শক্তির প্রভাব হয়ে ওঠে যোগ্যতা নির্ধারণের মাপকাঠি।

নাগরিক শক্তি মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে জনপ্রিয়তা, যোগ্যতা, মেধা, সততা, অভিজ্ঞতা, এলাকার উন্নয়ন কাকে দিয়ে হবে – এসব বিষয় বিবেচনায় নেবে। তৃনমূল থেকে প্রার্থীদের নাম প্রস্তাবের আহ্বান জানানো হবে এবং কেন্দ্রিয়ভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। একাধিক প্রার্থী প্রায় সমান যোগ্যতা সম্পন্ন হলে সার্ভেই করে দেখা হবে জনগণ কাকে চান।

ফান্ড রেইজিং এর মাধ্যমে যে অর্থ রেইজড হবে তা শুধু মাত্র প্রার্থীদের ইলেকশান ক্যাম্পেইনে বায় করা হবে। প্রতিটি পয়সা খরচের হিসাবও রাখা হবে। স্বচ্ছতা কেন্দ্রিয়ভাবে মনিটারিং করা হবে এবং কারও বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ প্রমাণিত হলে দল থেকে বহিষ্কারসহ কঠোর বাবস্থা নেওয়া হবে।


আরও (More)

রেফরেন্স (References)

Electoral Plan for an Ideal Political Party – 2 (আদর্শ রাজনৈতিক দলের নির্বাচনী পরিকল্পনা – ২)

 

জনগনের পাশে গিয়ে দাঁড়াতে হবে। বিভিন্ন ডেমোগ্রাফিকের জনগণের সমস্যা, আশা আকাঙ্ক্ষা বুঝতে হবে। তাদের সমস্যার সমাধান কিভাবে করা যায়? উদ্যোগ? প্লাটফর্ম? জনগণের নিরাপত্তা? আমরা সমস্যা সমাধানে কতটুকু আন্তরিক বুঝিয়ে দিতে হবে।

সুপরিকল্পিত সুশাসন এর মাধ্যমে স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ে উঠবে এই স্বপ্নে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। স্বপ্নের বাংলাদেশের বাস্তবমুখী গল্প, ভিডিও চিত্র (দলের ট্রেডমার্কসহ) জনগণের কাছে ছড়িয়ে পড়বে।

সবার মাঝে নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে হবে।
তরুণদের কাছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম দিয়ে পৌঁছান সবচেয়ে সহজ।
নেতারা আসবেন strength দেখে। নেতাদের মাঝে যোগাযোগের বাবস্থা করতে হবে। এতে সবার মাঝে বন্ধন গড়ে উঠবে। নেতাদের মাঝে নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে পারলে সেই নেটওয়ার্ক এর আকার বাড়তে থাকবে।
বিভিন্ন নেটওয়ার্ক – তরুণদের নেটওয়ার্ক, বাবসায়িদের নেটওয়ার্ক, বুদ্ধিজীবীদের নেটওয়ার্ক, সাংবাদিকদের নেটওয়ার্ক গড়ে উঠবে। ভিন্ন ভিন্ন পেশা, ভিন্ন ভিন্ন দলের নেতাকর্মীদের মাঝেও নেটওয়ার্ক গড়ে উঠবে। নেটওয়ার্ক দ্রুত বড় হবে।
আমাদের হিশেব নিকেশ রাখতে হবে আমাদের নেটওয়ার্ক এ কারা কারা আছেন। এই নেটওয়ার্কগুলোকে কিভাবে বাড়ানো যায়। নেটওয়ার্কগুলো নিজেরা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগের মাধ্যমে দ্রুত বড় হতে থাকবে। যারা নেটওয়ার্ক এ আছেন, তারা নেটওয়ার্ক এর বাইরের অন্যদের নেটওয়ার্ক এ আনবেন।
নেটওয়ার্কগুলো গড়ে উঠবে স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে।
নেটওয়ার্ক গড়ে তুলতে পারলে মানুষ সম্মিলিতভাবে নিজেদের সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন উদ্যোগ নেবে। বুদ্ধিজীবীদের নেটওয়ার্ক এক্ষেত্রে অগ্রগণ্য ভূমিকা পালন করবে।